আইনজীবী হওয়ার খুটি নাটি আইনজীবী হওয়ার খুটি নাটি আইনজীবী হওয়ার খুটি নাটি
আইন শব্দটি ফার্সি হলেও বাংলাতে হর-হামেশায় ব্যবহৃত হয়। আইন একটি বিমূত্র বিষয়। যাকে স্পর্শ কিংবা দেখা যায় না তবে অনুভব করা যায়। বিশ্বাস করা যায়। শ্রদ্ধা করা যায়। কিছু আইন প্রকৃতিগত কিছু আইন সমাজগত কিছু আইন ঈশ্বর কতৃক আবার কিছু আইন মানুষ কতৃক সৃষ্টি হলেও বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের কাছে পার্লামান্টে বা সংসদে পাশ করা কোন নতুন নিয়ম বা রুলই হল আইন। সাধারন মানুষের কাছে আইনের এই পরিচিতির সার্বজনীনতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও আইনের অস্তিত নিয়ে কোন প্রশ্ন চলে না। হামুরাবি, মিশরীয়, রোমানদের পরে কোরআনিক নিয়ম- নীতি, আদেশ- উপদেশ সবকিছু মিলে সময়ের প্রয়জনে আইন তৈরি হয়েছে। আইনের নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা না থাকলেও আইনের প্রতি সাধারণ মানুষের ধারনা বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন ধরনের। তবে আর যাই হউক আইনের সাথে যুক্তি, দর্শন, চিন্তা শক্তি, বিজ্ঞান ও পর্যবেক্ষন আষ্টে পিষ্টে জুড়ে আছে।
যারা আইন নিয়ে চর্চা করে বা আইন পেশায় নিয়জিত তাদেরকে আইনজীবী বলে অবহীত করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আইন পেশাজীবীদের বিভিন্ন ভাগ থাকলেও বাংলাদেশে ব্যারিষ্টার, আইন পেশাজীবী, ্ এ্যাটর্নী যাই হউক না কেন সবাইকে উকিল বা আইনজীবী বলা হয়। বাংলাদেশের বার কাউন্সিল আদেশের অনুচ্ছেদ ২ (ক) আইনজীবীর সংজ্ঞা প্রদান করেছে। যিনি Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order, 1072 এর অধীনে Bar Council-- এর roll – এ আইনজীবী হিসাবে প্রবেশ করবে তাকেই আইনজীবী বলা হবে। এই আদেশের ১৯নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একজন আইনজীবকে সমগ্র বাংলাদেশে আইন পেশা চর্চা করার অধিকার প্রদান করেছে। তথ্য মতে বর্তমানে বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এই আইন নিয়ে পড়া শুনা করছে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার শিক্ষার্থী। যাদের প্রায় সাবারই স্বপ্ন আইনজীবী হওয়া। আইনজীবী হওয়ার জন্য দরকার Enrollment of Advocate ship অর্থাৎ এ্যাডভোকেট তালিকাভুক্তিকরণ। আর তালিকা ভুক্তিকরণ এর জন্য দরকার কিছু শর্ত বা নিয়ম। চলুন সে বিষয় কিছু আলোচনা করা যাক।
তালিকা ভুক্তিকরণের শর্ত
বার কাউন্সিল অর্ডার, ১৯৭২ অনুযায়ী দুটি ভাগে এ্যাডভোকেট তালিকাভ্ুিক্ত করা হয়। প্রথম ভাগ হল অধস্তন আদালতে এ্যাডভোকেট হিসাবে কাজ করার অনুমতি এবং দ্বিতীয় ভাগ হল সুপ্রীম কোর্টের হাই কোর্ট ডিভিশনে ্এ্যাডভোকেট হিসাবে কাজ করার অনুমতি। অবশ্য আপীল বিভাগে কাজ করার জন্য আর একটি ভাগে এ্যাডভোকেট তালিকাভুক্ত করা হয়। তাদের কে বলা হয় এ্যাডভোকেট-অন-রের্ক্ড।
সাধারণ এ্যাডভোকেট হিসাবে তালিকা ভুক্তিকরণ
অনুচ্ছেদ ২৭ (১) অনুযায়ী প্রাথমিক শর্তাবলী
১. তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে;
২. ২১ বছর বয়স পূর্ণ হতে হবে; এবং
৩. নি¤েœর যে কোন একটি যোগ্যতা অজর্ন করতে হবে;
ক. বাংলাদেশে সীমার মধ্যে অবস্থিত যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইন বিষয় ডিগ্রী থাকতে হবে; অথবা
খ. বার কাউন্সিল হতে স্বীকৃত বাংলাদেশের বাইরে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয় ¯œাতক ডিগ্রী থাকতে হবে; অথবা
গ. এক জন ব্যারিষ্টার-এ্যাট- ল করতে হবে।
শর্তাবলীর দ্বিতীয় পর্যায়
১. একজন ব্যক্তিকে এ্যাডভোকেট হতে হলে তাকে বার কাউন্সিলের নির্দেশিত ’A’ ফরমে আবেদন করতে হবে। এবং ফরমে যুক্ত করতে হবে:
ক, আবেদনকারীর জন্মের সনদ
খ. ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যোগ্যতার প্রমান পত্র
গ. প্রশংসা পত্র ( আচার আচরন এর উপর)
ঘ. তথ্য সত্যতার জন্য ফরম কে এফিডেভিট করতে হবে ( নটারী পাবলিকেশন থেকে করা যাবে)
ঙ. ২৪০০ টাকা ফি প্রদানের রশিদ প্রদান করতে হবে ফরমের সাথে (বিধি-৫৯,১৯৭২)
২. এ্যাডভোকেট হিসাবে অনুমতি বা স্বীকৃতি পাবার পূর্বে তাকে একজন দশ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ন এ্যাডভোকেটের চেম্বারে ছয় মাসে শিক্ষানবীশ হিসাবে কাজ করতে হবে।
বার কাউন্সিলের সদস্যভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় করনীয় :
ক. এল.এল.বি পরীক্ষা সম্পূর্ণ হওয়ার পর appeared certificate দিয়ে বার কাউন্সিলে আবেদন ফরম জমা দিতে হবে।
খ. ‘A’ ফরমের সাথে ১৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দশ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ এ্যাডভোকেটের সাথে contract of pupilage স¦াক্ষর করে ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে।
গ. S.S.C, H.S.C এবং LLB সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
ঘ. ৪০০ টাকার রেজিস্টেশন ফি জমাদিতে হবে।
৩.বার কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে ১ ঘন্টার MCQ পরীক্ষা দিতে হবে।
৪. যারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে তাদের কে আবার ৪ ঘন্টার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
৫. তালিকা ভুক্তিকরণ কমিটি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা নিবেন। এবং তাদের এখানেও উত্তীর্ন হতে হবে।
৬. বার কাউন্সিল তালিকাভুক্তি করনের আগে আবেদনকারীকে ৬মাসের (পরীক্ষা পরবর্তী) আইনগত প্রশিক্ষন প্রদান করে তার পরে সনদপত্র প্রদান করবে।
৭. উপরের সকল নিয়ম ও আনুষ্ঠানিকতা যদি একজন আবেদনকারী সম্পন্ন করতে পারে তাহলে আইন চর্চার অনুমতি পাবে ।
সুতরাং বন্ধুরা যারা আইন নিয়ে পড়াশুনা করছ আশা করি এই তথ্যগুলো তোমাদের সাহায্য করবে । সঠিক আইন চর্চার মাধ্যমে আইনের আসল উদ্দেশ্য সফল হউক। নির্যাতি নিপিরীত আর অসহায় মানুষ গুলো যেন আইনের সফলতা ভোগ করতে পারে। সেই প্রত্যাশা রাইল।
তথ্য সূত্র :
Internet
Legal System of Bangladesh
Law like love ( article )
যারা আইন নিয়ে চর্চা করে বা আইন পেশায় নিয়জিত তাদেরকে আইনজীবী বলে অবহীত করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আইন পেশাজীবীদের বিভিন্ন ভাগ থাকলেও বাংলাদেশে ব্যারিষ্টার, আইন পেশাজীবী, ্ এ্যাটর্নী যাই হউক না কেন সবাইকে উকিল বা আইনজীবী বলা হয়। বাংলাদেশের বার কাউন্সিল আদেশের অনুচ্ছেদ ২ (ক) আইনজীবীর সংজ্ঞা প্রদান করেছে। যিনি Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order, 1072 এর অধীনে Bar Council-- এর roll – এ আইনজীবী হিসাবে প্রবেশ করবে তাকেই আইনজীবী বলা হবে। এই আদেশের ১৯নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একজন আইনজীবকে সমগ্র বাংলাদেশে আইন পেশা চর্চা করার অধিকার প্রদান করেছে। তথ্য মতে বর্তমানে বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এই আইন নিয়ে পড়া শুনা করছে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার শিক্ষার্থী। যাদের প্রায় সাবারই স্বপ্ন আইনজীবী হওয়া। আইনজীবী হওয়ার জন্য দরকার Enrollment of Advocate ship অর্থাৎ এ্যাডভোকেট তালিকাভুক্তিকরণ। আর তালিকা ভুক্তিকরণ এর জন্য দরকার কিছু শর্ত বা নিয়ম। চলুন সে বিষয় কিছু আলোচনা করা যাক।
তালিকা ভুক্তিকরণের শর্ত
বার কাউন্সিল অর্ডার, ১৯৭২ অনুযায়ী দুটি ভাগে এ্যাডভোকেট তালিকাভ্ুিক্ত করা হয়। প্রথম ভাগ হল অধস্তন আদালতে এ্যাডভোকেট হিসাবে কাজ করার অনুমতি এবং দ্বিতীয় ভাগ হল সুপ্রীম কোর্টের হাই কোর্ট ডিভিশনে ্এ্যাডভোকেট হিসাবে কাজ করার অনুমতি। অবশ্য আপীল বিভাগে কাজ করার জন্য আর একটি ভাগে এ্যাডভোকেট তালিকাভুক্ত করা হয়। তাদের কে বলা হয় এ্যাডভোকেট-অন-রের্ক্ড।
সাধারণ এ্যাডভোকেট হিসাবে তালিকা ভুক্তিকরণ
অনুচ্ছেদ ২৭ (১) অনুযায়ী প্রাথমিক শর্তাবলী
১. তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে;
২. ২১ বছর বয়স পূর্ণ হতে হবে; এবং
৩. নি¤েœর যে কোন একটি যোগ্যতা অজর্ন করতে হবে;
ক. বাংলাদেশে সীমার মধ্যে অবস্থিত যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইন বিষয় ডিগ্রী থাকতে হবে; অথবা
খ. বার কাউন্সিল হতে স্বীকৃত বাংলাদেশের বাইরে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয় ¯œাতক ডিগ্রী থাকতে হবে; অথবা
গ. এক জন ব্যারিষ্টার-এ্যাট- ল করতে হবে।
শর্তাবলীর দ্বিতীয় পর্যায়
১. একজন ব্যক্তিকে এ্যাডভোকেট হতে হলে তাকে বার কাউন্সিলের নির্দেশিত ’A’ ফরমে আবেদন করতে হবে। এবং ফরমে যুক্ত করতে হবে:
ক, আবেদনকারীর জন্মের সনদ
খ. ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যোগ্যতার প্রমান পত্র
গ. প্রশংসা পত্র ( আচার আচরন এর উপর)
ঘ. তথ্য সত্যতার জন্য ফরম কে এফিডেভিট করতে হবে ( নটারী পাবলিকেশন থেকে করা যাবে)
ঙ. ২৪০০ টাকা ফি প্রদানের রশিদ প্রদান করতে হবে ফরমের সাথে (বিধি-৫৯,১৯৭২)
২. এ্যাডভোকেট হিসাবে অনুমতি বা স্বীকৃতি পাবার পূর্বে তাকে একজন দশ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ন এ্যাডভোকেটের চেম্বারে ছয় মাসে শিক্ষানবীশ হিসাবে কাজ করতে হবে।
বার কাউন্সিলের সদস্যভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় করনীয় :
ক. এল.এল.বি পরীক্ষা সম্পূর্ণ হওয়ার পর appeared certificate দিয়ে বার কাউন্সিলে আবেদন ফরম জমা দিতে হবে।
খ. ‘A’ ফরমের সাথে ১৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দশ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ এ্যাডভোকেটের সাথে contract of pupilage স¦াক্ষর করে ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে।
গ. S.S.C, H.S.C এবং LLB সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
ঘ. ৪০০ টাকার রেজিস্টেশন ফি জমাদিতে হবে।
৩.বার কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে ১ ঘন্টার MCQ পরীক্ষা দিতে হবে।
৪. যারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে তাদের কে আবার ৪ ঘন্টার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
৫. তালিকা ভুক্তিকরণ কমিটি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা নিবেন। এবং তাদের এখানেও উত্তীর্ন হতে হবে।
৬. বার কাউন্সিল তালিকাভুক্তি করনের আগে আবেদনকারীকে ৬মাসের (পরীক্ষা পরবর্তী) আইনগত প্রশিক্ষন প্রদান করে তার পরে সনদপত্র প্রদান করবে।
৭. উপরের সকল নিয়ম ও আনুষ্ঠানিকতা যদি একজন আবেদনকারী সম্পন্ন করতে পারে তাহলে আইন চর্চার অনুমতি পাবে ।
সুতরাং বন্ধুরা যারা আইন নিয়ে পড়াশুনা করছ আশা করি এই তথ্যগুলো তোমাদের সাহায্য করবে । সঠিক আইন চর্চার মাধ্যমে আইনের আসল উদ্দেশ্য সফল হউক। নির্যাতি নিপিরীত আর অসহায় মানুষ গুলো যেন আইনের সফলতা ভোগ করতে পারে। সেই প্রত্যাশা রাইল।
তথ্য সূত্র :
Internet
Legal System of Bangladesh
Law like love ( article )
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ১৮/০৮/২০১৪অনেককিছু জানলাম
-
আসোয়াদ লোদি ১৮/০৮/২০১৪গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট ।
-
আবু সাহেদ সরকার ১৮/০৮/২০১৪ops! osum...
-
Shopnil Shishir(MD.Shariful Hasan) ১৮/০৮/২০১৪nice article