ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জামাত শিবিরের মৌলবাদী, ধর্মান্ধ এবং দেশবিরোধী রাজনীতি
একসাথে চলতে পারে না।৭১ এর পরেই জামাত বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারায়।কিন্তু তারপর আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময় আমাদের দেশের কিছু ক্ষমতালোভী, জ্ঞানপাপী রাজনীতিবিদরা এই বাংলার মাটিতে জামাত শিবিরকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়।সেই সুযোগে জামাত এ দেশের শিক্ষা বঞ্ছিত মানুষকে ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করেছে।মাদ্রাসার ছাত্রদের দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে সুপরিকল্পিত ভাবে তাদেরকে নিজেদের হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগিয়েছে।আমাদের দেশের কোন সরকারই মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমের কোন সংস্কার করেনি, বরং মৌলবাদীদেরকে মাদ্রাসা নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে।যার ভয়াবহ ফলাফল আজ আমরা দেখছি।জামাত শিবিরের নেতারা রাস্তায় নামছে না।তারা দরজার আড়ালে থেকে একদল শিক্ষা বঞ্ছিত দরিদ্র মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাস্তায় নামাচ্ছে যারা মানুষ হত্যা করছে, পুলিশ হত্যা করছে,সংখ্যালঘুদের আক্রমন করছে,আমাদের শহীদমিনার ভাঙছে। দরজার আড়ালে থাকা এসব নরপিচাশরা অনেকেই এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।অনেক সময় আমরা দেখছি প্রসাশন তাদেরকে নিরাপত্তা দিচ্ছে।সরকারকে এখনই স্পষ্ট এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।দরজার আড়ালে থেকে যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্ছিত।তারা ধর্মপ্রান কিন্তু ধর্ম সম্পর্কে খুব কম জানে।জামাত শিবির এই অশিক্ষার সুযোগ নিয়ে কিছু জ্ঞানপাপীর সহায়তায় এইসব শান্তিপ্রিয় মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।৬২২ খ্রীস্টাব্দে ইসলাম ধর্মের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা হিজরত করে মদিনা পৌঁছে জাতীয় নিরাপত্তা,ভাতৃত্ব,সম্প্রীতি ও ধর্মীয় সহিষ্ণতার মাধ্যমে একটি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এক চুক্তি সম্পাদন করেন যা ইতিহাসে মদিনা সনদ নামে পরিচিতি লাভ করে।
এই সনদে ৪৭ টি ধারার মধ্যে একটি ধারা হচ্ছে পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় থাকবে;মুসলমান ও অমুসলমান সম্প্রদায় বিনা দ্বিধায় ধর্ম পালন করবে।কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।কিন্তু যেখানে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ থাকে সেখানে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বার বার বাঁধাগ্রস্ত হয়।জামাত শিবির ইসলামের কথা বলে ইসলাম বিরোধী কাজ করে, ইসলাম বিরোধী রাজনীতি করে।জামাত শিবির আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে রাজনীতি করে।তাই জামাত শিবিরের রাজনীতিসহ ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।
প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এখনো ধর্মের অজুহাতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।আস্তিক নাস্তিক বিতর্ক তুলে তারা মানুষকে অতীতের মত বিভ্রান্ত করছে।৭১ এ তারা একই কাজ করেছিল।কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত মানুষকে তারা বিভ্রান্ত করতে পারেনি।এ দেশের সর্বস্তরের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিল।মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত নতুন প্রজন্মের চেতনাকেও কোন ষড়যন্ত্র ধংস করতে পারবে না।এই বাংলার প্রতিটি মানুষের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত হোক, এই প্রত্যাশা করছি।
ধর্ম যার যার,রাষ্ট্র সবার।
একসাথে চলতে পারে না।৭১ এর পরেই জামাত বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারায়।কিন্তু তারপর আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময় আমাদের দেশের কিছু ক্ষমতালোভী, জ্ঞানপাপী রাজনীতিবিদরা এই বাংলার মাটিতে জামাত শিবিরকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়।সেই সুযোগে জামাত এ দেশের শিক্ষা বঞ্ছিত মানুষকে ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করেছে।মাদ্রাসার ছাত্রদের দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে সুপরিকল্পিত ভাবে তাদেরকে নিজেদের হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগিয়েছে।আমাদের দেশের কোন সরকারই মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমের কোন সংস্কার করেনি, বরং মৌলবাদীদেরকে মাদ্রাসা নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে।যার ভয়াবহ ফলাফল আজ আমরা দেখছি।জামাত শিবিরের নেতারা রাস্তায় নামছে না।তারা দরজার আড়ালে থেকে একদল শিক্ষা বঞ্ছিত দরিদ্র মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাস্তায় নামাচ্ছে যারা মানুষ হত্যা করছে, পুলিশ হত্যা করছে,সংখ্যালঘুদের আক্রমন করছে,আমাদের শহীদমিনার ভাঙছে। দরজার আড়ালে থাকা এসব নরপিচাশরা অনেকেই এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।অনেক সময় আমরা দেখছি প্রসাশন তাদেরকে নিরাপত্তা দিচ্ছে।সরকারকে এখনই স্পষ্ট এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।দরজার আড়ালে থেকে যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্ছিত।তারা ধর্মপ্রান কিন্তু ধর্ম সম্পর্কে খুব কম জানে।জামাত শিবির এই অশিক্ষার সুযোগ নিয়ে কিছু জ্ঞানপাপীর সহায়তায় এইসব শান্তিপ্রিয় মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।৬২২ খ্রীস্টাব্দে ইসলাম ধর্মের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা হিজরত করে মদিনা পৌঁছে জাতীয় নিরাপত্তা,ভাতৃত্ব,সম্প্রীতি ও ধর্মীয় সহিষ্ণতার মাধ্যমে একটি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এক চুক্তি সম্পাদন করেন যা ইতিহাসে মদিনা সনদ নামে পরিচিতি লাভ করে।
এই সনদে ৪৭ টি ধারার মধ্যে একটি ধারা হচ্ছে পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় থাকবে;মুসলমান ও অমুসলমান সম্প্রদায় বিনা দ্বিধায় ধর্ম পালন করবে।কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।কিন্তু যেখানে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ থাকে সেখানে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বার বার বাঁধাগ্রস্ত হয়।জামাত শিবির ইসলামের কথা বলে ইসলাম বিরোধী কাজ করে, ইসলাম বিরোধী রাজনীতি করে।জামাত শিবির আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে রাজনীতি করে।তাই জামাত শিবিরের রাজনীতিসহ ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।
প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এখনো ধর্মের অজুহাতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।আস্তিক নাস্তিক বিতর্ক তুলে তারা মানুষকে অতীতের মত বিভ্রান্ত করছে।৭১ এ তারা একই কাজ করেছিল।কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত মানুষকে তারা বিভ্রান্ত করতে পারেনি।এ দেশের সর্বস্তরের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিল।মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত নতুন প্রজন্মের চেতনাকেও কোন ষড়যন্ত্র ধংস করতে পারবে না।এই বাংলার প্রতিটি মানুষের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত হোক, এই প্রত্যাশা করছি।
ধর্ম যার যার,রাষ্ট্র সবার।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।