পাগলা ৫
হ ঠিক কছিস মজমুল । মোর ও ভয় নাগে,ছোট ছোট ভাই বোন গুলা কখন কি করে বসে কে জানে?
আচ্ছা মজমুল আসাদ পাগলা ছোট ছোট ছোল গুলাক দেখপা পারে না ক্যান?
হ এটা তো মুই ও কও? তো একদিন শুননু যে অর একটা ফুপু আছলো । ফুপুটা অক খুব ভালোবাসছলো,আদর করোছলো। আসাদ একদিন ফুপুর বাড়িত যায়া শুনলো,ফুপুর ছোল হবি সাবাই তাই আনন্দ করোছে। আসাদো আনন্দ করোছে কিন্তু ছোল হবা যাইয়া ফুপুটা মারা গেল আর ছোলটা বাঁচলো আর তখন তে আসাদ ছোট ছোলোক দেখপা পারেনা। পাগলা হবার সাথে সাথে সমস্যাটা বাড়িছ।
জানিস মজমুল আসাদ পাগলা অনেক ভালো আছলো। মুই দেখিছো কত ভদ্র,সবাকি কত সন্মান করোসলো। হারা মুর্খ তাও হামার কাছে অহংকার করেনাই। বড় লোকের ছোল লেখা পড়া জানা,চিহারাও ভালো,অর ছাও দেখলে দুঃখু নাগে। কি আছলো আর কি হল। চেহারাটা কত শুকাছে। সবাই অক গালায়, ক্যান গালাবোলাই,এই কি আর সেই আসাদ আছে? এখন আসাদ পাগলা অনেক ভয়ংকর। আজমলের কথা শেষ না হতেই মইদুল এসে বলল,আরে মজমুল তুই এত সকালে আছিস?
শালা একোনন্নে অ্যাসে এত সকালে মারাছিস। বেলা কত হচে দেখিচিস? মুই তো আর তোমার মত অত কুড়ে নয়,শালা মোর আজমাল ভাইয়োক ক দিকি মুই কত সকালে আচো? মইদুল কিছু বলার আগেই মজমুল বললো হাট হাট আর দেরি করা যাবোলাই,কত কাম আছে। সবাকি ডাকে নিয়ে যাই..
দুই
গ্রামের মেঠো পথ ধরে হাটছে ওরা। রাস্থার পাশেই সোহাগি দের আম বাগানের মিষ্টি রোদে বসে খেলছে কজোন কিশোরী।হাটোরে অমার খেলা ভাংয়ে দিমো। সে দিকে চেয়ে হাসলো মজমুল।ওরা ওদের কাছে গিয়ে দেখলোশাপলা আর সখি একদিকে,আর সোহাগি আর সালমা অন্য দিকে খেলছে।হাবরু সোহাগির কাছে গিয়ে বলল,হারাও খেলামো,হামাক নিমেননা? সালমা তৎখনাত প্রতিবাদ করে বলল ,না তোমাক নিমোনা ।তোরা যাওও সোহাগি অমাক নিমোনা। ব্যাটা চোল মানসোক নিলে মা গ্যালাবি।
আহারে আমার মা আওলি,মা গ্যালাবি তে খেলবা আছিস ক্যান,মুখে ভ্যংচি কেটে বলল হাবলু।
যা বাড়িৎ যা মায়ের কাছে যায়্যা দুধ খাগে।গর্জে উঠলো সোহাগি। হাবলু তুউ এত খারাপ।ওদের কথা শুনে শাপলা এলো সেখানে,মুখ ভার করে বলল হ অরা খেলালে মুইয়ো খেলামনা।সোহাগি বলল এই তোরা যা তোমাক খেলবা নেমনা।যা তোরা..
আরে যায়েক,তোমার ওলা খোলা মালাই খেলা হারা খেলাই না,হাটোরে? হারা বল খেলামো,জি মোর খেলা তার ফুটারি মারায়। হয়ি,মজমুলের কথায় তাল মিলিয়ে সেখান থেকে চলে গেল কিশোরের দল।ওরা যাবার অল্প কিছু পরিই কিশোরিদের মধ্যে শুরু হল চিল্লা- চিল্লি।কেউ বলছে আমার ভাতের ডেকচি কোটে।কেও বলছে মোর কড়াই কে নিছিস।কেও বলছে মোর হাতা নাই কেউ বলচে মোর কলস কে নিল।সবার মধ্যে কান্নার সাড়া পড়লো। হঠাৎ সোহাগি বলল ওই শোন মোর মনে হচে,হারা ওমাক খেলবা নেইনাই তাই ওরা হামার খেলনা চুরি করিচে।হয় হয় এলা চেংড়া গুলার কাম।হাটো তো সবাই মিলে যায়্যা ওমাক বুঝে দিমো আজ।হামার জিনিস চুরি করার মজাটা কেংকা।অরা খেলায় হারা তো কিছু করি না ? ওদের এলো মেলো কথার মধ্যে হঠাৎ সখি বলল ঐ দেখ দেখ ঘোড়া আসোছে..
হয়িতো বলেই যে যার মত দৌড় দিল রাস্তার দিকে।
চলবেই
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়সাল রহমান ২০/০৩/২০১৭সুন্দর
-
তাবেরী ২০/০৩/২০১৭অসাধারণ, শুভেচ্ছা রইল।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ২০/০৩/২০১৭চলছে তো চলবেই....
পথ চলা তেমে যেও না বন্ধু
শুভেচ্ছাসহ শুভকামনা রইল::::