www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

পাঠশালার শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন স্মরণীয় প্রস্তুতি সভা

আমাদের পাঠশালার শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা আহ্বান করা হলো। মঠবাড়ীয়া প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম ভাইয়ের পক্ষ থেকে আ শ ম মামুন ভাইয়ের মগবাজারস্থ অফিসে হাজির হলাম।বনানী থেকে মগবাজারের উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠেই ভাবনার রাজ্যে ডুব দিলাম।চেনা অচেনা অনেক লোক থাকবেন সেখানে। মনে করেছিলাম উপস্থিতিও হবে অনেক। অনেক লোকের সাথে নতুন করে পরিচয় হবে। আবার ভাবছি একশত বছরের পুরোনো স্কুলের অ – নে - ক ছাত্র/ছাত্রীর মধ্যে একশত জনও যদি উপস্থিত হয় তবে সবার সাথে কি পরিচিত হওয়া সম্ভব হবে? মিটিংয়ে কি কি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে, কোন কোন বিষয়ে আমার কি কি পরামর্শ থাকবে তারও প্রাথমিক ভাবনাটা বাসে যেতে যেতেই করতেছিলাম।অগোছালো সাত-পাঁচ ভাবনা মাথায় ঘুরপাঁক খাচ্ছে।কিন্তু মামুন ভাইয়ের অফিসে গিয়ে রীতিমত অবাক।ইঞ্জিনিয়ার মিঠু ভাই, জহির ভাই আর মামুন ভাই বসে আছেন, হিমন ভাই পথে আসছেন, আর আমি সব মিলে পাঁচ জন।যে যার মত করে অগোছালো কিছু আলোচনা শেষে দ্বিতীয় সভার দিন তারিখ ঠিক করে মামুন ভাইয়ের পক্ষ থেকে আপ্যায়িত হয়ে বাসায় ফিরলাম।এখানে একটি কথা না বললেই নয়, জহির ভাই ছাড়া বাকি তিন জনের সাথে ওটাই ছিল আমার প্রথম পরিচয়।

দ্বিতীয় প্রস্তুতিমূলক সভায় লোক বাড়ল আরো তিনজন- বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গিত শিল্পী কবি তসলিম ভাই, স্কাউটের দুলু ভাই ও ক্যাম্রিয়ান শিক্ষক নয়ন ভাই। এখানেও নয়ন ভাই ছাড়া বাকি দু’জন পূর্ব পরিচিত ছিলেন না। ব্যক্তিগত আলাপ পরিচয় না থাকলেও তাদের নামে চিনতাম জানতাম।দ্বিতীয় সভায় পাঠশালার শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন নিয়ে অনেক প্রয়োজনীয় আলোচনা হলো। উপস্থিত আটজনের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ আমি, কি মেধায়-কি সম্পদে-কি সম্মানে কোন দিক দিয়ে তাদের সমতূল্যতো নয় কাছাকাছিও না। আমার পাঠশালার শতবর্ষ উদযাপন আয়োজনে তাদের পাশে থেকে কাজ করছি এতেই আমি খুশি। যে আটজন উপস্থিত ছিলাম সবাই আমরা কাজের লোক। নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোতে সবাই পারদর্শি। নিঃস্বার্থ সমাজ সেবা কয়জনই বা করতে পারে? জহির ভাইতো বলেই ফেললেন কমিটিতে তার নাম যেন না থাকে।আমিও তাই। কোথায় নাম থাকলো বা না থাকলো তাতে কি আসে যায়। চাই কাজ। চাই সুন্দর হোক পাঠশালার সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের এ মহান মিলন মেলা। এত বড় বিশাল আয়োজনে পেছনে থেকে, সফল মানুষ গুলোর পাশে থেকে কাজ করতে পারাই গৌরবের। মঠবাড়িয়া সমাচার পত্রিকার শুরু থেকে তসলিম ভাই সম্পর্কে যে একটু আধটু জানি তা হলো তিনি একজন সাংস্কৃতিবান মানুষ এবং ঐদিন পুরো সভা জুড়ে তার পরামর্শ, কথা বলার ডঙ, বাচন ভঙ্গি, স্ব-রচিত কবিতা আবৃতি ইত্যাদি আমাকে বুঝিয়ে দিলো তিনি সবকিছুর উপরে একজন কাজের মানুষ।ভাল মানুষ।সুস্থ-সুন্দর সমাজ নিয়ে যারা ভাবেন তিনি তাদের দলে।উদার অমায়িক।যা সত্য ও সুন্দর তা তিনি অকপটে বলতে পারেন।প্রথম পরিচয়ে তার কাছ থেকে উপহার পেলাম তার লেখা একটি কবিতার বই “আপন দর্পনে”। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম বাসায় ফেরার আগেই। মঠবাড়িয়াকে নিয়ে যাদের কিছু করার চিন্তা আছে সেই ইঞ্জিনিয়ার মিঠু ভাই, দেলোয়ার ভাই, আ শ ম মামুন ভাই, জহির ভাই, হিমন ভাই, নয়ন ভাইদের পাশে আজ আমিও ছিলাম।পাঠশালার শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন প্রস্তুতি সভা আমার নিকট স্মরণীয় একটি মূহুর্ত।নিঃস্বার্থ ভাবে তাদের পাশে যেন থাকতে পারি- এলাকার জন্য কাজ করতে পারি পরম করুনাময়ের কাছে এই মিনতি রাখি।

ঢাকা,12/02/2015 ইং
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ১২৪৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৪/০২/২০১৫

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • জহির রহমান ১৪/০২/২০১৫
    প্রথমত মহান রব আপনার প্রার্থনা কবুল করুন, আমিন।
    যারা নিঃস্বার্থ সমাজ উন্নয়নে কাজ করেন, এমনকি নিজের নাম কুড়ানোর জন্যেও নয়, বরং সমাজকে নিজের মূল্যবান সম্পদ থেকে দিতে থাকেন- আমি তাদেরকে ভালোবাসি। তাদেরকে কেন যেন খুব আপন লাগে।
    সামাজিক উন্নয়নে নিঃস্বার্থ অবদান রাখার জন্য আমরা তরুণ ও যুবকদের সমন্বয়ে গড়ে তুলেছি “রায়পুর তরুণ ও যুব ফোরাম” (লক্ষ্মীপুর) যা সাধ্যমত সামাজিক উন্নয়নে, বঞ্চিত মানুষদের সহযোগিতা ও আর্ত মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
  • সবুজ আহমেদ কক্স ১৪/০২/২০১৫
    দারুন ভালো লাগলো.....................
 
Quantcast