পাগলা ২
মজমুল আর হাবলুদৌড় দিল সে দিকে। কাছে গিয়ে থমকে দাড়ালো তারা। আসাদ পাগলা বানুকে এমন করে মেরেছে,বানুর নাক দিয়ে অঝরে রক্ত ঝরছে। চোখের নিচে ফুলে উঠেছে সেখানেউ ফুটা হয়েছে। এখন আর কদছেনা বানু,জ্ঞান শুন্য দেহটা মাটিতে পড়ে আছে।
আসাদ পাগলা সেদিকে তাকাচ্চে আর বিড় বিড় করে কি যেন বলছে,চলে যাচ্চে সে চোখে মুখে তার এখনো আগুন জ্বলছে যেন। এতক্ষনে অনেক লোক এলো সেখানে। বানুর এ অবস্তা দেখে রেগে গেলেন অনেকে,প্রতিবাদ করে বলছে তারা-না এংকা করে আর চলা যায়না। পাগলার একটা ব্যবস্থা করবা নাগবি। আজ বানু কাল মতি উদিংকা আয়শা সব্বাকি মারে কিছু থোচেনা। শালা পাচেটা কি ,ওর হোচেটা কি,কিসের পাগলা অই, কথা বোঝেনা কাম বোজেনা খালি ছোট ছোল গুরাক মারবা নাকবি সেটা বোজে। ধর শালাক ধরে নিয়ে আসো। আজ ওর পাগলা মো ছুটে দিমুন ।আহারে খালি ছোট ছোল গুলাক মারে..কি হছলো, বানুক মারলো ক্যান?
প্রশ্ন করলো আকরাম। কাঁদতে কাঁদকে ছুটে এলো বানুর মা। কেউ কেউ বানুকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার কথা বলছে,কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাবে কে? মজমুল দৌড়ে গিয়ে ছলিমের ভ্যান নিয়ে এলো। হাসপাতাল গ্রাম থেকে পাঁচ কিলো দুরে ।বানুকে ভ্যানে তুলে দিল সবাই। বানুর মা এবং গ্রামের ছেলে মনসুর গেল হাসপাতালে। ওরা চলে গেলে, আবার কথা শুরু হল আসাদ পাগলাকে নিয়ে। অই তো সেয়ানা পাগলা,বড় মানুষের সাথে নাগেনা। খালি ছোট ছোল গুলাক মারে, আর সে মার কি?
হয়, অর অত্যাচার টা দিন দিন বাড়ে যাচে। এটার একটা বিহিত না করলে একদিন দেখমেন যে কাকো মারেই ফেলাচে। সবাই ধরে উঠলো কথা,কেউ কেউ যানতে চাইলো বানুকে মারার কারন। সকলের প্রশ্নের উত্তর দিবে কে, গ্রামের অশিক্ষিত মেম্বার জহির মিয়া বলল,তখন কি এটে কেউ আছলোনা ? কে আছলো?
আছলো বড়আব্বা বানুর বোন বুদি আছলো ?
বুদি ? ও তো ছোট।
বড় আব্ব্ বুদি সব কবা পারে ?বুদি তখনো দুরে কান্নায় ফুপাচ্ছিল। মজমুল তার কাছে গিয়ে বলল আয় বুদি আয় ,কতো? তখন কি হছলো,তুই আর বানু কি করুসলু। বুদি ফ্যাল ফ্যাল করে দেখলো চারদিকে যেন খুজছে কাউকে। মজমুল বললো ক বুদি ,ভয় নাই আসাদ পাগলা চলে গেছে। বুদি এবার আস্তে আস্তে বলল
চলবেই
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃআব্দুল্লাহ্ আল মামুন ২০/০৩/২০১৭আবেগ আছে কথাতে
-
তাবেরী ১৭/০৩/২০১৭অসাধারণ
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১৭/০৩/২০১৭চমক যেন দিন দিন বেড়েই চলছে....
অসাধারণ কথা সাহিত্য।
ধন্যবাদ: