আরিফের তৃপ্তির ঘুম
তৃপ্তির ঘুমে আরিফ
তৃপ্তি সহকারে অনেক দিন ঘুমাতে পারে না আরিফ। এক দুঃসহ বেদনা তার।
ছোট বোন আর মা-বাবাকে নিয়ে সুখের সংসারই ছিল আরিফের। কে জানে, কোত্থেকে কোন দুখের হাওয়া এসে তার জীবনটাকে এলোমেলো করে দিয়ে গেল। মায়ের আদর বেশিদিন স্থায়ী হলো না তাদের দু ভাই-বোনের জীবনে। মা কে ক্যান্সারের মতো একটি দুরারোগ্য ব্যধী নিয়ে গেল কিছু বুঝে ওঠার আগেই। আরিফ আর তার ছোট বোনটির কান্না সেদিন পৃথিবীর সব কান্নাকে হার মানিয়েছিল। ক’দিন যেতে না যেতেই বাবা আরেকটি বিয়ে করলেন ওদের দু’জনকে দেখাশোনার নাম করে। সৎ মা যে আপন হয় না তা ওরা টের পেল হারেহারে। বাবার দিকে তাকিয়ে ওরা দুজন সকল আঘাত সহ্য করছে নিরবে। ওরা ভাবতে লাগলো এ পৃথিবীতে ওরা মাত্র দু’জন-দু’ভাই বোন। আরিফ মা-বাবার আদর সোহাগ ভালোবাসা একত্র করে আগলে রাখলো বোনটিকে। নিয়তির নির্মম খেলা বুজতে কে পারে? আরিফ হঠাৎ অসুস্থ। হাসপাতালের বেডে কাঁৎরাচ্ছে। ডাক্তার জানিয়েছেন, “আরিফের দুটো কিডনি অকেজো”। শুরু হলো রোগের সাথে কষ্টের সাথে ব্যাথার সাথে পথ চলা। ছোট বোনটির পাশে যে ভাই ছিল বটগাছের মত অবিচল আজ সেই মহীরুহ ধীরে ধীরে পড়ন্ত বিকেলের সুর্যের মত ঢলে পড়ছে ছোট বোনটির কোলে। সেই ছোট বোনটি আজ তার একমাত্র সাথী।
বোনটি তাহার হৃদয়ের সকল মমতা দিয়ে সেবা করে যাচ্ছে প্রিয় ভাইটির। ও জানে ভাইটি আর সেরে উঠবে না। তারপরও সুস্থ করে তোলার সেকি নিরন্তর চেষ্টা তার। আরিফ নির্ঘূম রাত পার করে। রোগের কষ্টে ব্যাথায় তার চোখে ঘুম আসে না। একটু তৃপ্তির ঘুমের জন্য তার সেকি আকুতি। কিন্তু সব ভাবনা স্বপ্ন তার ভেঙ্গে গেল বালুর বাঁধের মত। গত ১৮/০১/২০১৪ ইং তারিখ আরিফ নির্ঘূম রাতকে বিদায় জানিয়েছে।একটু ঘুমের জন্য-তৃপ্তিময় ঘুমের জন্য আর কোনদিন আরিফকে কষ্ট পেতে হবে না। দুনিয়ার সকল বন্ধন ছিন্ন করে, সকল কোলাহল আর দুঃখ-কষ্ট মুক্ত হয়ে আরিফ আজ তৃপ্তির ঘুমে।
মা হারা বোনটি অশ্রু সজল চোখে নির্বাক তাকিয়ে আছে শান্তিতে ঘুমানো একান্ত প্রিয় ভাইটির কফিনে।
(তাজমহল রোডের গোরস্থানে ঘুমানো আরিফের জন্য অনন্তকালীন শান্তি কামনা আর ছোট বোনটির জন্য সমবেদনা)
তৃপ্তি সহকারে অনেক দিন ঘুমাতে পারে না আরিফ। এক দুঃসহ বেদনা তার।
ছোট বোন আর মা-বাবাকে নিয়ে সুখের সংসারই ছিল আরিফের। কে জানে, কোত্থেকে কোন দুখের হাওয়া এসে তার জীবনটাকে এলোমেলো করে দিয়ে গেল। মায়ের আদর বেশিদিন স্থায়ী হলো না তাদের দু ভাই-বোনের জীবনে। মা কে ক্যান্সারের মতো একটি দুরারোগ্য ব্যধী নিয়ে গেল কিছু বুঝে ওঠার আগেই। আরিফ আর তার ছোট বোনটির কান্না সেদিন পৃথিবীর সব কান্নাকে হার মানিয়েছিল। ক’দিন যেতে না যেতেই বাবা আরেকটি বিয়ে করলেন ওদের দু’জনকে দেখাশোনার নাম করে। সৎ মা যে আপন হয় না তা ওরা টের পেল হারেহারে। বাবার দিকে তাকিয়ে ওরা দুজন সকল আঘাত সহ্য করছে নিরবে। ওরা ভাবতে লাগলো এ পৃথিবীতে ওরা মাত্র দু’জন-দু’ভাই বোন। আরিফ মা-বাবার আদর সোহাগ ভালোবাসা একত্র করে আগলে রাখলো বোনটিকে। নিয়তির নির্মম খেলা বুজতে কে পারে? আরিফ হঠাৎ অসুস্থ। হাসপাতালের বেডে কাঁৎরাচ্ছে। ডাক্তার জানিয়েছেন, “আরিফের দুটো কিডনি অকেজো”। শুরু হলো রোগের সাথে কষ্টের সাথে ব্যাথার সাথে পথ চলা। ছোট বোনটির পাশে যে ভাই ছিল বটগাছের মত অবিচল আজ সেই মহীরুহ ধীরে ধীরে পড়ন্ত বিকেলের সুর্যের মত ঢলে পড়ছে ছোট বোনটির কোলে। সেই ছোট বোনটি আজ তার একমাত্র সাথী।
বোনটি তাহার হৃদয়ের সকল মমতা দিয়ে সেবা করে যাচ্ছে প্রিয় ভাইটির। ও জানে ভাইটি আর সেরে উঠবে না। তারপরও সুস্থ করে তোলার সেকি নিরন্তর চেষ্টা তার। আরিফ নির্ঘূম রাত পার করে। রোগের কষ্টে ব্যাথায় তার চোখে ঘুম আসে না। একটু তৃপ্তির ঘুমের জন্য তার সেকি আকুতি। কিন্তু সব ভাবনা স্বপ্ন তার ভেঙ্গে গেল বালুর বাঁধের মত। গত ১৮/০১/২০১৪ ইং তারিখ আরিফ নির্ঘূম রাতকে বিদায় জানিয়েছে।একটু ঘুমের জন্য-তৃপ্তিময় ঘুমের জন্য আর কোনদিন আরিফকে কষ্ট পেতে হবে না। দুনিয়ার সকল বন্ধন ছিন্ন করে, সকল কোলাহল আর দুঃখ-কষ্ট মুক্ত হয়ে আরিফ আজ তৃপ্তির ঘুমে।
মা হারা বোনটি অশ্রু সজল চোখে নির্বাক তাকিয়ে আছে শান্তিতে ঘুমানো একান্ত প্রিয় ভাইটির কফিনে।
(তাজমহল রোডের গোরস্থানে ঘুমানো আরিফের জন্য অনন্তকালীন শান্তি কামনা আর ছোট বোনটির জন্য সমবেদনা)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফিরোজ মানিক ২৪/০১/২০১৫সুন্দর
-
আবিদ আল আহসান ২৪/০১/২০১৫অনেক সুন্দর
-
সবুজ আহমেদ কক্স ২৪/০১/২০১৫ভালো