সিটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে
দরজায় কড়া নাড়ছে তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এগুলো স্থানীয় নির্বাচন হলেও বর্তমান পেক্ষাপটে এ নির্বাচন অনেক গুরুত্ব বহন করছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধের প্রাক্কালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচনে বহু জল্পনা-কল্পনা শেষে বিএনপি অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটাই এ নির্বাচনের গুরুত্ব অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর অনেক আগে থেকেই অনাস্থা জানিয়ে আসছে। সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবার তারা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এখন নিজেদের নিরপেক্ষ প্রমাণের সুবর্ণ সুযোগ নির্বাচন কমিশনের সামনে।
অতীতে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচনগুলোয় শাসক দলের প্রার্থীদের অনেক অনৈতিক সুযোগ গ্রহণের নজির রয়েছে। আমরা অতীতে ফিরে যেতে চাই না। বিধি অনুযায়ী স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচন কোনো দলের ব্যানারে করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে। তারপরও এ নিয়ম অনেকাংশেই কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ আছে। সব রাজনৈতিক দলই আড়ম্বরপূর্ণভাবে এ নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে।
কোনোদিকে না তাকিয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের এ ক্ষেত্রে নিজেদের নিরপেক্ষ প্রমাণ করতে হবে। যেহেতু নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা, সেহেতু কারও প্রতি তোয়াক্কা করার কোনো কারণ দেখি না। দেশবাসী আজ নির্বাচন কমিশনের দিকে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে। সবার আশা, এবার নির্বাচন কমিশন এমন একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে সমর্থ হবে, যা উদাহরণ তৈরি করবে। এজন্য সবার আগে যে কাজটি করতে হবে তা হল, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অর্থাৎ কোনো বিশেষ দলের নয় বরং সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। আশা করি, নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে ন্যায়নিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে।
……………………………………….
দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত (০১-০৪-১৫)
দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত (০২-০৪-১৫)
দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশে (০৩-০৪-১৫)
………………………………..
রাসেল আহমদ
প্রাবন্ধিক ও কথাসাহিত্যিক।
কুষ্টিয়া।
অতীতে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচনগুলোয় শাসক দলের প্রার্থীদের অনেক অনৈতিক সুযোগ গ্রহণের নজির রয়েছে। আমরা অতীতে ফিরে যেতে চাই না। বিধি অনুযায়ী স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচন কোনো দলের ব্যানারে করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে। তারপরও এ নিয়ম অনেকাংশেই কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ আছে। সব রাজনৈতিক দলই আড়ম্বরপূর্ণভাবে এ নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে।
কোনোদিকে না তাকিয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের এ ক্ষেত্রে নিজেদের নিরপেক্ষ প্রমাণ করতে হবে। যেহেতু নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা, সেহেতু কারও প্রতি তোয়াক্কা করার কোনো কারণ দেখি না। দেশবাসী আজ নির্বাচন কমিশনের দিকে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে। সবার আশা, এবার নির্বাচন কমিশন এমন একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে সমর্থ হবে, যা উদাহরণ তৈরি করবে। এজন্য সবার আগে যে কাজটি করতে হবে তা হল, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অর্থাৎ কোনো বিশেষ দলের নয় বরং সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। আশা করি, নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে ন্যায়নিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে।
……………………………………….
দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত (০১-০৪-১৫)
দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত (০২-০৪-১৫)
দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশে (০৩-০৪-১৫)
………………………………..
রাসেল আহমদ
প্রাবন্ধিক ও কথাসাহিত্যিক।
কুষ্টিয়া।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জাহিদুর রহমান ১৪/০৪/২০১৫Nirapakkhota thakla BNP HOBE
-
স্বপন রোজারিও(১) ০৮/০৪/২০১৫নিরপেক্ষ সিটি নির্বাচন চাই।
-
সবুজ আহমেদ কক্স ০৮/০৪/২০১৫চমৎকার ভাবনার প্রয়াস
শুভ কামনা রইল
শুভ বিকাল