প্রতিবন্ধী ভাতা ও সমাজকমীর কান্ড
উপজেলা ডরমেটর্রীর পাশেই উপজেলা সমাজসেবা অফিস । সবাই ডরমেটরী ছেড়ে অফিসে । শুধু ব্যতিক্রম আমি আর জনাব হক । জনাব হক প্রস্তুতি অফিসে যাবার । বারান্দায় যেতেই জনাবের দৃষ্টি, ডরমেটরী চত্ত্বরে দাঁড়ানো ছেলেদের মত করে চুলকাটা,জীর্ণ পোশাকের আলাভোলা চেহারার কিশোরীটির দিকে । ইশারায় ডাক দিয়ে রুমে নিয়ে দরজার কপাট ভিড়িয়ে দেন । আমি চলে যাই গোসলে । গোসল সেরে দুতালার সিঁড়িতে উঠতেই কিশোরীটি দৌড়ে নিচে চলে যায় , অপরদিকে জনাব হক অনেকটা ক্লান্ত হযে অফিসে যাচ্ছেন । কিশোরীটিকে চিনতে আমার মোটেও কষ্ট হয়নি । মনেপড়ে যায়, গতকাল মধ্যরাতে ঘুমিয়ে আছি ভেবে জনাব হক ও তার সহকর্মীর কথোপকথন,হকের হীন মনোবাসনা,কিশোরীটির স্পর্শকাতর অংশগুলোর রসালো আলোচনাসহ, হকের বসের সাথে কিশোরীটির সম্পর্ক,ভদ্রলোক বদলী হলে তাকে দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে যাবেন তার সহকর্মীকে এসব আলোচনা । এতো সেই মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোর্রীটি যার আজ সমাজসেবা অফিসে এসে প্রতিবন্ধীভাতা নেবার কথা । প্রতিবন্ধীভাতার সাথে নিয়ে গেলো হয়তো আরেকটি প্রতিবন্ধীর জম্মভ্রুনও । আবারো হয়তো যে এভাবেই আসবে জনাব হকদের কাছে প্রতিবন্ধী ভাতা নিতে । আর জনাব হকরা স্থাপন করবেন সমাজ সেবার বিরল দৃষ্টান্ত!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আরজু নাসরিন পনি ২৭/১০/২০১৩
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ২৬/১০/২০১৩কত কুৎসিত আমাদের মনমানসিকত।
-
জহির রহমান ২৫/১০/২০১৩ধিক্ ওই নরপশুদেরৱ, যারা সমাজ সেবা মুখোশের আড়ালে সমাজকে প্রতিনিয়ত ধর্ষন করে যায়। ধিক্ ওদের... শত ধিক্!
মনে হয় ওইসব মানুষের মুখোশ পরা পশুদের আজন্ম লালসার ওই অংশটুকুকে ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে ছিন্নভিন্ন করে দেই ...
বিবেকের কাঠগড়ায় কি এরা কখনোই দাড়ায় না ?
এদের হয়তো বিবেক বলতেই কিছু নেই ...এরা হয়তো কখনোই ভাবে না, ওদের মা-বোনও শিকার হতে পারে এমনই মানুষের মুখোশ পরা কোন পশুর ।
হায়রে মানবজাতি !