চারিত্রিক সনদ
ইমতিয়াজ আহমেদ সরকার একটি বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন । সরকারী চাকুরীতে প্রবেশের বয়েস প্রায় শেষের দিকে । জীবনের শেষ চাকুরীর আবেদন করবেন এবার । প্রয়োজন ১ম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক চারিত্রক সনদ । সেই চারিত্রিক সনদের জন্য গেছেন জেলা শহরের সরকারী কলেজের দর্শন বিভাগের এক প্রভাষিকার কাছে । প্রভাষিকার মুখোমুখি হতেই তিনি হন বাকরুদ্ধ ! স্মৃতিচারণ করেন বর্তমান চাকুরীতে তার প্রথমদিকের কথা । তার সাথে অফিস কোয়ার্টারে থাকতো একই পদের আরেক ব্যাচলর সহকর্মী মির্জা প্রিন্স মাহমুদ । হঠাৎকরেই প্রণয়সূত্রে বিয়ে করেন খুলনা হাজী মহসিন কলেজের দর্শনে অর্নাস ফাইনাল ইয়ারে পড়ুয়া সুদর্শনা, সুনয়না, সুকেশী, সুবেশী(ডিজিটাল বেশ) চটপটে রাবেয়া সিকদারকে । নববধূটি কখনো খুলনায় হলে, কখনো কোয়ার্টারে থাকেন । অফিস ক্যাম্পাসে সবার সাথে ডিজিটাল বধূর অত্যাধুনিকভাব । মাস কয়েক পর সরকারের ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে কিছু টাকা খোয়া যায । তিনি লজ্জ্বায় তা চেপেও যান । তবে আবার ড্রয়ার খুলেই রাখেন । তবে খেয়াল রাখেন আবার কি হয় । এক সপ্তাহপর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি । এবার আকাশ ভেঙ্গে মাথায পড়ে সরকারের । তবে হাল ছাড়েননি । কে নিয়েছে টাকাটা,হিসেব মেলানো ভার । তবে তা উদ্ধার করতেই হবে । বাসায় বাইরে থেকে লোক আসেনা । যদিও কেউ আসে ভিতর থেকে খুলে দিতে হয় । বাসায় থাকেন মির্জা দম্পতি,সরকার ও কাজের মেয়েটি । গোলকধাঁধায় পড়েন তিনি । কাজের মেয়েটি অশিক্ষিত, গরীব তবে হাত টানের অভ্যেস নেই । যা পরীক্ষিত. প্রমাণিত । মির্জা সাহেব তিনি কল্পনাতীত ভদ্রলোক । তার দ্ধারা এটা অসম্ভব । তবে কি দর্শনের ছাত্রীর বাস্তব কোন দর্শন লাভের আশায় নববধূর নবরুপের বহিঃপ্রকাশ ! এটাওতো অসম্ভব । তবে আগুন্তককে বিশ্বাস নেই, এইসূত্র ধরেই এগিয়ে যান সরকার এবং গোলকধাঁধাটার সমাধানও করেন । নববধূর ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে টাকাগুলো উদ্ধার করেন এবং দর্শনের ছাত্রীকে বুঝিয়ে দেন, দর্শন কি? তারপর চুপচাপ বেশ কিছুদিন । হঠাৎ একদিন লাঞ্চ আওয়ারে ফাঁকা বাসায় একা পেযে জড়িয়ে ধরেন সরকারকে । একঝটকায সরকার ছাড়িযে নেন নিজেকে এবং চপেটাঘাত করে , সতর্ক করেন নববধুকে । সরকার বদলী হয়ে অন্যত্র চলে যান । আজকের প্রভাষিকা সেই নববধূটি । যার কাছে তিনি চারিত্রিক সনদ নিতে এসেছেন ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আরজু নাসরিন পনি ২৫/১০/২০১৩
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ২৪/১০/২০১৩মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।যার চরিত্র ঠিক থেকে না তারাইই চারিত্রিক সনদ দিতে পারেন।কারণ এটা বাংলাদেশ।
-
জহির রহমান ২৪/১০/২০১৩রাখাল ভাই, এসে গেলাম।
আমরা চরিত্রহীনদের কাছ থেকেই এখন চারিত্রিক সনদপত্র নেই ।।