একটু মুক্তি চাই
জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে কত রজনী অশ্রুসিক্ত কেটেছে। একথা সত্য যে, পৃথিবীর সব অশ্রু স্বর্ণতুল্য, কখনো তা অযথা ঝরেনা। প্রখর রোদ্র তাপে মাটির দেহ জ্বলেছে উত্তপ্ত মরুভুমির দাহ্যের মত। দিনের আলো হারিয়ে রজনী যত গভীর হতে থাকল, চিন্তা নামক হায়েনারা তত কুড়ে কুড়ে খেতে লাগল মস্তিস্ক। ঐ হায়েনাদের দাপটে ক্লান্তি আর অবসাদে কেটেছে কত নির্ঘুম রজনী। এপাশ ওপাশ করে কেটেছে রাতের দু-তৃতীয়াংশ, তবুও দেখা মেলেনি নিথর নিদ্রার। অবশেষে যখন দেখা মিলেছে, তখন সুবহে সাদিক প্রায়। অর্ধনিদ্রায় পৌছেছি কেবল, তখনি বাতাসে ভেসে এলো সুললিত কন্ঠে ঐশি আহ্বান। ঘোষণা হল- “ঘুম থেকে নামাজ উত্তম”। নির্ঘুম রক্তবর্ণ চোখ আর ক্লান্ত দেহ নিয়ে বিছানা ছেড়ে ছুটে চললাম মসজিদ পানে। প্রভাত বেলার মৃদু হিমেল হাওয়া রাতের ক্লান্তি কিছুটা হলেও মুছে দিল। প্রভুর দরবারে মাথা নত করতে গিয়ে মানসিক প্রশান্তি খুজে পেলাম। ক্লান্তি, অবসাদ আরো অর্ধেকটা মুছে গেল। কিন্তু আবারো শুরু হল উত্তপ্ত সুর্য মামার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জীবন সংগ্রাম....। যুদ্ধ বিধ্বস্ত এ আহত দেহ একটু সুখ চায়। মস্তিস্ক চায় দীর্ঘ নিদ্রা...! কিন্তু ওকে কে বুঝাবে- জীবন মানেই সংগ্রাম, করে যেতে হয় সাধনা। ওকে সান্তনা দেয়ার যে কেউ নেই!!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আতাম মিঞা ১২/০৫/২০১৭বাস্তব কথা বর্ণনায় সমুজ্জল ! চমৎকার
-
পরশ ০৬/০৫/২০১৭ধন্য্বাদ
-
মধু মঙ্গল সিনহা ০৪/০৫/২০১৭ভালো ছিল্।
-
রাবেয়া মৌসুমী ০৪/০৫/২০১৭সুন্দর অনুভূিতর প্রকাশ,শুেভচ্ছা রইলো।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৪/০৫/২০১৭শেষটা আরও পরিষ্কার হলে ভালো হতো বন্ধু।