একটি নাটকিয়স্বপ্ন
৫৯৪০ ইং। বিকাল তিনটা। ব্রেনরবো বসে চিন্তা করছে সামার ভেকেশনস এর ছুটি কিভাবে কাটাবো। আজথেকে তিন হাজার বছর আগেও নাকি মানুষ চিন্তা করতো নিজে নিজে। কিন্তু এখন সে কাজটা করে ব্রেনরবো। যাকে সাউথ এশিয়ান বিজ্ঞানীদের এক বিষ্ময় কর আবিষ্কার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিটি পলিটিশিয়ানরাই এখন ব্রেনরবো ব্যবহার করে। হঠাৎ ব্রেণরবো বলল ‘‘পেয়েছি তুমি তোমার মামার বাড়ি যাও,যদিও একটু দুরে তাতেকি চাদেরঁ মানুষ গুলো প্রথিবীর মত অতটা চতুর না’’। কি আর করা যেতেই হবে। মাত্র ২০ ঘন্টার বেপার। আমার ট্যাপ হাতে নিয়ে মামার কাছে ই-মেইল করলাম “ মামা আমি কয়েক ঘন্টার মধ্যে তোমাদের বাড়ি বেড়াতে আসছি।” কয়েক মিনিট পরেই মামা ই-মেইল করে“ তরাতাড়ি আসিস,আমি তোদের পৃথিবীতে কয়েক বারই যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু গবেষনায় এত ব্যাস্ত, আর যাওয়াটা হলনা।” তখনি আমার এ্যসিসটেন্টরবোকে বললাম আমার জন্য টিকেট কাটতে। চার মিনিট পরে এসে বলল মিগ১২০০ রকেটে আপনার জন্য ইস্পেশাল সিট বুকিং করেছি যাতে আপনি নিরাপদে চাদেঁ অবর্তিন করতে পারেন। ঠিক তিনহাজার বছর আগেও নাকি টিকেট কাটার জন্য কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হত আর এখন--। কথাগুলো ভাবতেই হাসি পায়। আমাদের বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী দেশ এবং ধ্বনি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মসংস্থানের জন্য আমাদের দেশে মানুষ আসে যেমন,যুক্ত রাজ্য,আমেরিকা,জাপান,চিন মেক্্িরকো ,ইতালি এবং অষ্ট্রিলিয়া। কিন্তু তিন হাজার বছর আগে আমারাই-----------
বাসার থেকে বেড় হয়ে একটা রিক্সাকপ্টারে উঠলাম। তিনমাইল দুরে ওয়াল্ট মুন য়ৌথ বিমান বন্দর। পেীছতে সময় লাগবে ১ মিনিট। তিন হাজার বছর আগের হ্যালিকপ্টর নামের আকাশযানের মতই অনেকটা রিক্সাকপ্টার। কিন্তু গতিতে ফাস্ট।
মিগ ১২০০ রকেটে উঠতেই মনে হল অন্য রকম দুনিয়ায় প্রবেশ করলাম। পাইলট নেই। ছোট একটা ঘরে একটা আ্যাপ । সেই নাকি চাদেঁ পৌছাতে পারবে আমাদের কে। এবং এই রকেট নাকি হাই স্পিরিড যা সকল যানের থেকে কযেক গুন বেশি দ্রুত চলে। জীবনের প্রথম চাদেঁ যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে কি করবো তা সবই ভেবে রেখেছে আমার ব্রেণরবো তাই কোন চিন্তা নেই। আজ নীল আরস্ট্রংদের কথা ভেবে একটু খারাব লাগছে। বেচারাদের কত কষ্ট করে চাদেঁ যেতে হয়েছিল। কিছুক্ষন পরে একটি মেয়ে রোবোট এসে বলল ‘কি খাবেন’। কিছু খা্বনা আমি বললাম। আগে একটু ভাবি তারপরে খাওয়া দাওয়া । সভ্যতা কোথায় এসেছে চিন্তা করা যায়না। প্রায় ১২ ঘন্টা লাগলো পৌছতে। হাই ¯িপ্রড বলে ৮ ঘন্ট সময় কম লেগেছে। চাদের দেশ। যতটা ভেবেছিলাম ততটা না। বিজ্ঞানীরা একটা অক্সিজেনের ব্যাবস্থা করেছে তার জন্য আর কাধেঁ করে অক্সিজেনের সিলিন্ডার বহন করতে হয় না। কিন্তু কৌতুহল মুক্ত এলাকা। চিৎকারদিয়ে কথা বললেও কোন কথা শুনা যায়না। মুনইয়ারফো ব্যাহার করলে কেবল মানুষের কথা শুনা যায়। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল এখান কার মানুষদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বাংলায় কথা বলে। হয়তোবা এর একটা কারণও আছে। মামা বাড়ি পৌছতেই আমাকে নিয়ে অনেক হইচই পরে গেল। জীবনের প্রথম আশা। কিন্তু আমি এদের সবাইকে চিনি কারণ তারা সবাই আমাদের পৃথিবীতেই ছিলেন। এর ই মধ্যে খাওয়ার আয়জন শুরু হয়ে গেছে। খিচুরি দিয়ে ভাজা ডিম। এটাই নাকি এখান কার মানুষের প্রধান খাবার। খাওয়া দাওয়া হওয়ার পরে সুপার েপাস্ট কম্পিউটার নিয়ে বসে পরলাম । তিনহাজার বছর আগেও নাকি টিভি নামের কি যেন একটা ছিল খাওয়ার পরে সবাই সেটা দেখতে বসত। তার এটা এখনো বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে আছে।
মামার সাথে তার ল্যবটারিতে গেলাম। সেখানে বৃহস্পতি নিয়ে গবেষনা হচ্ছে। এরই মধ্যে দুই তিনবার অভিযান সফল হলেও কোন মানুষ যায়নি, তবে রবোট গিয়েছে প্রতিবারই। সেখানে একটা রবোটের দুনিয়া বানোর জন্য কাজ করছে। হাজার হাজার রবোট সেখানে মানুষের ভুমিকায় কাজ করবে। মানুষও থাকবে গুটি কয়েক। মঙ্গলবাসীরাও বৃহস্পতি গ্রহ নিয়ে অভিযান চালিয়েছে কিন্তু ততটা সফলতা আসেনি। যাই হউক আমাদের দেশও নাকি গবেষনা করছে আমি সেটা কাউকে জানাইনি। সবকিছু সব জায়গায় বলা ঠিক না। এতে অনেকটাই মঙ্গল হয়। তারপরও আমি মামা বাড়ি অনেক দিন থেকে ছিলাম। এক কথায় সামার ভেকেশনস এর প্রায় দিন গুলিই। ক্রিকেট ফুটবল থেকে শুরু করে অনেক নাম নাজানা খেলাই সেখানে খেলেছি আমার মামাত ভাইয়ের সাথে। খুব মজা হয়েছে। আর আনন্দ সেতো বোনাস। রাতে আরো হাজার খানিক বছর পরে মানুষ কি করবে তা নিয়ে গল্প করা হত। আবার মাঝে মাঝে ভাবতাম এইতো তিন হাজার বছর আগেও নাকি মানুষ রাতে ভুত - টুত নিয়ে গল্প করতো। কিন্তু কেমিষ্ট্রিতে কোন ভুত নামের ক্যমিকেল তখনো নাকি ছিলনা। আর এখন তো চিন্তাই করা যায়না।
হঠাৎ করে চোখের ওপর সুর্যের আলো এসে পড়াতে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। তখনি নিজেকে আবিস্কার করলাম আমি এতক্ষণ স্বপ্ন দেখছিলাম। কিন্তু তাতে কি মানুষ তো স্বপ্ন দেখতেই পারে । কিন্তু প্রশ্ন হল বাংলাদেশকি কোনদিন এমন ডিজিটাল হবে । সেই প্রতাশ্যাই দিনের কাজ কর্ম শুরু করে দিলাম।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শূন্য ২৩/০৮/২০১৪ভালো লাগলো।
-
শিমুদা ২১/০৮/২০১৪সরকার যেহেতু ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় গ্রহন করেছেন তখন ডিজিটাল হবে একদিন। প্রত্যাশা করতেই পারি।
-
Shopnil Shishir(MD.Shariful Hasan) ১৯/০৮/২০১৪valo laglo
-
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ১৯/০৮/২০১৪বাহ বেশ সুন্দর ভাবনা তো। ভাল লাগল। এমন আরো চাই।