রাত পোহাবার আগে ২৮
মাসুম এক বুক জ্বালা নিয়ে কোথায় চলেছে কে জানে। চারপাশে ঘোর অন্ধকার আগে-পিছে কেবলি শূন্যতার এক নির্মম হাহাকার। পাগলের মতো দেখাচ্ছে তার প্রতিটি আচরণ। নিজেকে কিছুতেই স্বাভাবিক করতে পারছে না যেন। মুন্নির করুণ মুখচ্ছবি বার বার তার সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে। যখন সে বাসা থেকে বেরুচ্ছিলো। মুন্নি বলেছিলো, ভাইয়া, আমাই কী ক্ষমা করা যায় না? আমি তো অন্যায় করিনি। তোমরা যা ভাবছো তা অহেতুক। মাসুম কিছু বলেনি তাকে। শুধু একবার দেখেছিলো তার করুণ মুখের পানে।
ভুল করেছিলো মাসুম। সে যদি তাকে একটি কথা বলে সান্তনা দিতো তবে মুন্নি নিজেকে আর এভাবে ভাসাতো না। যেতো না সে অদূর অন্নেষণে। মাসুম জানে, মুন্নি তার বোন হয়ে এতোটা নিচে নামতে পারে না। সে হয়তো কোনো পরিস্থিতির শিকার। যেমন সে নিজেও। তবুও সে যা করেছে তাতে মুন্নি যেন অল্পতেই নিজেকে সুধরাতে পারে এ জন্য..।
কিন্তু মুন্নি যে এতোটা কষ্ট পেয়েছে তা মাসুম ভাবতেও পারেনি। মাসুমের চোখ বার বার ঝাপসা হয়ে উঠছে। বার বার বাঁধ ভাঙ্গা কান্না বেরিয়ে আসতে চাইছে তার। কেন এমন করলো মুন্নি? কেন এতো বড় শাস্তি দিলো তাকে? একবারো ভাবলো না সে ভাইটির কথা? যাদেরকে সে তার নিজের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। কেন ভাবলো না? এতো জেদ, এতো রাগ নিয়ে কোথায় যাবে সে? ও কী এতোটায় বড় হয়েছে? এতো সৌন্দর্য বিধাতা তাকে দান করেছে সে কী পারবে একা নিজেকে রক্ষা করতে? নাকি কোনো বিপন্ন পরিস্থিতিতে...? না না, আর ভাবতে পারে না মাসুম। মাথার মধ্যে পিটাতে থাকে মুন্নির কন্ঠস্বর। চোঁখের সামনে ভেসে উঠে সংবাদপত্রের নৃশংসতা। মাসুমের বোন হয়ে মুন্নি কোনো সংবাদপত্রের শিরোনাম হবে নাতো? কাঁদছে মাসুম। হঠাৎ অন্ধকারে কে যেন ডাকলো তাকে। মাসুম ভাই।
অন্ধকারেই ঝাপসা চোঁখে চাইলো মাসুম।
ঃ মুন্নির কোন সন্ধান পেলেন?
ঃ না
ঃ আপনাদের আতœীয়-স্বজনদের কাছে খোঁজ করেছেন?
ঃ হ্যাঁ, প্রায় সব জায়গায় করেছি।
অন্তু আর কিছু বললো না। মাসুম নিজেকে স্বাভাবিক করবার চেষ্টা করছে। হাঁটছে দুজনেই রাতের অন্ধকার ভেদ করে। অদূরে বাতি জ্বলছে বাহারি রংয়ের। সে সব বাতির আলোয় নিজেকে খুঁজতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেছে মাসুম তার জীবনের সবটুকু আলো। আজ সে অন্ধকারের একা যাত্রী। পথহারা পথিক।
ঃ মাসুম ভাই, চলুন বাসায় ফেরা যাক। মনে হয় ঝড় আসবে। কারেন্ট তো চলে গেলো।
চমকে উঠলো মাসুম। নিজেকে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে তার। এমন হচ্ছে কেন? অবশ হয়ে আসছে হাত-পা। প্রায় জোর করেই বাসায় ফিরলো সে।
চলবেই
[লেখিকা অসুস্থ থাকায় হয়তো কিছুদিন বিরতি থাকবে]
ভুল করেছিলো মাসুম। সে যদি তাকে একটি কথা বলে সান্তনা দিতো তবে মুন্নি নিজেকে আর এভাবে ভাসাতো না। যেতো না সে অদূর অন্নেষণে। মাসুম জানে, মুন্নি তার বোন হয়ে এতোটা নিচে নামতে পারে না। সে হয়তো কোনো পরিস্থিতির শিকার। যেমন সে নিজেও। তবুও সে যা করেছে তাতে মুন্নি যেন অল্পতেই নিজেকে সুধরাতে পারে এ জন্য..।
কিন্তু মুন্নি যে এতোটা কষ্ট পেয়েছে তা মাসুম ভাবতেও পারেনি। মাসুমের চোখ বার বার ঝাপসা হয়ে উঠছে। বার বার বাঁধ ভাঙ্গা কান্না বেরিয়ে আসতে চাইছে তার। কেন এমন করলো মুন্নি? কেন এতো বড় শাস্তি দিলো তাকে? একবারো ভাবলো না সে ভাইটির কথা? যাদেরকে সে তার নিজের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। কেন ভাবলো না? এতো জেদ, এতো রাগ নিয়ে কোথায় যাবে সে? ও কী এতোটায় বড় হয়েছে? এতো সৌন্দর্য বিধাতা তাকে দান করেছে সে কী পারবে একা নিজেকে রক্ষা করতে? নাকি কোনো বিপন্ন পরিস্থিতিতে...? না না, আর ভাবতে পারে না মাসুম। মাথার মধ্যে পিটাতে থাকে মুন্নির কন্ঠস্বর। চোঁখের সামনে ভেসে উঠে সংবাদপত্রের নৃশংসতা। মাসুমের বোন হয়ে মুন্নি কোনো সংবাদপত্রের শিরোনাম হবে নাতো? কাঁদছে মাসুম। হঠাৎ অন্ধকারে কে যেন ডাকলো তাকে। মাসুম ভাই।
অন্ধকারেই ঝাপসা চোঁখে চাইলো মাসুম।
ঃ মুন্নির কোন সন্ধান পেলেন?
ঃ না
ঃ আপনাদের আতœীয়-স্বজনদের কাছে খোঁজ করেছেন?
ঃ হ্যাঁ, প্রায় সব জায়গায় করেছি।
অন্তু আর কিছু বললো না। মাসুম নিজেকে স্বাভাবিক করবার চেষ্টা করছে। হাঁটছে দুজনেই রাতের অন্ধকার ভেদ করে। অদূরে বাতি জ্বলছে বাহারি রংয়ের। সে সব বাতির আলোয় নিজেকে খুঁজতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেছে মাসুম তার জীবনের সবটুকু আলো। আজ সে অন্ধকারের একা যাত্রী। পথহারা পথিক।
ঃ মাসুম ভাই, চলুন বাসায় ফেরা যাক। মনে হয় ঝড় আসবে। কারেন্ট তো চলে গেলো।
চমকে উঠলো মাসুম। নিজেকে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে তার। এমন হচ্ছে কেন? অবশ হয়ে আসছে হাত-পা। প্রায় জোর করেই বাসায় ফিরলো সে।
চলবেই
[লেখিকা অসুস্থ থাকায় হয়তো কিছুদিন বিরতি থাকবে]
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০২/০৫/২০১৮
-
বিশ্বামিত্র ১৮/০৫/২০১৭বেশ ভাল লাগছে।আগে আপনার সুস্থতা কামনা করি।
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৮/০৫/২০১৭খুব ভালো লেখা।আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।
এই প্রত্যাশা....................................