www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

মৃত মানুষের মাংস খেয়ে বাহাত্তর দিন

"প্রায় ২ মাসের অধিক সময় ধরে মৃত সহযাত্রীদের মাংস খেয়ে বেঁচে ছিলো তারা।"

১৯৭২ সালের ১৩ই অক্টোবর চিলি সান্তিয়াগোতে যাওয়ার পথে আন্দিজ পর্বতে আছড়ে পড়ে প্রায় একশোর অধিক যাত্রী নিয়ে উরুগুয়ের বিমান বাহিনীর ফ্লাইট-৫৭১ ( Fairchild FH-227D)।
আর্জেন্টাইন ওল্ড ক্রিশ্চিয়ান মন্টেভিডিও রাগবি ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে যাচ্ছিলো বিমানটি।

আন্দিজ পর্বতের প্রায় ৩,৫৭০ মিটার উচ্চতায় বিমানটি ক্র‍্যাশ করে।মূলত খারাপ আবহাওয়ায় কো-পাইলটের ভুলের কারণে বিমানটি ভূপাতিত হয়।আন্দিজের বরফে ঢাকা দুর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্লেনটি ক্রাশ করে।
তিনদিন ধরে রেসকিউ টীম আন্দিজে খোঁজাখুঁজি করে।কিন্তু বরফের সাদা আস্তরণের কারনে বিমানটি খুঁজে পায়নি তারা।অবশেষে আটদিনের মাথায় তারা কেইস ক্লোজ করে এবং প্লেনের প্রায় সকল যাত্রী মৃত বলেই ধরে নেয়।

কিন্তু তখনো দুর্গম পরিস্থিতিতে সাধারণ ক্ষত কিংবা সামান্য আহত কিছু মানুষ বেঁচে থাকে।
তারা প্রথম প্লেনের স্টকে থাকা খাবার খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করে।
পরে খাদ্য সংকটে পড়লে তারা তাদের মৃত সহযাত্রীদের খেতে শুরু করে।মাইনাস ১০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বরফে ঢাকা অঞ্চল বলে কোন লাশই পচে যায় নি।

অবশেষে ২৩ ডিসেম্বর ১৯৭২ এ প্রায় ৭২ দিন পর জীবত ১৬ জনকে উদ্ধার করে উরুগুয়ে এয়ারফোর্স এর উদ্ধারকারী দল।

এ ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু বই ও মুভি তৈরি হয়।বাংলাদেশি থ্রিলার লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এ বিষয়ে তার দুটো বই বের করেছেন।

এই দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে আসা রবার্ট ক্যানেসা দুর্গম অঞ্চলে তার এবং বেঁচে যাওয়ারদের বর্ণনায় বই বের করেন- "I Had To Rescue :How plan crash in the Andes inspired my calling to save life."
এক জায়গায় তিনি বলেন:হয়তো বেঁচে গেছি,মৃতদের গল্প বলবো বলে।

লেখা : রেদোয়ান আহমেদ
বিষয়শ্রেণী: সংবাদ
ব্লগটি ৬০৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ৩১/০৮/২০২০

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast