মধ্যবিত্ত প্রেম
মধ্যবিত্ত পরিবার ছেলে আজাদ কলেজ শেষ করে ঢাকার একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছে। আজাদের পরিবার গ্রামের বাড়িতেই থাকে। সে তার পরিবারের বড় ছেলে, তার ছোট একটি বোন আছে। ঢাকায় ম্যাচে উঠেছে নতুন জায়গায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিল না, তার মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়ে কয়েক দিন ভার্সিটি ক্লাস করতে পারেনি। কয়েক দিন পর সুস্থ হয়ে উঠে।
ম্যাচে বড় ভাইরা টিউশনি করে, তার ও একটা টিউশনি দরকার কিন্তু, কে দিবে?
আজাদ শান্ত স্বভাবের ছেলে কথা-বার্তা কম বলে, তার জন্য রফিক ভাই তাকে পছন্দ করে।
রফিক ভাই তকে দুই টা টিউশনি দিলো।
ক্লাস শেষে করে দুই টা টিউশনি করে আজাদ এখন অনেক ব্যস্ত। এখন তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা, ক্লাস, টিউশনি সবকিছু ভালই যাচ্ছে।
ভার্সিটিতে নতুন স্টুডেন্ট ভর্তি হয়েছে আজাদ এখন তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এর মধ্যে তার ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র নিপা নামে একটি মেয়েকে লাইক করে, একই ডিপার্টমেন্ট বলে তাদের মধ্যে দেখা হয়, কথা হয়, আর আজাদ ভাল ছাএ বলে নিপা ও লেখা পড়ার বিভিন্ন বিষয়ে মাঝে মধ্যে আজাদের কাছে বুজেনিতো।
এরই মধ্যে মনের অজান্তেই দু'জন ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
ক্যাম্পাসের অনেকেই তাদের প্রেমের কথা জানে। এই নিয়ে চলতে থাকে বেশ কিছু দিন।
হঠাৎ একদিন নিপার ফোন বন্ধ ভার্সিটি আসেনা, আসলে ও কথা বলেনা।
আজাদ কে এড়িয়ে চলে!!
আজাদ : কি হয়েছে তোমার?
মন খারাপ কেনো?
তোমায় কোউ কিছু বলছে?
আর এ আজাব নিপা কিছু না বললে আমি বুঝবো কি করে!!
নিপা : তুমি কোথায় থাকো?
আজাদ : আমি ম্যাচ এ থাকি।
নিপা : তোমার বাবা, মা, কোথায়?
আজাদ : গ্রামের বাড়িতে থাকেন।
নিপা : তুমি আমাকে আগে বলনি কেনো?
আজাদ : এইটা বলার কি আছে!! তুমি তো আমায় কখনো জিজ্ঞেস করনি।
নিপা : শুনোন আপনি আর কখনো আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন না।
আজাদ : কেনো? আমার ভূল টা কি?
নিপা : আপনার কোন ভূল নাই, সব ভূল আমার আমি ম্যাচে থাকা একটা ছেলে কে ভালোবাসি!! ছি..!
এই বলে নিপা চলে গেলো।
আজাদের মাথায় হাত দু'চোখ থেকে কয়েক ফোটা জল মাটিতে পড়লো, মনে মনে ভাবছে এখন বৃষ্টি হলে ভাল হতো এই জল কেউ দেখত না...
কান্নার জল সবাই দেখে, হৃদয়ের কষ্ট কেউ দেখে না!!
অনেক বার চেষ্টা করেও আজাদ নিপার সাথে কথা বলতে পারেনি।
আসলে ম্যাচে থাকা মধ্যবিত্তের ভালোবাসতে নেই। ম্যাচে থাকা ছেলের কোন শখ থাকতে নেই, ইচ্ছা থাকতে নেই, মধ্যবিত্তের কোন স্বপ্ন থাকতে নেই, মধ্যবিত্তের স্বপ্ন পরবর্তীতে হতাশায় পরিণত হয়। মধ্যবিত্তরা জানে না সুখ কি? এরা বৃষ্টি এলেও ভিজতে চায় না, পরে জ্বর কিংবা সর্দি বাধার ভয়ে। এরা চাঁদ দেখে ঠিক কিন্তু জোছনায় আবির মাখতে চায় না অলস হবার ভয়ে। ঘুণে খাওয়া কাঠের মতো এদের ভিতরটা খেয়ে ফেলে কিছু স্বপ্ন।
ধীরে ধীরে এই আজাদের মতো নিজেকে সপে দেয় ম্যাচে থাকা মধ্যবিত্ত নামক কারাগারে।
তখন তাদের স্বপ্ন, হাঁটাচলা, কথাবার্তা সবকিছুতেই মধ্যবিত্ত ভর করে।
আর এভাবেই কেটে যায় ক্লান্ত দিনের শেষে র্নিঘুম রাত।
ম্যাচে থাকা মধ্যবিত্ত চাইলেও এর থেকে বের হওয়া সম্ভব হয় না।
ম্যাচে বড় ভাইরা টিউশনি করে, তার ও একটা টিউশনি দরকার কিন্তু, কে দিবে?
আজাদ শান্ত স্বভাবের ছেলে কথা-বার্তা কম বলে, তার জন্য রফিক ভাই তাকে পছন্দ করে।
রফিক ভাই তকে দুই টা টিউশনি দিলো।
ক্লাস শেষে করে দুই টা টিউশনি করে আজাদ এখন অনেক ব্যস্ত। এখন তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা, ক্লাস, টিউশনি সবকিছু ভালই যাচ্ছে।
ভার্সিটিতে নতুন স্টুডেন্ট ভর্তি হয়েছে আজাদ এখন তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এর মধ্যে তার ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র নিপা নামে একটি মেয়েকে লাইক করে, একই ডিপার্টমেন্ট বলে তাদের মধ্যে দেখা হয়, কথা হয়, আর আজাদ ভাল ছাএ বলে নিপা ও লেখা পড়ার বিভিন্ন বিষয়ে মাঝে মধ্যে আজাদের কাছে বুজেনিতো।
এরই মধ্যে মনের অজান্তেই দু'জন ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
ক্যাম্পাসের অনেকেই তাদের প্রেমের কথা জানে। এই নিয়ে চলতে থাকে বেশ কিছু দিন।
হঠাৎ একদিন নিপার ফোন বন্ধ ভার্সিটি আসেনা, আসলে ও কথা বলেনা।
আজাদ কে এড়িয়ে চলে!!
আজাদ : কি হয়েছে তোমার?
মন খারাপ কেনো?
তোমায় কোউ কিছু বলছে?
আর এ আজাব নিপা কিছু না বললে আমি বুঝবো কি করে!!
নিপা : তুমি কোথায় থাকো?
আজাদ : আমি ম্যাচ এ থাকি।
নিপা : তোমার বাবা, মা, কোথায়?
আজাদ : গ্রামের বাড়িতে থাকেন।
নিপা : তুমি আমাকে আগে বলনি কেনো?
আজাদ : এইটা বলার কি আছে!! তুমি তো আমায় কখনো জিজ্ঞেস করনি।
নিপা : শুনোন আপনি আর কখনো আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন না।
আজাদ : কেনো? আমার ভূল টা কি?
নিপা : আপনার কোন ভূল নাই, সব ভূল আমার আমি ম্যাচে থাকা একটা ছেলে কে ভালোবাসি!! ছি..!
এই বলে নিপা চলে গেলো।
আজাদের মাথায় হাত দু'চোখ থেকে কয়েক ফোটা জল মাটিতে পড়লো, মনে মনে ভাবছে এখন বৃষ্টি হলে ভাল হতো এই জল কেউ দেখত না...
কান্নার জল সবাই দেখে, হৃদয়ের কষ্ট কেউ দেখে না!!
অনেক বার চেষ্টা করেও আজাদ নিপার সাথে কথা বলতে পারেনি।
আসলে ম্যাচে থাকা মধ্যবিত্তের ভালোবাসতে নেই। ম্যাচে থাকা ছেলের কোন শখ থাকতে নেই, ইচ্ছা থাকতে নেই, মধ্যবিত্তের কোন স্বপ্ন থাকতে নেই, মধ্যবিত্তের স্বপ্ন পরবর্তীতে হতাশায় পরিণত হয়। মধ্যবিত্তরা জানে না সুখ কি? এরা বৃষ্টি এলেও ভিজতে চায় না, পরে জ্বর কিংবা সর্দি বাধার ভয়ে। এরা চাঁদ দেখে ঠিক কিন্তু জোছনায় আবির মাখতে চায় না অলস হবার ভয়ে। ঘুণে খাওয়া কাঠের মতো এদের ভিতরটা খেয়ে ফেলে কিছু স্বপ্ন।
ধীরে ধীরে এই আজাদের মতো নিজেকে সপে দেয় ম্যাচে থাকা মধ্যবিত্ত নামক কারাগারে।
তখন তাদের স্বপ্ন, হাঁটাচলা, কথাবার্তা সবকিছুতেই মধ্যবিত্ত ভর করে।
আর এভাবেই কেটে যায় ক্লান্ত দিনের শেষে র্নিঘুম রাত।
ম্যাচে থাকা মধ্যবিত্ত চাইলেও এর থেকে বের হওয়া সম্ভব হয় না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কামরুজ্জামান সাদ ০৬/০৩/২০১৮বর্তমান সমাজে মধ্যবিত্ত নেই।যা আছে তাকে হয় গরিব না হয় ধনী বলতে হয়।