এ দায় পুরো জাতির
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী দেশের ইতিহাসে যে কলন্ক লেপন হলো তা কি আমরা কোন দিন মোচন করতে পারবো? জানিনা।
৫৭ জন সেনা অফিসারকে আমরা হারিয়েছি। কি ছিল তাদের অপরাধ! অনেক জানার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন সদুত্তোর পাইনি। বেশি ঘাটলে বিশেষ মহলের রোসানলেও নাকি পরতে হতে পারে। তাই চুপ হয়ে গেলাম।
মৃত্যুর ভয় কার না আছে। তবে যতটুকু জেনেছি বুঝেছি তাদের একটাই অপরাধ, ৫৭ জন সেনা অফিসারের মধ্যে ছিল প্রচন্ড ভালোবাসা। তারা নিজ জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসতেন দেশকে, দেশের মানুষকে। ভালবাসার দেশ প্রেমের প্রমান ও দিয়েছেন রক্ত ঝরিয়ে জীবনের দামে। আজ আমরা তাদের স্মরন করি। শ্রদ্ধা আর ভালবাসায়। নিচের চিঠিটি দেশপ্রেমিক বাবাকে লেখা একজন সন্তানের ভালবাসার আনরিক প্রকাশ-------------
I love you Baba and I miss you so much.
তুমি যখন বেঁচে ছিলে তখন কেন জানি কখনও তোমাকে বলা হয় নাই, জানিনা কেন। হয়ত ভাবতাম অনেক সময় আছে বলার, কিভাবে জানবো যে আজকে রাতে তোমার সাথে বসে গল্প করবো আর কালকে তুমি অফিস থেকে আর কখনই ফিরবে না? তুমি দেখতে পারলা না আমার results গুলো, Golden A+ পাওয়ার অথবা মেডিক্যালে chance পাওয়ার খবরটা কিভাবে তোমাকে দেয়া যায় আমি জানতাম না। ফরমালিন দেয়া লাশ দেখলেই কান্না পায়। আগে যখন ঘুমাতে ভয় পেতাম, পোকা বা ফ্যান এর ক্যাচক্যাচ আওয়াজ কে অন্য কিছু ভেবে চিৎকার দিতাম, তুমি দৌড়ায়ে আসতে বাবা, এখন আর ভয় পাই না এইসব। বাবা বলে ডাকা যায় না তো। আহা, কতদিন 'বাবা' ডাকি না। কেউ আমার সামনে 'বাবা' বললেই কেমন কেমন জানি লাগে! বাবা, আমার এখনও মনে হয় তুমি কোন এক secret mission এ গিয়েছ, mission শেষ হলেই চলে আসবা। কিন্তু তুমি তো আসবা না। তোমাকে ওরা জোর করে নিয়ে গিয়েছে... আমি প্রতিদিন রাত জেগে ভাবি, ওইদিন এতো গণ্ডগোল না হয়ে যদি অন্য কিছু হতো? আমাদের সবার বাবা থাকতো!!!!!!!!
আমার এইসব কথা শুনার কেউ নাই, আম্মু কষ্ট পাবে যদি জানে আমি এইসব ভাবি।
আচ্ছা, এমন যদি একটা টেলিফোন থাকতো যেটা দিয়ে তোমাকে ফোন দেয়া যেত? এভাবে বেঁচে থাকা কিন্তু অনেক কষ্ট, তুমি বুঝবা না। আমাদের মতন ভাগ্য যেন আর কারো না হয়। ভালো থেকো বাবা।
------------- তোমার মেয়ে----------------
-------------------------------------------
এ বোনটির কষ্টগুলো যেন আমাদের কষ্ট হয়েই থাকবে।
৫৭ জন সেনা অফিসারকে আমরা হারিয়েছি। কি ছিল তাদের অপরাধ! অনেক জানার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন সদুত্তোর পাইনি। বেশি ঘাটলে বিশেষ মহলের রোসানলেও নাকি পরতে হতে পারে। তাই চুপ হয়ে গেলাম।
মৃত্যুর ভয় কার না আছে। তবে যতটুকু জেনেছি বুঝেছি তাদের একটাই অপরাধ, ৫৭ জন সেনা অফিসারের মধ্যে ছিল প্রচন্ড ভালোবাসা। তারা নিজ জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসতেন দেশকে, দেশের মানুষকে। ভালবাসার দেশ প্রেমের প্রমান ও দিয়েছেন রক্ত ঝরিয়ে জীবনের দামে। আজ আমরা তাদের স্মরন করি। শ্রদ্ধা আর ভালবাসায়। নিচের চিঠিটি দেশপ্রেমিক বাবাকে লেখা একজন সন্তানের ভালবাসার আনরিক প্রকাশ-------------
I love you Baba and I miss you so much.
তুমি যখন বেঁচে ছিলে তখন কেন জানি কখনও তোমাকে বলা হয় নাই, জানিনা কেন। হয়ত ভাবতাম অনেক সময় আছে বলার, কিভাবে জানবো যে আজকে রাতে তোমার সাথে বসে গল্প করবো আর কালকে তুমি অফিস থেকে আর কখনই ফিরবে না? তুমি দেখতে পারলা না আমার results গুলো, Golden A+ পাওয়ার অথবা মেডিক্যালে chance পাওয়ার খবরটা কিভাবে তোমাকে দেয়া যায় আমি জানতাম না। ফরমালিন দেয়া লাশ দেখলেই কান্না পায়। আগে যখন ঘুমাতে ভয় পেতাম, পোকা বা ফ্যান এর ক্যাচক্যাচ আওয়াজ কে অন্য কিছু ভেবে চিৎকার দিতাম, তুমি দৌড়ায়ে আসতে বাবা, এখন আর ভয় পাই না এইসব। বাবা বলে ডাকা যায় না তো। আহা, কতদিন 'বাবা' ডাকি না। কেউ আমার সামনে 'বাবা' বললেই কেমন কেমন জানি লাগে! বাবা, আমার এখনও মনে হয় তুমি কোন এক secret mission এ গিয়েছ, mission শেষ হলেই চলে আসবা। কিন্তু তুমি তো আসবা না। তোমাকে ওরা জোর করে নিয়ে গিয়েছে... আমি প্রতিদিন রাত জেগে ভাবি, ওইদিন এতো গণ্ডগোল না হয়ে যদি অন্য কিছু হতো? আমাদের সবার বাবা থাকতো!!!!!!!!
আমার এইসব কথা শুনার কেউ নাই, আম্মু কষ্ট পাবে যদি জানে আমি এইসব ভাবি।
আচ্ছা, এমন যদি একটা টেলিফোন থাকতো যেটা দিয়ে তোমাকে ফোন দেয়া যেত? এভাবে বেঁচে থাকা কিন্তু অনেক কষ্ট, তুমি বুঝবা না। আমাদের মতন ভাগ্য যেন আর কারো না হয়। ভালো থেকো বাবা।
------------- তোমার মেয়ে----------------
-------------------------------------------
এ বোনটির কষ্টগুলো যেন আমাদের কষ্ট হয়েই থাকবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ সাইফুল ইসলাম ২৮/০২/২০১৫হৃদয় বিধারক। আমরা জাতি হিসেবে লজ্জিত!
-
সবুজ আহমেদ কক্স ২৭/০২/২০১৫খুব ভালো লাগলো