অন্যরকম হিমু
সুপার শপ থেকে কেবলই বের হয়েছি। হাতে পেপারে মোড়ানো একটা ছোট্ট গিফট আর সাদা গোলাপ ও রজনীগন্ধার স্টিক। আজকের দিনটা নাকি তার কাছে স্পেশাল! ফোন করে বলল তুমি হিমু সেজে আসবে; আর আমি রূপা। ভাবছি মেঘ নাকি রূপা হবে! কই রূপা আর কই সে! কখনো বলা হয়নি আমি ওকে ভালবাসিনা। ওর কোনোকিছুই আমার ভাল লাগে না। নিজেকে এভাবেই তৈরী করে নিয়েছি আমি। এত ঘৃণার মাঝেও যে অল্প ভালবাসাটুকু টিকে রেখেছিলাম লোক দেখানোর জন্য, সে ভালবাসার টানে আমি হলুদ পাঞ্জাবীতে রাস্তায় বেড়িয়েছে। মাঝে মাঝে মনে হয় এত রঙ থাকতে হুমায়ূন স্যার কেন যে এই বিদঘুটে রঙ টা বেছে নিলেন তার বিখ্যাত ক্যারেক্টারের জন্য। সবই আপেক্ষিক। আমি আবার মিসির আলীর ভক্ত; তাই হিমুকে খুব একটা ভাল লাগে না। যাই হোক আমাকে নাকি হেঁটে যেতে হবে। এটা নিতান্তই পাগলামি। কিন্তু কথা দিয়ে ফেলেছি বলে আমি হাঁটছি। জোর করেছিল খালি পায়ে হাঁটতে। ঠিক করেছি ওর বাসার পাশে এসে স্যান্ডেলটা খুলে রাখব।
খুব বেশি দেরী করে ফেলেছি। এখন সন্ধ্যে ৬টা; সূর্য যেন পশ্চিমে ভেসে থেকে বিদায় জানাচ্ছে ভালবাসার দিনটাকে। মোড় ঘুরতেই ওদের বাসা। আমি স্যান্ডেল রাখার জায়গা খুঁজছিলাম। হঠাৎ চোখ পড়ল মেঘের বাসার ছাদে। সত্যি বললে আমার মনে হল রূপা দাঁড়িয়ে আছে; সেই হালকা নীল শাড়িতে রূপা দাঁড়িয়ে আছে। হালকা বাতাসে ভাসছে সামনের চুল, ভাসছে নীল শাড়ির পাড়। আমি গেট দিয়ে ছাদে উঠলাম। ইচ্ছে করেই স্যান্ডেলটা খুলি নি। আর ধোঁকা দিতে মন টানছিল না। আমি ওর পাশে দাঁড়াতেই ও আমার দিকে তাকালো। চোখের পানিতে গড়িয়ে গালে এসে থেমেছে। তবুও সে হাসছে। মেয়েরা হাসলে স্বর্গ কাঁদে। কারণ সেখানে মেয়ের সংখ্যা কম। ভেতরের কষ্টটাকে চেপে রেখে হাসতে হাসতে বলল-“হিমু সাজতে বলেছিলাম, হিমু হতে বলি নি। ভেবেছিলাম তুমি আসবে না। সকাল থেকে ছাদে দাঁড়িয়ে। যতদূর চোখ যায় তাকিয়ে আছি। তুমি সত্যিই হিমুর মত।”
“আমি হিমুর মত হলে তোমার রাত পেরিয়ে যেত অপেক্ষায়।” কথাটা বলে ভাবলাম এটা বলা ঠিক হয়নি। কারণ তার অপেক্ষার মূল্য আমি দিতে পারব না। সে অন্যদিকে তাকিয়ে আবার বলল-“নীল তুই সত্যিই এসেছিস!” সে কাঁদছে। আমি গা ঘেঁষে দাঁড়ালাম। তারপর ওর চোখ মুছে দিলাম। আমি তাকে ভালবাসি, আসলেই ভালবাসি। অল্প না, খুব বেশি ভালবাসি। শত চেষ্টা করেছি নিজেকে বোঝাতে আমি ওকে ভালবাসিনা, ওর সবকিছুতে বারবার রাগ করেছি, খারাপ ব্যবহার করেছি; তবুও আমি নিজেকে বদলাতে পারিনি। আমার আসল গল্পটা আমার কাছে সত্য আর বাকিদের কাছে লোক দেখানো।
গোলাপ-রজনীগন্ধার তোড় পড়ে আছে, পড়ে আছে পেপারে মোড়ানো ছোট্ট গিফট টা, মাথার উপর দিয়ে পাখিরা নীড়ে ফিরছে; আমি ওকে জড়িয়ে ধরে আছি। আমার কাঁধ ভিজে যাচ্ছে। হলুদ পাঞ্জাবীতে কালো ছাপ পড়ছে। হলুদ আর নীল মিশে একীভূত হচ্ছে অন্ধকারে।
সময় চলে যায়, মানুষ বদলায়। কেও হিমু হতে চায়, কেও বা রূপা; কিন্তু আসল মানুষটা ওরকমই থাকে। বেলাশেষে সবার মুখে একটা কথাই শোভা পায়-“আমি তোমাকে ভালবাসি”।।
খুব বেশি দেরী করে ফেলেছি। এখন সন্ধ্যে ৬টা; সূর্য যেন পশ্চিমে ভেসে থেকে বিদায় জানাচ্ছে ভালবাসার দিনটাকে। মোড় ঘুরতেই ওদের বাসা। আমি স্যান্ডেল রাখার জায়গা খুঁজছিলাম। হঠাৎ চোখ পড়ল মেঘের বাসার ছাদে। সত্যি বললে আমার মনে হল রূপা দাঁড়িয়ে আছে; সেই হালকা নীল শাড়িতে রূপা দাঁড়িয়ে আছে। হালকা বাতাসে ভাসছে সামনের চুল, ভাসছে নীল শাড়ির পাড়। আমি গেট দিয়ে ছাদে উঠলাম। ইচ্ছে করেই স্যান্ডেলটা খুলি নি। আর ধোঁকা দিতে মন টানছিল না। আমি ওর পাশে দাঁড়াতেই ও আমার দিকে তাকালো। চোখের পানিতে গড়িয়ে গালে এসে থেমেছে। তবুও সে হাসছে। মেয়েরা হাসলে স্বর্গ কাঁদে। কারণ সেখানে মেয়ের সংখ্যা কম। ভেতরের কষ্টটাকে চেপে রেখে হাসতে হাসতে বলল-“হিমু সাজতে বলেছিলাম, হিমু হতে বলি নি। ভেবেছিলাম তুমি আসবে না। সকাল থেকে ছাদে দাঁড়িয়ে। যতদূর চোখ যায় তাকিয়ে আছি। তুমি সত্যিই হিমুর মত।”
“আমি হিমুর মত হলে তোমার রাত পেরিয়ে যেত অপেক্ষায়।” কথাটা বলে ভাবলাম এটা বলা ঠিক হয়নি। কারণ তার অপেক্ষার মূল্য আমি দিতে পারব না। সে অন্যদিকে তাকিয়ে আবার বলল-“নীল তুই সত্যিই এসেছিস!” সে কাঁদছে। আমি গা ঘেঁষে দাঁড়ালাম। তারপর ওর চোখ মুছে দিলাম। আমি তাকে ভালবাসি, আসলেই ভালবাসি। অল্প না, খুব বেশি ভালবাসি। শত চেষ্টা করেছি নিজেকে বোঝাতে আমি ওকে ভালবাসিনা, ওর সবকিছুতে বারবার রাগ করেছি, খারাপ ব্যবহার করেছি; তবুও আমি নিজেকে বদলাতে পারিনি। আমার আসল গল্পটা আমার কাছে সত্য আর বাকিদের কাছে লোক দেখানো।
গোলাপ-রজনীগন্ধার তোড় পড়ে আছে, পড়ে আছে পেপারে মোড়ানো ছোট্ট গিফট টা, মাথার উপর দিয়ে পাখিরা নীড়ে ফিরছে; আমি ওকে জড়িয়ে ধরে আছি। আমার কাঁধ ভিজে যাচ্ছে। হলুদ পাঞ্জাবীতে কালো ছাপ পড়ছে। হলুদ আর নীল মিশে একীভূত হচ্ছে অন্ধকারে।
সময় চলে যায়, মানুষ বদলায়। কেও হিমু হতে চায়, কেও বা রূপা; কিন্তু আসল মানুষটা ওরকমই থাকে। বেলাশেষে সবার মুখে একটা কথাই শোভা পায়-“আমি তোমাকে ভালবাসি”।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
চিরন্তন ২৯/০১/২০২১ভালো লাগলো
-
হুসাইন দিলাওয়ার ২৪/১১/২০১৭ভালো লাগল,,
-
দীপঙ্কর বেরা ২৩/১১/২০১৭বেশ। ভাল।
-
মনোবর ২২/১১/২০১৭আরও দীর্ঘ হলে ভালো হত।