আগামীর জন্য সঙ্কা
আগামী প্রজন্ম আমাদের সম্পর্কে কিছুই জানতে পারবে না!
তারা এ প্রজন্মের লেখকদের কাছ থেকে পাবে শুধু হাজার হাজার প্রেমের উপন্যাস।
আগামী প্রজন্ম এই শতাব্দীর ইতিহাস সম্পর্কে বিন্দু মাত্র সঠিক ধারণা পাবে না। তারা জানবে কোথা থেকে? এ প্রজন্মের লেখক-লেখিকারা তো সমকালীন জনরা বলতে শুধু বর্তমান প্রেক্ষাপটের উপর তৈরি প্রেমের উপন্যাসকেই বোঝেন।
লেখকদের লেখনী কেমন হওয়া উচিত তা কম বেশি আমরা সবাই জানি। লেখক এমন ব্যক্তি যিনি তার লেখনীর মাধ্যমে সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করেন,অন্যায় দূর করেন।তাদের কাজ এমন হয়, তারা মানুষের মন থেকে ভ্রান্ত ধারণা দূর করে সমাজকে এক আলোর জগতে নিয়ে যান।
লেখকরা লিখবেন যা তিনি দেখবেন-বুঝবেন-শিখবেন। যেখানে ভুল হচ্ছে সেখানে তার লেখা দিয়ে চোখে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিবেন। লেখকদের জৈবিক দেহ একদিন মাটিতে মিশে যাবে...কিন্তু তার লেখা, তার বলার ভাষা মানুষকে শতাব্দীর পর শতাব্দী আলো দিয়ে যাবে।
কিন্তু বর্তমান লেখকদের নিয়ে আমি নিরাশ। এতো এতো বহুমুখী প্রেমকাব্য,উপন্যাস লিখে যাওয়ার হাত তাদের। ওই হাত দিয়ে ইতিহাসের জন্য কি লিখে যাচ্ছে এরা? সমকালীন জনরার লেখকদের তো উচিত মানুষদের সকল প্রকার বিদ্বেষ ছড়ানো থেকে বিরত থাকার উৎসাহ দেওয়া। ভালো কে ভালো বলা খারাপকে খারাপ বলা। সমাজে সমতা, ঐক্যমত গঠন করা। একটা প্রয়োজনীয় আন্দোলনে সাধারণ মানুষকে উৎসাহ দেওয়া, অপ্রয়োজনীয় আন্দোলনে নিরুসাহিত করা। নানা যুগান্তকারী মতামত দিয়ে রাষ্ট্রকে সাহায্য করা। কিন্তু তাদের মুখে মানুষকে আলোর পথে হাটার জন্য কোন ভাষা নেই।তবে ভাষা আছে, প্রেমিকার রূপ বর্ণনায়।
তবে এখনকার লেখকরা না লেখার পিছনে অনেক বাঁধা দেখায় এবং এই বাঁধাগুলো দেখিয়ে এড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু দূর্গম গিরি পাড় না করতে পারলে যাত্রী সমেত তরী পার করবেন কিভাবে? এভাবে চললে আগামী আমাদের সময়কার লেখা পড়ে ভাববে, এই সময়টা ছিলো বড়ই মধুর-প্রেমিকার চুলের ঘ্রাণ শুঁকেই এক শতাব্দী পার করে দিয়েছি আমরা।
পুনশ্চঃ তবে আপনারা যদি ভাবেন যুগের আধুনিকায়নের ফলে ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার হিস্টোরি চেক করে আগামী প্রজন্ম ইতিহাস জানতে পারবে, তবে এই প্লাটফর্ম গুলোর স্থায়িত্ব নিয়ে একটু ভাবার অনুরোধ রইলো।
আজ পবিত্র লাইলাতুল বরাত। আল্লাহ স্বয়ং সকলকে শুভ বুদ্ধি না দিলে এ জাতির নিস্তার নেই।
তারা এ প্রজন্মের লেখকদের কাছ থেকে পাবে শুধু হাজার হাজার প্রেমের উপন্যাস।
আগামী প্রজন্ম এই শতাব্দীর ইতিহাস সম্পর্কে বিন্দু মাত্র সঠিক ধারণা পাবে না। তারা জানবে কোথা থেকে? এ প্রজন্মের লেখক-লেখিকারা তো সমকালীন জনরা বলতে শুধু বর্তমান প্রেক্ষাপটের উপর তৈরি প্রেমের উপন্যাসকেই বোঝেন।
লেখকদের লেখনী কেমন হওয়া উচিত তা কম বেশি আমরা সবাই জানি। লেখক এমন ব্যক্তি যিনি তার লেখনীর মাধ্যমে সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করেন,অন্যায় দূর করেন।তাদের কাজ এমন হয়, তারা মানুষের মন থেকে ভ্রান্ত ধারণা দূর করে সমাজকে এক আলোর জগতে নিয়ে যান।
লেখকরা লিখবেন যা তিনি দেখবেন-বুঝবেন-শিখবেন। যেখানে ভুল হচ্ছে সেখানে তার লেখা দিয়ে চোখে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিবেন। লেখকদের জৈবিক দেহ একদিন মাটিতে মিশে যাবে...কিন্তু তার লেখা, তার বলার ভাষা মানুষকে শতাব্দীর পর শতাব্দী আলো দিয়ে যাবে।
কিন্তু বর্তমান লেখকদের নিয়ে আমি নিরাশ। এতো এতো বহুমুখী প্রেমকাব্য,উপন্যাস লিখে যাওয়ার হাত তাদের। ওই হাত দিয়ে ইতিহাসের জন্য কি লিখে যাচ্ছে এরা? সমকালীন জনরার লেখকদের তো উচিত মানুষদের সকল প্রকার বিদ্বেষ ছড়ানো থেকে বিরত থাকার উৎসাহ দেওয়া। ভালো কে ভালো বলা খারাপকে খারাপ বলা। সমাজে সমতা, ঐক্যমত গঠন করা। একটা প্রয়োজনীয় আন্দোলনে সাধারণ মানুষকে উৎসাহ দেওয়া, অপ্রয়োজনীয় আন্দোলনে নিরুসাহিত করা। নানা যুগান্তকারী মতামত দিয়ে রাষ্ট্রকে সাহায্য করা। কিন্তু তাদের মুখে মানুষকে আলোর পথে হাটার জন্য কোন ভাষা নেই।তবে ভাষা আছে, প্রেমিকার রূপ বর্ণনায়।
তবে এখনকার লেখকরা না লেখার পিছনে অনেক বাঁধা দেখায় এবং এই বাঁধাগুলো দেখিয়ে এড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু দূর্গম গিরি পাড় না করতে পারলে যাত্রী সমেত তরী পার করবেন কিভাবে? এভাবে চললে আগামী আমাদের সময়কার লেখা পড়ে ভাববে, এই সময়টা ছিলো বড়ই মধুর-প্রেমিকার চুলের ঘ্রাণ শুঁকেই এক শতাব্দী পার করে দিয়েছি আমরা।
পুনশ্চঃ তবে আপনারা যদি ভাবেন যুগের আধুনিকায়নের ফলে ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার হিস্টোরি চেক করে আগামী প্রজন্ম ইতিহাস জানতে পারবে, তবে এই প্লাটফর্ম গুলোর স্থায়িত্ব নিয়ে একটু ভাবার অনুরোধ রইলো।
আজ পবিত্র লাইলাতুল বরাত। আল্লাহ স্বয়ং সকলকে শুভ বুদ্ধি না দিলে এ জাতির নিস্তার নেই।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এম এম হোসেন ২১/০৪/২০২১চমৎকার
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ৩০/০৩/২০২১অভিনন্দন
-
আশরাফুল হক মহিন ৩০/০৩/২০২১Nice...
-
ফয়জুল মহী ৩০/০৩/২০২১চমৎকার রচিলেন , ভালো লাগলো বেশ।