একটি গল্প
সম্পর্ক অনেক দিনের হয়ে গেলে তাতে জং ধরে এরকম ধারনা টা আসলেই ভুল। সম্পর্কে চির অথবা জং আসলে কোনটাই ধরে না। সামান্য ধূলা জমে। আর সেই ধূলা সরিয়ে নিলেই সম্পর্ক আগের মত হয়ে যায়। হারিয়ে যাওয়া ফেলে আসা সব রকম সম্পর্ক সব সময় উজ্জ্বল থাকে সাবার কাছে। শুধু স্মৃতির পাতা থেকে সেগুলো একটু নেরে চেড়ে দেখতে হয়।
সর্ম্পকের রহস্য নিয়ে এমন নানা ধরনের কথা আমি বলতে বা লিখতে পারবো। এ্টা দৈনন্দিন অভ্যাস বা অধ্যায় মাত্র। সর্ম্পক দিয়ে শুরু করলাম এই কারনে যে সম্পর্ক হয়ে দাড়ায় নিজেকে সচেতন করতে। তাই আমরা সম্পর্ক আর সম্পৃক্ততা ছাড়া বাচতে পারি না।
কবি নামের ছেলেটা জানালার গ্রিল ধরে এমন টাই ভাবছিল। গ্রিল গুলো তে অবাধ্য জং এমন ভাগে লেগে আছে যাচ্ছে তাই অবস্থা। পাশের বাড়ির ছাদে ভেজা চুলে রবিন্দ্র স্টাইলে দেশি শাড়ি পড়া মেয়েটাও দাড়িয়ে। ওই মেয়েটির নাম টা কি তা হয়তো জানে না কবি নামের ছেলেটি। সে খুবি হাতাশা গ্রস্থ। ক দিন হল তার মাথা থেকে কোন ভালো গল্প, কবি কিছুই বের হচ্ছে না। তবে যে করেই হউক একটা কিছু লিখতেই হবে।হ্যা...
এই মেয়ে টাকে নিয়েই গল্প হবে। গল্পের উপাদান পেয়ে গেছি। ্ভে্বে দু ঠোটের কোনে মিষ্টি হাসি দেয় কবি। তবে মেয়েটার কি নাম দেওয়া যায়। নীল পরী? ফূল পরী? না না লেখা। হা মেয়েটার নাম লেখা রাখলাম্। ওর পোশাকের সাথে বেশ মানিয়ে ছে। মনে হচ্ছে রবিন্দ্রনাথের কোন উপন্যাস থেকে উঠে এসেছে। অথবা জীবনান্দ দাশ এর বুনলতা সেন। নতুবা ইস ভেবেই কবির মুখে আর একটু মুচকি হাসি।
হাতে মাত্র কটা দিন। এর মধ্যেই গল্পটা জমা দিতে হবে। কিছু টাকাও আসবে। আর সামনে উজ্জ্বল ক্যারিয়ার তো আছে। ভেবেই কাবির ভিতরে নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু হল।
পরদিন সকালে কবি পেন্সিল নিয়ে বসল। যা মাথায় আসছে তাই লিখে যাচ্ছে। টাকা চাই আর টাকার জন্য ভালো লেখা। একটা ভালো গল্প অথবা কতগুলা কল্পনাকে গুছিয়ে পরিপাটি করে লেখা। কিছু মিথ্যা স্বপ্ন দেখা আর ও কত কি। হাঠাৎ করেই কবির গল্পটা লেখা শেষ। আঠারোশ ওয়ার্ড। ও পাঠক খাবে বেশ।
আমার গল্প গুলো এমনি । হঠাৎ কারে শুরু হতে হতে শেষ হয়ে যায়। এটা আমরা গল্প বলার কৌশলের অভাব বোধ করি। চিন্তা টা কবির একান্ত নিজেই।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এস,বি, (পিটুল) ১৬/০৫/২০১৪wow
-
তাইবুল ইসলাম ১৫/০৫/২০১৪খুবই ভাবনা ময় লেখা
তবে লেখা আপনি আরও চালিয়ে যেতে পারেন
ধন্যবাদ আপনাকে -
কবি মোঃ ইকবাল ১৪/০৫/২০১৪ভালো লাগলো।