পাগলা ৩
[দিনাজপুর এবং বগুড়া জেলার আঞ্ছলিক ভাষায় লেখা একটি গল্প]
এনা-একটু, এংকা-এরকম,উদিংকা-গতপরশু,নগি পলো-বাঁশের লাঠি পড়ে গেল,কদ্দিন-কতদিন,হিয়াল-ঠান্ডা,হারা-আমরা,ডেকচি- পাতিল,হাতা-চামুচ,ছোল-ছোট বাচ্চা,
বানু বু নগি দিয়ে বরাই পাড়সলো,মুই কুরাসনু,বুর নগিটা পড়ে যাচে আর বু জোরে জোরে কছে বুদি সরে যা,সর বুদি সর,নগি পলো,কতে কতেই নগিটা পলো আর তখনি পাগলা আচে আর নাগছে,কথা বলতে বলতেই বুদির মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল। মজমুল বলল তার পর,? পাগলা বুবুকে মারছে ,বুবুর নাকদে মুকদে রক্ত বারাছে বলেই হু হু করে কাঁদতে লাগলো ছোট্ট মেয়েটা। সকলেই চুপ করে শুনছিল এতক্ষন,বুদির কথা থামতেই সকলে একসঙ্গে কথা বলল,ইসলাম মিয়া জোরে জোরে বলল শুনিছেন ,শুনিছেন সবাই, ছোলটা বড় নগিটা সামাল দিতে পারেনাই তাই পড়ে গেছে। আর শালা পাগলা? কোটে গেল ,শালা কে ধরে নিয়াসেসনা ক্যান? ওর গাড়ৎ দু চার টা নাগে দিলেই পাগলামি ছুটে যাবি। ওই খালি ছোট ছোল আর মাইয়া মানষের দুষমনি করে।ও মেম্বার সে দিন পাগলা কি করিছে জানেন?
উৎসুক চোখে তাকালো সবাই..
ছলিম সেদিন বাড়িত আছলোনা,ছলিমের বউ পটার উপর শুয়ে ছোলটাক দুধ খাওয়াচে,আর পাগলা চুপ চুপ করে বাড়িত ঢুকে বউ টার কাছে যইয়া মিট মিট করে হাসোছে,ছলিমের বউ চালাক মানুষ দেখপা পায়্যায় চিলানি শুরু করতেই পাগলা দৌড়ে বাড়ি থেকে পালাইয়া গেছে।
কি কস ইসলাম?
হ শালার চোখ ও ভালোনয়। এতক্ষনে সবাই ধরে উঠলো কথাটা এবং যে যার মত করে বলে চলল তার কর্ম কান্ড নিয়ে। অবস্তার পর্যায় বুঝতে পেরে মেম্বার বললো হ সবি তো শোনা যাচে মানুষের মুখে মুখে। আসাদটা শেষে ভয়ংকরি হয়ে যাছে,দিনে দিনে পাগলামো বাড়তেই আছে। বাচপে কিনা আল্লাহ জানে। আর ওর কি দোষ,ওই তো এখন পাগলা,পাগলা কি আর ভালোমন্দ বোঝে? গ্রামেরি ছেলে তাছাড়াও বড় লোক বাপের এক মাত্র ছেলে,বড় শখ করে শহরে পাটাছলো লেখাপড়া করবা। ভালো ছাত্র। কি হল একবারে পাগলা হয়ে বাড়িৎ অ্যালো। কথাগুলো বলে দির্ঘ নিঃস্বাস ফেলল মেম্বার। কে একজন প্রশ্ন করলো,আচ্ছা মেম্বার সাব ,শহরে আছাদের কি হছলো,তোরা কিছু জানেন না। তোরা তো অর চাচা হন ?
না,সত্যটা এখনো জানা যাই নাই,তো তার বাপ মার ধারনা অই যখন রাজনীতির বড় নেতা আছলো, তখন অক অন্য দলের নেতারা ইনজেকশন দিয়ে পাগলা বানাছে।
এনা-একটু, এংকা-এরকম,উদিংকা-গতপরশু,নগি পলো-বাঁশের লাঠি পড়ে গেল,কদ্দিন-কতদিন,হিয়াল-ঠান্ডা,হারা-আমরা,ডেকচি- পাতিল,হাতা-চামুচ,ছোল-ছোট বাচ্চা,
বানু বু নগি দিয়ে বরাই পাড়সলো,মুই কুরাসনু,বুর নগিটা পড়ে যাচে আর বু জোরে জোরে কছে বুদি সরে যা,সর বুদি সর,নগি পলো,কতে কতেই নগিটা পলো আর তখনি পাগলা আচে আর নাগছে,কথা বলতে বলতেই বুদির মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল। মজমুল বলল তার পর,? পাগলা বুবুকে মারছে ,বুবুর নাকদে মুকদে রক্ত বারাছে বলেই হু হু করে কাঁদতে লাগলো ছোট্ট মেয়েটা। সকলেই চুপ করে শুনছিল এতক্ষন,বুদির কথা থামতেই সকলে একসঙ্গে কথা বলল,ইসলাম মিয়া জোরে জোরে বলল শুনিছেন ,শুনিছেন সবাই, ছোলটা বড় নগিটা সামাল দিতে পারেনাই তাই পড়ে গেছে। আর শালা পাগলা? কোটে গেল ,শালা কে ধরে নিয়াসেসনা ক্যান? ওর গাড়ৎ দু চার টা নাগে দিলেই পাগলামি ছুটে যাবি। ওই খালি ছোট ছোল আর মাইয়া মানষের দুষমনি করে।ও মেম্বার সে দিন পাগলা কি করিছে জানেন?
উৎসুক চোখে তাকালো সবাই..
ছলিম সেদিন বাড়িত আছলোনা,ছলিমের বউ পটার উপর শুয়ে ছোলটাক দুধ খাওয়াচে,আর পাগলা চুপ চুপ করে বাড়িত ঢুকে বউ টার কাছে যইয়া মিট মিট করে হাসোছে,ছলিমের বউ চালাক মানুষ দেখপা পায়্যায় চিলানি শুরু করতেই পাগলা দৌড়ে বাড়ি থেকে পালাইয়া গেছে।
কি কস ইসলাম?
হ শালার চোখ ও ভালোনয়। এতক্ষনে সবাই ধরে উঠলো কথাটা এবং যে যার মত করে বলে চলল তার কর্ম কান্ড নিয়ে। অবস্তার পর্যায় বুঝতে পেরে মেম্বার বললো হ সবি তো শোনা যাচে মানুষের মুখে মুখে। আসাদটা শেষে ভয়ংকরি হয়ে যাছে,দিনে দিনে পাগলামো বাড়তেই আছে। বাচপে কিনা আল্লাহ জানে। আর ওর কি দোষ,ওই তো এখন পাগলা,পাগলা কি আর ভালোমন্দ বোঝে? গ্রামেরি ছেলে তাছাড়াও বড় লোক বাপের এক মাত্র ছেলে,বড় শখ করে শহরে পাটাছলো লেখাপড়া করবা। ভালো ছাত্র। কি হল একবারে পাগলা হয়ে বাড়িৎ অ্যালো। কথাগুলো বলে দির্ঘ নিঃস্বাস ফেলল মেম্বার। কে একজন প্রশ্ন করলো,আচ্ছা মেম্বার সাব ,শহরে আছাদের কি হছলো,তোরা কিছু জানেন না। তোরা তো অর চাচা হন ?
না,সত্যটা এখনো জানা যাই নাই,তো তার বাপ মার ধারনা অই যখন রাজনীতির বড় নেতা আছলো, তখন অক অন্য দলের নেতারা ইনজেকশন দিয়ে পাগলা বানাছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃআব্দুল্লাহ্ আল মামুন ১৯/০৩/২০১৭সুন্দর।।।সত্য নাকি???
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৯/০৩/২০১৭অনন্য লেখা।
-
মোনালিসা ১৮/০৩/২০১৭ভাল
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১৮/০৩/২০১৭অসারণ বর্ণনামূলক সমাজ জীবনের প্রতিচ্ছবি,
যার সাথে আঞ্চলিকতার ছোঁয়া যেন আকর্ষনকে আরো
বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা উৎসুক হয়ে পড়ি আর অভিজ্ঞতা অর্জন করি।।
সৃষ্টশীল এই লেখার জন্য লেখিকাকে জানাই -
আন্তরিক মোবারকবাদ!!
ভালো থাকবেন।।