করোনা কাল অথবা একটি অশান্ত সময়ের অভিজ্ঞতা
যখন লেখাটা লিখছি তখন অনেক রাত। অনিদ্রা সঙ্গী হয় প্রায় রাতেই। এখন এত রাতে একাকী বিছানায় বসে ভীষণ আত্মগ্লানি হচ্ছে। অতিমারীর যে অবসম্ভাবী অসুস্থতা তা শরীর ও মননে যেভাবে অঙ্গাঙ্গিভাবে মিশেছে তাতে তাকে একান্ত নিজের করে নেওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। হা , ঠিক তাই, একান্ত নিজের-এই একাকিত্ব এই ভালো না লাগা সব আমার। এ অহংকার নয়, একটি বোধ--"আলো –অন্ধকারে যাই- মাথার ভিতরে/স্বপ্ন নয়,- কোন এক বোধ কাজ করে!/আমি তারে পারি না এড়াতে,/ সে আমার হাত রাখে হাতে" ....
IDBG হাসপাতালে covid ওয়ার্ড এ প্রবেশদ্বারে বড়ো করে লেখা COVID 19- 'কালো অক্ষরে'। এরপর দেখেছি ক্রিটিক্যাল রোগীর মাঝরাতে চিৎকার রাত্রির নিস্তব্ধতা কে ভেঙে খান খান করে দিত। কি করুন আর্তি, কি নিরুপায় রোদন। সামান্য স্বাসবায়ুর জন্য কোনো এক হ্যাঁ ঈশ্বর বা না ঈশ্বর এর কাছে ভাষাহীন শব্দ আকুতি। তারপর নিথর দেহে প্রহর গোনা। অন্তত ঘন্টা চারেক, প্রোটোকল সম্ভবত। হ্যাঁ , আমার পাশেই বসে , বসে বসেই সে নেই। মুখ সামান্য খোলা।যেন কিছু বলতে চায়, কিংবা শেষ সময় একটু জল খেতে চেয়েছিল- জোটেনি। আচ্ছা এই সন্ধিক্ষনের সাক্ষী থাকা সে কি কম যন্ত্রণার? আত্মীয়, অনাত্মীয় এ ভাবনা এখানে নিরর্থক। DUTY রত স্টাফ রা একটি কালো পলিথিন এ মুড়ে একটি লেভেল এঁটে দিলো--COVID 19। ব্যাস জীবন থেকে তার পাওনা এটাই--কালো পলিথিন। এই বোধ ক্ষণে ক্ষণে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ঘুমাতে দেয় না বহু রাত। এইরকম কত লাশ চোখের সামনে দিয়ে চলে গেল। কোথাও কোনো উপায় নেই- নেই কোনো কল্পতরু, প্রফেসর শঙ্কুর সেই সর্বরোগ হরক মিরাকিউরল বটিকা ইন্ডিকা বা কোনো মধুসূদন দাদা- যাকে ডাকলেই সাথে সাথে....।
গৃহবন্দী, HOME QUARENTINE পর্বেও একই ঘরে একঘেয়ে জীবন। 10/10 একটা ঘরে দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা- চলছে তো চলছেই। খবর পাই বহু কাছের মানুষ হঠাৎ করেই চলে গেল। ভীষণ মন খারাপ হয়। কিন্তু কিছু করার নেই। সাথে সাথে দেখেছি SOCIAL বয়কট এর কালো কদর্য রূপ-- এই রকম ও হয়? নানান চিন্তা- দুর্বিসহ, দুর্বিনীত ভিড় করে আসে চিন্তায়। সমাজ ও সংসারের নানা চিন্তায় আজ নিজের একাকিত্বই প্রকট হয় । আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে ধরে জীবন কে। ভাবি এই সব অন্যকে বলে কি হবে। তাদের মন ভারাক্রান্ত হবে। যে সমস্যা শুধু মাত্র আমার তা অন্যের চিন্তায় ছড়িয়ে না দেওয়াটাই rational হবে। যা হয়েছে , হচ্ছে, ও হবে- তা কেবলই আমার। তাকেই আমি আপন করে নিই না কেন।
পোস্ট কোভিড পরিস্থিতিতে শরীর সম্পূর্ণ স্থিতিশীল নয়। কিছু কমপ্লিকেশন আছে। তাছাড়া শরীর ও মনের এই দৈরথ সামলানো বড়ো দায়।
যারা শুভানুধ্যায়ী , মঙ্গল কামনা করেছেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, নতমস্তক। অনেকে ফোন করেছেন - উত্তর দিতে পারিনি। তাই ক্ষমাপ্রার্থী। সকলের সময় শুভ হোক.......
IDBG হাসপাতালে covid ওয়ার্ড এ প্রবেশদ্বারে বড়ো করে লেখা COVID 19- 'কালো অক্ষরে'। এরপর দেখেছি ক্রিটিক্যাল রোগীর মাঝরাতে চিৎকার রাত্রির নিস্তব্ধতা কে ভেঙে খান খান করে দিত। কি করুন আর্তি, কি নিরুপায় রোদন। সামান্য স্বাসবায়ুর জন্য কোনো এক হ্যাঁ ঈশ্বর বা না ঈশ্বর এর কাছে ভাষাহীন শব্দ আকুতি। তারপর নিথর দেহে প্রহর গোনা। অন্তত ঘন্টা চারেক, প্রোটোকল সম্ভবত। হ্যাঁ , আমার পাশেই বসে , বসে বসেই সে নেই। মুখ সামান্য খোলা।যেন কিছু বলতে চায়, কিংবা শেষ সময় একটু জল খেতে চেয়েছিল- জোটেনি। আচ্ছা এই সন্ধিক্ষনের সাক্ষী থাকা সে কি কম যন্ত্রণার? আত্মীয়, অনাত্মীয় এ ভাবনা এখানে নিরর্থক। DUTY রত স্টাফ রা একটি কালো পলিথিন এ মুড়ে একটি লেভেল এঁটে দিলো--COVID 19। ব্যাস জীবন থেকে তার পাওনা এটাই--কালো পলিথিন। এই বোধ ক্ষণে ক্ষণে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ঘুমাতে দেয় না বহু রাত। এইরকম কত লাশ চোখের সামনে দিয়ে চলে গেল। কোথাও কোনো উপায় নেই- নেই কোনো কল্পতরু, প্রফেসর শঙ্কুর সেই সর্বরোগ হরক মিরাকিউরল বটিকা ইন্ডিকা বা কোনো মধুসূদন দাদা- যাকে ডাকলেই সাথে সাথে....।
গৃহবন্দী, HOME QUARENTINE পর্বেও একই ঘরে একঘেয়ে জীবন। 10/10 একটা ঘরে দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা- চলছে তো চলছেই। খবর পাই বহু কাছের মানুষ হঠাৎ করেই চলে গেল। ভীষণ মন খারাপ হয়। কিন্তু কিছু করার নেই। সাথে সাথে দেখেছি SOCIAL বয়কট এর কালো কদর্য রূপ-- এই রকম ও হয়? নানান চিন্তা- দুর্বিসহ, দুর্বিনীত ভিড় করে আসে চিন্তায়। সমাজ ও সংসারের নানা চিন্তায় আজ নিজের একাকিত্বই প্রকট হয় । আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে ধরে জীবন কে। ভাবি এই সব অন্যকে বলে কি হবে। তাদের মন ভারাক্রান্ত হবে। যে সমস্যা শুধু মাত্র আমার তা অন্যের চিন্তায় ছড়িয়ে না দেওয়াটাই rational হবে। যা হয়েছে , হচ্ছে, ও হবে- তা কেবলই আমার। তাকেই আমি আপন করে নিই না কেন।
পোস্ট কোভিড পরিস্থিতিতে শরীর সম্পূর্ণ স্থিতিশীল নয়। কিছু কমপ্লিকেশন আছে। তাছাড়া শরীর ও মনের এই দৈরথ সামলানো বড়ো দায়।
যারা শুভানুধ্যায়ী , মঙ্গল কামনা করেছেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, নতমস্তক। অনেকে ফোন করেছেন - উত্তর দিতে পারিনি। তাই ক্ষমাপ্রার্থী। সকলের সময় শুভ হোক.......
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জামাল উদ্দিন জীবন ২৯/০৮/২০২১বেশ
-
ভাস্কর অনির্বাণ ১৯/০৭/২০২১বেশ চমৎকার