সত্যায়নে মিথ্যাচার
চেয়ারম্যান সাহেবের নিজের চরিত্রের-ই ঠিক নেই, উনি আমার চরিত্রের সার্টিফিকেট দিবেন কিভাবে? মদ-গাজা, সন্ত্রাসী. লুচ্চামী, চাদাবাজিঁসহ এমন কোন অপরাধ নেই যা উনারা করেননি। তাদের সাক্ষর করা চারিত্রিক সনদ না হইলে ইউনিভার্সিটিতে আমাদের ভর্তি নেয় না।
আজীব ব্যাপার! একখানা ফার্স্টক্লাস অফিসারের সত্যায়িত কাগজ-পত্র হইলেই যেন দুনিয়ার সব চোর-বাটপারদের চরিত্র তুলসি পাতা ধোয়া আর বাতাসি পাতা দিয়ে মুছা হয়ে যাবে! সেদিন স্কুল লাইফের এক বন্ধুর অফিসে গিয়েছিলাম সত্যায়িত করতে ফার্স্টক্লাস অফিসারের খোজে। ও বলল, এটা নিয়ে এত টেনশনের কি আছে? এই বলে ড্রয়ার থেকে ৮/১০ টা সীল বের করে বলল, কয়টা লাগবে বল? আমি বললাম, এত অফিসারদের সীল তুই কোথায় পেলি? বলল উনারাই আমাকে এগুলো দিয়েছেন! উনাদের একটা কলমের খোচায় লাখ টাকা ইনকাম হয়। তোর সত্যায়নে সাক্ষর করার সময় আছে?
আরেক দিন গিয়েছিলাম একটি সরকারী অফিসে। একজন ফার্স্টক্লাস অফিসার বললেন, আপনাকে চিনি না, জানিনা, সত্যায়িত করব কিভাবে? যত্তসব! হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছিলাম। তখন উনি পেছন থেকে ডেকে বললেন, সত্যায়িত করা যাবে, তবে ২০০ টাকা লাগবে। মনে মনে ভাবলাম, যিনি ঘুষের বিনিময়ে সত্যায়িত করতে চান, তার নিজের চরিত্রেরই তো ঠিক নেই। তাই মুখের উপর বলে দিলাম। আমি ঘুষ দেইনা। এরপর গেলাম ঐ অফিসেরই আরেক অফিসারের কাছে। উনি বললেন, এই সামান্য কাজের জন্য আপনারা এত বিরক্ত করেন কেন? নিচে গিয়ে দেখেন একটা ফটোকপির দোকানে আমার সীল-সাক্ষর সবই আছে। যান, যতখুশি নিন!!
মনে মনে নিজেকে অনেক সৎ ভাবতে থাকলাম। কারণ, সব জায়গায় দুই নম্বরী হইলেই আমি তো লিগাল পন্থায় চেষ্টা করেছি। এখন দেখি চাহিবা মাত্র সব জায়গায় সীল-সাক্ষর পাওয়া যায়, তাও আবার পুরো ফ্রী।
আজীব ব্যাপার! একখানা ফার্স্টক্লাস অফিসারের সত্যায়িত কাগজ-পত্র হইলেই যেন দুনিয়ার সব চোর-বাটপারদের চরিত্র তুলসি পাতা ধোয়া আর বাতাসি পাতা দিয়ে মুছা হয়ে যাবে! সেদিন স্কুল লাইফের এক বন্ধুর অফিসে গিয়েছিলাম সত্যায়িত করতে ফার্স্টক্লাস অফিসারের খোজে। ও বলল, এটা নিয়ে এত টেনশনের কি আছে? এই বলে ড্রয়ার থেকে ৮/১০ টা সীল বের করে বলল, কয়টা লাগবে বল? আমি বললাম, এত অফিসারদের সীল তুই কোথায় পেলি? বলল উনারাই আমাকে এগুলো দিয়েছেন! উনাদের একটা কলমের খোচায় লাখ টাকা ইনকাম হয়। তোর সত্যায়নে সাক্ষর করার সময় আছে?
আরেক দিন গিয়েছিলাম একটি সরকারী অফিসে। একজন ফার্স্টক্লাস অফিসার বললেন, আপনাকে চিনি না, জানিনা, সত্যায়িত করব কিভাবে? যত্তসব! হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছিলাম। তখন উনি পেছন থেকে ডেকে বললেন, সত্যায়িত করা যাবে, তবে ২০০ টাকা লাগবে। মনে মনে ভাবলাম, যিনি ঘুষের বিনিময়ে সত্যায়িত করতে চান, তার নিজের চরিত্রেরই তো ঠিক নেই। তাই মুখের উপর বলে দিলাম। আমি ঘুষ দেইনা। এরপর গেলাম ঐ অফিসেরই আরেক অফিসারের কাছে। উনি বললেন, এই সামান্য কাজের জন্য আপনারা এত বিরক্ত করেন কেন? নিচে গিয়ে দেখেন একটা ফটোকপির দোকানে আমার সীল-সাক্ষর সবই আছে। যান, যতখুশি নিন!!
মনে মনে নিজেকে অনেক সৎ ভাবতে থাকলাম। কারণ, সব জায়গায় দুই নম্বরী হইলেই আমি তো লিগাল পন্থায় চেষ্টা করেছি। এখন দেখি চাহিবা মাত্র সব জায়গায় সীল-সাক্ষর পাওয়া যায়, তাও আবার পুরো ফ্রী।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আজাদ আলী ১১/১০/২০১৭ভালো। কবির প্রতি- প্রীতি, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন চিরন্তর............।
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১০/১০/২০১৭পাঠ করে মুগ্ধ হ'লাম। অনেক শ্রদ্ধা রইল আপনার জন্য।
-
আজাদ আলী ১০/১০/২০১৭Good