পুরুষ যদি পুরুষ হত নারী হত নারী
পুরুষ যদি পুরুষ হত, নারী হত নারী।
আমাদের প্রায় সংসারে দেখা যায় পুরুষের স্থানটা নারীর হাতে জিম্মি।একটা সময় ছিল যখন স্ত্রীরা স্বামীর হাতে নিজেকে সপে দিত,আর এখন দেখা যায় স্বামীরা স্ত্রীদের হাতে নিজেকে সপায়ে দিতে পারলেই বাঁচে। অথচ এমনটি বলা হয়েছে যে, যে সংসারে পুরুষ থাকতেও নারী নেতৃত্ব দেবে সেই সংসারে আল্লাহর রহমত আসবে না ।
নারীকে সম্মান দিতে বলা হয়েছে। সংসারের সব দায় নয় ।একটি নারী পারে সংসারটাকে সুখী করতে, তাই বলে যদি, আপনি (পুরুষ) আপনার সব ক্ষমতা তার হাতে দিয়ে মুক্ত হতে চান, তবে আর আপনি আপনার অবস্থানে সম্মান পাবেন না ।
কারণ টাকা ইনকাম করে দেওয়ায় যদি শুধু পুরুষের দায় কিংবা কর্তব্য হয় তবে নারীরা এখন টাকা ইনকাম করতে শিখেছে।আপনার সামান্য দায় টুকু সেই নিতে পারবে। আপনার আর প্রয়োজন নেই
আপনি বরং আপনার টাকা দিয়ে গাজা খেয়ে মনের কষ্ট দূর করেন নিভৃতে।
আপনিতো পারেন নাই।
পুরুষের পুরুষত্ব কে স্বস্থানে সুসজ্জিত রাখতে। আপনি তো পারেন নাই-আপনার সংসারের প্রতি আপনার দায়িত্ব পালন করতে ।
আপনি যদি আপনার দায়িত্বর দায় কাঁধে নিতেন তবে আপনার স্ত্রীকে হতে হত না অর্ধেক পুরুষ। আপনি আপনার ব্যস্ততা দেখিয়ে স্ত্রীকে বলছেন আমার সময় নাই। এই নাও টাকা বাজার করে নিও।
কিন্তু কেন? কে করবে বাজার।বাসায় কি কাজের লোক রেখেছে ?নাকি?
স্ত্রীকে যদি বাজার করতে হয় বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যেতে হয়, বিদ্যুৎ বিল দিতে যেতে হয়, বাড়ি ভাড়া গ্যাস বিল অমুক-তমুক সব করতে যেতে হয়।
তবে তুমি পুরুষ কেন ?
পুরুষ, তুমি কি জানো না একটি নারীর প্রতি অন্য পুরুষের আচরণ এর কাহিনী। নাকি জানতে চাও না ?
একটি নারী যখন অন্য একটি পুরুষের দরজায় বেল টিপে তখন পুরুষটির মস্তিষ্কে সেটা বেজে ওঠে একদিন দুইদিন তিনদিন তারপর যখন মেয়েটিকে বাজে কথা বলা হয় ।তখন যদি মেয়েটি তার স্বামীকে বলে। স্বামী বলে সমস্যাটা তোমার তুমি খারাপ । আর যদি না বলা হয় তবে সেটা হয় প্রেম কিংবা পরকীয়া ।
কিন্তু কেন? একটি পুরুষ যদি একটি নারীর প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে তবে একটি নারী কি একটি পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে না ?
একটি পুরুষ যদি ভুলে যায় তার সংসার আছে একটি নারী ভুলে গেলে দোষ কেন?
আল্লাহ তা'আলা কি একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার কথা বলিনি তাহলে দোষ শুধু নারীর হয় কেন ?
স্বামী রুপি একটি পুরুষ কি পারেনা নিজেকে পুরুষ বানিয়ে ঘরের নারীটিকে নারী বানিয়ে রাখতে ।কেন পারেনা?নাকি পারতেই চায়না?
কেন তারা সব কাজে নারীকে সামনে দিয়ে চুপচাপ পিছনে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখে। যদি নাই পারে তবে তার স্বামী হওয়ার দরকার কি ?
আজকের অধিকাংশ সংসারের দিকে তাকালেই দেখবেন পুরুষরা অবহেলিত।
সংসারে তার কথা শোনার মতো কেউ নেই। তাকে মূল্যায়ন করে না তাঁর সন্তানেরাও শুধু ব্যবহার করে আপন প্রয়োজনে।
আর এর জন্য দায়ী কে?
দায়ী সে নিজেই। যদি সে তার নিজের অবস্থান ঠিক রাখতেন স্ত্রীকে স্ত্রীর মতো সন্তানকে সন্তানের মত করে রাখতেন, তবে আর তাঁকে এই অবস্থানে আসতে হতো না।
যে সংসারের পুরুষরা পুরুষের মতো সেই সংসারের সকলেই তাকে সম্মান করে, ভয় করে, শ্রদ্ধা করে ,তার স্থান থাকে সর্বদা সুরক্ষিত। সংসার হয় সুখের ,একের প্রতি অন্যের সত্যিকারের ভালোবাসা থাকে,লোক দেখানো অভিনয় প্রয়োজন হয়না তাদের।অবহেলা সে পুরুষকে স্পশ করেনা কখনো।
যে সংসারে পুরুষরা পুরুষ হয় না সে সংসারের নারীরা নিজেকে পুরুষ ভাবতে শুরু করে। কারণ সে তো সবই পারছে, তাকে সবাই বেশি সম্মান দিচ্ছে স্কুলের শিক্ষক কিংবা দোকানদার। অফিস-আদালত এমনকি পার্শ্ববর্তী পুরুষগুলো তাকে দেখে হাসি দিয়ে সম্মান জানাই ।
পুরুষের চেয়ে বরং বেশি ক্ষমতা অর্জন করে সে।তাই তার কথায় সংসার চলবে, এখানে পুরুষ তোমার কোন কথা চলবে না ।
তুমি পারো নাই তোমার স্ত্রীকে ঘরের মানুষ করে রাখতে। তুমি তো পারো নাই তার লজ্জাকে নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখতে। তুমি পারো নাই স্ত্রী কে পর্দার বিধান সম্পর্কে জানিয়ে দিতে? তুমি পারো নাই পর পুরুষের কুদৃষ্টি থেকে স্ত্রী-কন্যাকে হেফাজত করতে ? তুমি কিসের পুরুষ? তুমি কি পারবে তোমাকে সুপুরুষ ভাবতে ?
না পারবেনা কিন্তু আমরা চাই আমরা নারীরা চাই। একজন পুরুষের স্ত্রী হতে। যে আমাদের নারীত্বকে সম্মানিত করে রাখবে। অন্যায় করলে শাসন করার ক্ষমতা থাকবে যার। শুধুমাত্র টাকা দিয়েই যে দায় এড়াবে না। এমন পুরুষ চায় প্রতিটি সংসারের প্রতিটি নারীর স্বামী রুপে। প্রতিটি নারীই চাই তার স্বামী টাকা ইনকামের মেশিন না হয়ে তার বন্ধু হোক। তার সঙ্গী হোক, তার নিরাপত্তার স্থান হোক।যাকে মনের সন্তষ্টিতে সন্মান করা যায় ভালোবাসা যায়।
আমাদের প্রায় সংসারে দেখা যায় পুরুষের স্থানটা নারীর হাতে জিম্মি।একটা সময় ছিল যখন স্ত্রীরা স্বামীর হাতে নিজেকে সপে দিত,আর এখন দেখা যায় স্বামীরা স্ত্রীদের হাতে নিজেকে সপায়ে দিতে পারলেই বাঁচে। অথচ এমনটি বলা হয়েছে যে, যে সংসারে পুরুষ থাকতেও নারী নেতৃত্ব দেবে সেই সংসারে আল্লাহর রহমত আসবে না ।
নারীকে সম্মান দিতে বলা হয়েছে। সংসারের সব দায় নয় ।একটি নারী পারে সংসারটাকে সুখী করতে, তাই বলে যদি, আপনি (পুরুষ) আপনার সব ক্ষমতা তার হাতে দিয়ে মুক্ত হতে চান, তবে আর আপনি আপনার অবস্থানে সম্মান পাবেন না ।
কারণ টাকা ইনকাম করে দেওয়ায় যদি শুধু পুরুষের দায় কিংবা কর্তব্য হয় তবে নারীরা এখন টাকা ইনকাম করতে শিখেছে।আপনার সামান্য দায় টুকু সেই নিতে পারবে। আপনার আর প্রয়োজন নেই
আপনি বরং আপনার টাকা দিয়ে গাজা খেয়ে মনের কষ্ট দূর করেন নিভৃতে।
আপনিতো পারেন নাই।
পুরুষের পুরুষত্ব কে স্বস্থানে সুসজ্জিত রাখতে। আপনি তো পারেন নাই-আপনার সংসারের প্রতি আপনার দায়িত্ব পালন করতে ।
আপনি যদি আপনার দায়িত্বর দায় কাঁধে নিতেন তবে আপনার স্ত্রীকে হতে হত না অর্ধেক পুরুষ। আপনি আপনার ব্যস্ততা দেখিয়ে স্ত্রীকে বলছেন আমার সময় নাই। এই নাও টাকা বাজার করে নিও।
কিন্তু কেন? কে করবে বাজার।বাসায় কি কাজের লোক রেখেছে ?নাকি?
স্ত্রীকে যদি বাজার করতে হয় বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যেতে হয়, বিদ্যুৎ বিল দিতে যেতে হয়, বাড়ি ভাড়া গ্যাস বিল অমুক-তমুক সব করতে যেতে হয়।
তবে তুমি পুরুষ কেন ?
পুরুষ, তুমি কি জানো না একটি নারীর প্রতি অন্য পুরুষের আচরণ এর কাহিনী। নাকি জানতে চাও না ?
একটি নারী যখন অন্য একটি পুরুষের দরজায় বেল টিপে তখন পুরুষটির মস্তিষ্কে সেটা বেজে ওঠে একদিন দুইদিন তিনদিন তারপর যখন মেয়েটিকে বাজে কথা বলা হয় ।তখন যদি মেয়েটি তার স্বামীকে বলে। স্বামী বলে সমস্যাটা তোমার তুমি খারাপ । আর যদি না বলা হয় তবে সেটা হয় প্রেম কিংবা পরকীয়া ।
কিন্তু কেন? একটি পুরুষ যদি একটি নারীর প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে তবে একটি নারী কি একটি পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে না ?
একটি পুরুষ যদি ভুলে যায় তার সংসার আছে একটি নারী ভুলে গেলে দোষ কেন?
আল্লাহ তা'আলা কি একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার কথা বলিনি তাহলে দোষ শুধু নারীর হয় কেন ?
স্বামী রুপি একটি পুরুষ কি পারেনা নিজেকে পুরুষ বানিয়ে ঘরের নারীটিকে নারী বানিয়ে রাখতে ।কেন পারেনা?নাকি পারতেই চায়না?
কেন তারা সব কাজে নারীকে সামনে দিয়ে চুপচাপ পিছনে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখে। যদি নাই পারে তবে তার স্বামী হওয়ার দরকার কি ?
আজকের অধিকাংশ সংসারের দিকে তাকালেই দেখবেন পুরুষরা অবহেলিত।
সংসারে তার কথা শোনার মতো কেউ নেই। তাকে মূল্যায়ন করে না তাঁর সন্তানেরাও শুধু ব্যবহার করে আপন প্রয়োজনে।
আর এর জন্য দায়ী কে?
দায়ী সে নিজেই। যদি সে তার নিজের অবস্থান ঠিক রাখতেন স্ত্রীকে স্ত্রীর মতো সন্তানকে সন্তানের মত করে রাখতেন, তবে আর তাঁকে এই অবস্থানে আসতে হতো না।
যে সংসারের পুরুষরা পুরুষের মতো সেই সংসারের সকলেই তাকে সম্মান করে, ভয় করে, শ্রদ্ধা করে ,তার স্থান থাকে সর্বদা সুরক্ষিত। সংসার হয় সুখের ,একের প্রতি অন্যের সত্যিকারের ভালোবাসা থাকে,লোক দেখানো অভিনয় প্রয়োজন হয়না তাদের।অবহেলা সে পুরুষকে স্পশ করেনা কখনো।
যে সংসারে পুরুষরা পুরুষ হয় না সে সংসারের নারীরা নিজেকে পুরুষ ভাবতে শুরু করে। কারণ সে তো সবই পারছে, তাকে সবাই বেশি সম্মান দিচ্ছে স্কুলের শিক্ষক কিংবা দোকানদার। অফিস-আদালত এমনকি পার্শ্ববর্তী পুরুষগুলো তাকে দেখে হাসি দিয়ে সম্মান জানাই ।
পুরুষের চেয়ে বরং বেশি ক্ষমতা অর্জন করে সে।তাই তার কথায় সংসার চলবে, এখানে পুরুষ তোমার কোন কথা চলবে না ।
তুমি পারো নাই তোমার স্ত্রীকে ঘরের মানুষ করে রাখতে। তুমি তো পারো নাই তার লজ্জাকে নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখতে। তুমি পারো নাই স্ত্রী কে পর্দার বিধান সম্পর্কে জানিয়ে দিতে? তুমি পারো নাই পর পুরুষের কুদৃষ্টি থেকে স্ত্রী-কন্যাকে হেফাজত করতে ? তুমি কিসের পুরুষ? তুমি কি পারবে তোমাকে সুপুরুষ ভাবতে ?
না পারবেনা কিন্তু আমরা চাই আমরা নারীরা চাই। একজন পুরুষের স্ত্রী হতে। যে আমাদের নারীত্বকে সম্মানিত করে রাখবে। অন্যায় করলে শাসন করার ক্ষমতা থাকবে যার। শুধুমাত্র টাকা দিয়েই যে দায় এড়াবে না। এমন পুরুষ চায় প্রতিটি সংসারের প্রতিটি নারীর স্বামী রুপে। প্রতিটি নারীই চাই তার স্বামী টাকা ইনকামের মেশিন না হয়ে তার বন্ধু হোক। তার সঙ্গী হোক, তার নিরাপত্তার স্থান হোক।যাকে মনের সন্তষ্টিতে সন্মান করা যায় ভালোবাসা যায়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সেলিম রেজা সাগর ২০/০১/২০২৩অসাধারণ
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ০৩/০১/২০২৩সমসমায়িক ও সমাজের দুরবস্থা কলমের ডগায় উঠে এসেছে। নারী ও পুরুষের ইসলাম যে অধিকার দিয়েছে তা যদি তারা জানতো তাহলে তা তারা মানতো। ইসলাম ঐ পুরুষকে দাইউস বলে আখ্যা দিয়েছে। কুরআন হাদীসের রেফারেনস থাকলে আরো ভাল হতো। যাক, সব মিলিয়ে সুন্দর হয়েছ।
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ০৬/১২/২০২২সুন্দর লিখেছেন!
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ০৫/১২/২০২২সুন্দর আলোচনা।
-
ফয়জুল মহী ০৪/১২/২০২২নারী সম্মান পেয়ে থাকুক ঘরে বাহিরে।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৪/১২/২০২২গার্মেন্টসে মেয়েরা কাজ না-করলে দেশ গতে ঢুকে যেত।