সুনামির উপহার
বাতাসে এখন দুর্গন্ধ! মুখে রক্তমাখা দু'একটা কুকুর আর ছন্নছাড়া কয়েকটা কাক ছাড়া প্রাণের কোনো অস্তিত্ব নেই! আমি একা---এই ধুলি-ধুসর আঁকা-বাঁকা ভাঙাচোরা অজানা অচেনা পথে চলেছি। পথ তো নয়---শুধু বালি-মাটি-শিকড়-বাকড়, এবড়ো-খেবড়ো পাথরের বিছানা। তার সাথে মাঝে মাঝে ভাঙা ডালপালার সংযোজনে, ভেসে আসা ঘরবাড়ির ভগ্নাবশেষ মিলে-মিশে হয়ে উঠেছে আদিম শ্মশানপুরী।
বিশাল জলরাশির তান্ডবনৃত্য এতক্ষণে শেষ হয়েছে---মুক্ত বাতাসের খেলা বন্ধ! বাতাসে এখনো দুর্গন্ধ!!
রামু কাকা,করিম চাচা ডিঙি বেয়ে,জাল ফেলে মাছ ধরতে গেল---কই তারা তো এখনো ফিরলো না। ও পাড়ার নন্দদুলাল প্রতিদিন দুধ নিয়ে,এই পথ দিয়ে যেতো---আজ সে পথ বন্ধ! বাতাসে দুর্গন্ধ!!
কাজলী নামে জেলেপাড়ার সেই মেয়েটি তার বাবার হাত ধ'রে প্রতিদিন প্রাতঃভ্রমণে আসতো। আজ কেন সে এলো না! সে ছিল জন্মান্ধ! বাতাসে ভীষণ দুর্গন্ধ!!
যে ঝরা-বকুল বিছানো পথে ফুলপাড়ার মালিনীর মেয়েরা, ফুল কুড়োতে ঘুম-মোছা চোখে,পাখিদের সাথে আসতো---আজ তারা তো এলো না! ওদের পথ বুঝি বন্ধ! বাতাসে আজ দুর্গন্ধ!!
খোকন-সোনা ঘুমিয়েছিল মায়ের কোল ঘেঁষে! নীলপরী আর জলপরীর স্বপ্ন ছিল যার মনে, মায়ের মুখে ঘুমপাড়ানী মাসীর গল্প শুনতে শুনতে, ঘুমিয়ে পড়েছিল চাঁদের আলোর বিছানায়---জলপরী সুনামিরূপে ছলপরী হয়ে নিয়ে গেলো কোন অজানায়---মায়ের কোল ক'রে অন্ধ!বাতাসে দারুন দুর্গন্ধ!!
আমি এখনো একা,এই প্রাণহীন ভূখন্ডের মাঝে! চারদিকে বিশাল জলরাশির হুহুঙ্কার---যেন প্রতিশোধস্পৃহায় উন্মত্ত!আদিম হিংস্রতার প্রকাশ! বিশালাকার জলরাজের জলদূত বারে বারে এসে দেখে যায়,মনুর পুত্রকন্যারা কি এখনো জ্যান্ত? বাতাসে মৃতের গন্ধ!!
বিশাল জলরাশির তান্ডবনৃত্য এতক্ষণে শেষ হয়েছে---মুক্ত বাতাসের খেলা বন্ধ! বাতাসে এখনো দুর্গন্ধ!!
রামু কাকা,করিম চাচা ডিঙি বেয়ে,জাল ফেলে মাছ ধরতে গেল---কই তারা তো এখনো ফিরলো না। ও পাড়ার নন্দদুলাল প্রতিদিন দুধ নিয়ে,এই পথ দিয়ে যেতো---আজ সে পথ বন্ধ! বাতাসে দুর্গন্ধ!!
কাজলী নামে জেলেপাড়ার সেই মেয়েটি তার বাবার হাত ধ'রে প্রতিদিন প্রাতঃভ্রমণে আসতো। আজ কেন সে এলো না! সে ছিল জন্মান্ধ! বাতাসে ভীষণ দুর্গন্ধ!!
যে ঝরা-বকুল বিছানো পথে ফুলপাড়ার মালিনীর মেয়েরা, ফুল কুড়োতে ঘুম-মোছা চোখে,পাখিদের সাথে আসতো---আজ তারা তো এলো না! ওদের পথ বুঝি বন্ধ! বাতাসে আজ দুর্গন্ধ!!
খোকন-সোনা ঘুমিয়েছিল মায়ের কোল ঘেঁষে! নীলপরী আর জলপরীর স্বপ্ন ছিল যার মনে, মায়ের মুখে ঘুমপাড়ানী মাসীর গল্প শুনতে শুনতে, ঘুমিয়ে পড়েছিল চাঁদের আলোর বিছানায়---জলপরী সুনামিরূপে ছলপরী হয়ে নিয়ে গেলো কোন অজানায়---মায়ের কোল ক'রে অন্ধ!বাতাসে দারুন দুর্গন্ধ!!
আমি এখনো একা,এই প্রাণহীন ভূখন্ডের মাঝে! চারদিকে বিশাল জলরাশির হুহুঙ্কার---যেন প্রতিশোধস্পৃহায় উন্মত্ত!আদিম হিংস্রতার প্রকাশ! বিশালাকার জলরাজের জলদূত বারে বারে এসে দেখে যায়,মনুর পুত্রকন্যারা কি এখনো জ্যান্ত? বাতাসে মৃতের গন্ধ!!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহাম্মদ তারেক ১৩/১০/২০১৪অসম্ভব ভাল লাগা আপনার কবিতায়....যে বিরানভূমির ছবি ভেসে উঠল কবিতায় তা অসাধারন সঙ্গবদ্ধ। একটা অসঙ্গতি চোখে পড়ল...বিপর্যয়ের উদ্দামতায় মুখে রক্তমাখা দুয়েকটা কুকুর জীবিত থাকল কি করে?? এগিয়ে যাওয়া কামনা করছি.....
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ১৩/১০/২০১৪লেখার ধরনটা বেশ ভালো লাগলো।
-
শিমুল শুভ্র ১৩/১০/২০১৪বাহ!!!! দারুণ লাগলো