www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

মনের আনন্দই বড় আনন্দ

আমার ঘুম ভাংতে চায় না সহজে । মামনি ঘুম থেকে ডাকছে
মা ঘুম থেকে উঠবি না ? আজকে তো ঈদের দিন আজকে তারাতারি ঘুম থেকে উঠতে হয় ।
হ্যা মামনি উঠছি ।
আরমর কাটছি তখন শুনছি
এই অন্তি ঘুম থেকে উঠ ।
আমি তাকিয়ে দেখি আমাকে মামনি নয় লিমন ডাকছে । তখন মনে মনে ভাবলাম আমি তো শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করতে আসছি একদম ভুলে গেছিলাম । তাও কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে গোসল করে একটা ড্রেস পরে শাশুড়ি এর কাছে গেলাম সাহায্য করার জন্য । যদিও আমি তেমন কোন কাজ পারি না তবে রান্না করতে পারি । যতটুকু পারলাম সাহায্য করলাম । মা আমায় বলল
বৌমা তুমি ঘরে গিয়ে রেডি হও । ঈদের শাড়ি পরো সাজুগুজু করলাম ।
আমার স্বামী আমার শশুর নামাজে গেছে । এটা আমার প্রথম ঈদ মামনি বাপ্পিকে ছাড়া, খারাপ লাগছে কিছুটা । আমার মনের ভিতরের ঝড় কাউকে বোঝানোর মতন নয় । তাও হাসি মুখে আনন্দ করলাম । আমার দুই হাত ভরে আমার মামাতো ননদ আমার হাতে মেহেদী দিয়ে দিয়েছে । ছোট থেকে প্রতি বছর ঈদের আগের দিন মামনি হাতে মেহেদী দিয়ে দিত । এইবার এর ভিন্ন হল । আমি যখন ঢাকা ঈদ করতাম বাপ্পি নামাজে যাওয়ার আগে বাপ্পির পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতাম । বাপ্পি আমাকে সালামি দিত । বাসার সবার কাছে থেকে সালামি পেতাম আমি । এসব ভাবছিলাম আর রেডি হচ্ছিলাম । আমি রেডি । আমার স্বামী আমার শশুর নামাজ সেরে বাসায় এসেছে । ও আপনাদের একটা কথা বলি আমার মামনি বাপ্পি দুইজনই আমাকে মা বলে ডাকে । ঠিক তেমনি আমার শ্বশুরও আমাকে মা বলে ডাকে । আমার শ্বশুরকে আমি সালাম করতে নিলে উনি পায়ে হাত দিতে দেয় না বলে
তুমি তো আমার মা আমাকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করবে কেন ?
তখন আমি বলি
আচ্ছা বাবা পরের বার আর করবো না ।
উনি আমাকে সালামি দেয় । তবে একটা কথা না বললে হয় না আমার শশুর আমাকে খুব ভালবাসেন । আমার স্বামী আমাকে সেই টাকা ভাংতি করে দিয়ে বলে
বাড়ির সব ছোটদের তুমি সালামি দিবে । তুমি এই বাড়ির বড় বউ ।
দেখেছেন আমার দায়িত্ব কত খানি । বাড়িতে মেহমান আসলে মায়ের সাথে থেকে তাদের অ্যাপ্পায়ন করেছি । দুপুরের পরে আমার স্বামী আমাকে নিয়ে বাইক দিয়ে ঘুরতে বের হল । বাইক চড়তে আমি খুব ভালবাসি । সন্ধ্যায় বাসায় আসার পরে আমি আমার জা, ননদ ওদের সাথে আনন্দ করে কেটে যায় দিন । আমার আপন ননদ ও ওর শশুরবাড়িতে থাকে । ঈদের পরের দিন ওর বাসায় যাওয়া হয় । এই আনন্দের মধ্য থেকে ও মামনি, বাপ্পি, আমার আপুমনি, জিজু, আমার আদরের ছোট ভাই ওদের সাথে ঠিকই কথা বলি । খুব মনে পরে বাসায় থাকলে নিজের কাজটাও করি না । কিন্তু যখনই শশুরবাড়িতে যাই নিজের কাজ গুলা নিজেকেই করতে হয় পাশাপাশি অনেক মানুষের খেয়াল রাখতে হয় । আমার বিয়ে হয়েছে চার বছর । ২০১৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত সব ঈদ শশুরবাড়িতে করেছি । তবে আমি ভাবি মনে আনন্দ রাখলে আনন্দে থাকবো আমি নিজে এই ভেবে নিজেকে শান্ত রেখেছি । শশুরবাড়ি নিজের ভাবতে হয় । তবে শাশুড়ি যতই ভালবাসুক কথা শুনাতে তারা ভুলে না এটা বেশ ভাল বুঝেছি আমি । আসে পাশের মানুষজন মানে অনেকেই খুত পেলে কথা শুনাবেই কষ্ট হলেও এড়িয়ে চলতে হয় । এইবছর ২০২২ এই প্রথমবার বিয়ের পরে মামনি বাপ্পি সবার সাথে ঈদ করব । আমার যে কত আনন্দ লাগছে বলে বুঝাতে পারবো না ।

বিঃদ্রঃ (সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন । )
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ৫২৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০১/০৫/২০২২

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast