www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

সুষমা

একই দেশে ভিন্নধর্মালম্বি লোকদের পাশাপাশি বসবাস বলেই একের প্রভাব অন্যকে প্রভাভিত করে প্রকট ভাবে ।তাই ধর্ম আর জাতীকে আলাদা করিয়া দেখিবার অবকাশ আমার নাই ।আমি বলিতে চাই আমার সামনে দাড়ানো আজকের সমাজের কথা ।আমি আমাকে আড়াল করিয়া নয় বরং উপস্থাপন করিয়াই বলিতেছি -যে, এ সমাজ এখন যৌতুক দানের প্রতিযোগিতায় নামিয়াছে। নাম ডাকের দম্ভে হাজার ছাড়িয়া লক্ষাধীতে  পৌছাইতে আর কতই বা বিলম্ব।
ঠিক এমনি সময়ে এক বিধুবা মাতার কন্যার জন্য বিনা দাবিতে সন্মন্ধের সম্ভাবনায় মাতার হৃদয়ে উচ্ছাসের হাওয়া বহিতে লাগিল ।স্বামী হীন সংসারে অভাব অনাটন নিত্য সঙ্গী,তবু তাহার রেখে যাওয়া সামান্য সম্পদে কোন রকমে জোড়া তালি দিয়া চলিয়া যায় দুবেলা।কিন্তু শোড়ষী কন্যার ভাবনায় অসহায় মাতার মাধুর্য বির্বনের উপক্রম । এমনি সময়ে কন্যার ভাগ্যকে সু প্রসন্ন  করিয়া জুটিবে এমন এক নামি -দামি পাত্রের সন্ধান এ যেন মেঘ না চাইতে বৃষ্টি ।
কিন্তু কন্যার অধরে বিষন্নতার ছায়া  স্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে। হৃদয় ঘটিত বেদনার আভা নীলভ বর্ণ ধারন করিয়াছে অন্তরাকাশ ।নয়নের নিমনাংশে কাজল কালিমা বিষাদের চিহৃ।অজান্তেই কৈশরের ভার বাড়িয়া যখন যৌবনের পার্দুভাব ঘটিলো, তখন অন্যতে প্রতিয়মান হৃদয় হইলো উদাসিন । চঞ্চলা চাপলার উন্মাদনা প্রনয়ীর নিকট প্রকাশ করিতেই অপর প্রান্ত থেকে সাড়া আসিল যে অর্থবৃত্র আর বংশ মর্যাদায় বার্ধিত তাহার সীমানা।
হৃদয়ের ভালোবাসা হৃদয়ে বির্চূন্য করিয়া সমাধীস্থ করিবে ,কারন দিবানা হৃদয়ের মুল্য দিতে গিয়া পিতার অগাধ ঐশর্য্য,প্রতিপত্তিকে চরণে দলিতে পারিবেনা মৃদুল ।
কারন, এ সমাজে বিলাশ বহুল জীবন জাপন,মানুষের পরিচয় বহন করিবে ।আর সম্পদ হীন ভালোবাসা ফেরয়ারি হইয়া পালিয়া  বেড়ায়,এ সমাজি তাহার বাস্তব দৃষ্টান্ত ।অথাৎ যে সমাজে টাকার মোহে,দৃর্বার আর্কষন, ভালোবাসার অবরুদ্ধ বিধাতা প্রদত্ত শক্তিকে ও আতি তুচ্ছ করিয়া দুরে ঠেলিয়া দ্যায় সে সমাজ ভালোবাসা কিংবা মায়া নয়, সম্পদের দাস মাত্র ।
ঘটকের মুখে ছেলের সৎ চরিত্রের প্রশংসা শুনিয়া সকলেই আনন্দিত ।বলবান সুস্বাস্থ্য দুহারা চেহারা ।কন্যার ও আপত্তি রহিলনা ।আবদার কিংবা আপত্তি কারবার মত সম্পদ,অধীকার কোনটাই তো তাহার নাই । অতএব বিধুবা মাতার কষ্টের ভার আর বাড়াইতে চাহেনা সে ।যথা সাধানুযায়ী আয়োজনে উপযুক্ত সরাঞ্জমে গ্রার্মো মহৎ মাতব্বর এবং প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় বিবাহ সম্পুর্ন হইলো। ঘটক আগেই বলিয়াছে পাত্র সম্ভ্রান্ত পরিবারের
,নিজেই পছন্দ করিয়াছে বলিয়া স্বর্ণ রৌপ অলংকারে তাহারায় সুষমাকে  অধীক সুষভিত কলিয়া লইলো। বর যাত্রী বিদায় বেলায় সকলের অলক্ষে সুষমা আচমকা একবার  মৃদুলের সামনে দাড়াইলো-মৃদুল ভাই..?
একি তুমি ?
মৃদুল সাহসা চার পাশে তাকাইলো একবার । বধুর সাজে সুসজ্জিত সুষমা হাস্যজ্জল মুখশ্রিতে অশ্রুবিন্দু সংবরন করিয়া,মলিন  র্ক্ষিন কন্ঠে কহিল“জানি হদয় তোমার দাস নয় বরং তুমি হৃদয়ের দ্বাস।আমাকে ভুলবেনা, তবু চাইতেই যত বাঁধা।
যাহোক,
যাইও একবার আমাকে দেখতে। সত্যি বলছি তোমাকে না দেইখা বড় কষ্টো হইবো ।
আমি তখন কোথায় ছিলাম কে জানে,প্রাণ হীন পাথর নাকি হৃদয় হীন নিষ্ঠুর নয়তো কিছুই বলিতে পারিলাম না কেন। বলিতে পারিতাম তুমি সুখী হও সুষমা। অতীতকে ভুলে বর্তমানকে আকড়িয়া ধর। আমি দোয়া করছি..কিন্তু না তা বলা হলনা। হৃদয় হীন এক শুন্য দেহ নিয়ে নিরবে  হাসিতে চেষ্টা করলাম মাত্র । এ হাসি পরাজয়ের হাসি,কদিন বাদেই মিলিয়া যাবে হয়তো? তাই বলে কি মিলিয়া যাইবে সুষমার সেই মিষ্টি  হাসির ঝংকার যার হাসিতে জন্মেছিল হাজারো সুসমিতার হাসি ?
হাঁ সত্যিই একদিন মিলিয়া গিয়াছিল সুষমার হাসি ।প্রতিপত্তিশীল ভদ্রবেশি মানু সুষমার প্রসন্ন হৃদয়ে বাজাবে বিষাদ বীনার সুর তাহা যেন কাহারোই অনুধাবনে আসেনাই। স্মামী রুপি মানুর সৌন্দর্য্যের অন্তরালে লুকায়িত ছিল তাহার বদচরিত্রের কোলষতা । যা সুষমার সুন্দর জীবনকে করিয়া তুলিল বিপন্ন । অসহায় বিধুবা মাতা সহসা জানিতে পারিল কন্যার করুন অবস্তার কথা। শীতল দেহ তাহার আরো শীতল হইলো।
হায় হায় হায় ! এ আমি কি করিলাম,কি সর্বনাস করিলাম আমি ।স্মামী হীন সংসারে শত আহ্বলাদে লালন পালন করিয়া,সংসারে যা সহায় সম্বল ছিল সাধ্যানুযায়ী সার্বত্র সমাজ রক্ষার্থে জামায়ের হাতে অর্পন করিলাম। তার পর ও ইহা কি হইলো আমার । কি ভুল করিলাম আমি। কেন বিত্তশীল পাত্র পাইয়া এ ভুল করিলাম ?কেন ভালো করিয়া জানিলামনা । এই কি বিত্তের প্রকূত রুপ ।এই কি  তাহাদের আত্মর্যাদা। মদ পান করিয়া মাতাল হইয়া রাস্তায় পড়িয়া থাকিবে গূহে সস্ত্রী রাখিয়া পরস্তীতে রাত্রী যাপন করিবে ?
সস্ত্রীকে করিবে আপরের দাস। হায় হায় এ কেমন সমাজ এ কেমন অবহেলা। এ কি সম্পদ প্রাচ্যুজের প্রসাদ এই কি বিত্তের সুখ ? না চাইনা চাইনা আমার সাধারন সুষমার জন্য এ বিত্তের সুখ। সে আমার কষ্ট কবরী। একটু প্রেমের কাঙালীনি...
কন্যার বিষাদে অসহায় মাতা আহার হীন, নিদ্রাহীন হইয়া পড়িলেন ।কঙ্কাল সার চামড়ার ঢাকা দেহখানা অনায়সে লুটিয়া পড়িল  মরনের কোলে কিন্তু সুষমার আগমনে মাতার শান্ত পাথর দুটি চোঁখ জুড়াইলো না । কিন্তু কেন ? কেন এলো না সে ?তবে কি ..?

হায় ! শত শহস্র সুষমার কান্নার আর্ত্তনাদে নিষ্ঠুর পৃথিবীর কোন দিন কি জুটবেনা এতটুকু সহানুভূতি । কোন দিন ও পাবেনা কি সুষমারা মুক্ত স্বাধীনতার সু বাতাস । দরিদ্রতার কারা বাসে  জন্ম বলে এ সমাজ কি পারেনা বৈষামের বাঁধন খুলে এতটুকু অধীকারে তাদের ও বাঁচার নিশ্চয়তা দিতে ?
হায়রে সমাজ ?
সময়ের পথ যাত্রায় ক্লান্ত দিবা রাত্রীর প্রহর গুনিয়া বাড়িয়া চলিল হৃদয়ের ব্যথা। মাস থেকে বছর । কৈশর প্রিয়া সুষমার প্রেম চঞ্চল ছন্দময় স্সৃতি বিষাদ সুরে বাজিতে লাগিল মৃদুলের চিত্তবিনায় ।কিছুতে থামেনা সে সুর । আস্থির করে প্রশ্নেরা ।দুরন্ত শিশুকাল থেকে যৌবনের সঙ্গি রুপি সুষমা আজ কোথায়? কোথায় আজ তার  হাষ্যজ্জল চঞ্চল হরিণীর ন্যায় দুরন্তপনা ।
আঘ ডোবা পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরা,কচি কাচার র্সদারীনি রুপে গাছে উঠে পাখি ধরা ।মায়ের বকুনির ভয়ে সুষমা কি আর কোন দিন বলবেনা-মৃদুল ভাই
জানোতো ? মা আমায় মারবে বলেছে আমি পালিয়ে এসেছি। তুমি মাকে বলনা যেন তবে মা ভিষন মারবে ।
তুমি নিশ্চয় দুষ্টামি করেছো ?
হাঁ করেছিতো,আপরাধীর ন্যায় কথাটা বলিয়ায় চমকে উঠিলো সে । এবার মলিন সুরে বলিল ভুল হয়েছে ।
আর হবে ?
মাথা ঝাকালো সে
না ?
তবে যা
তাড়িয়ে দিচ্ছো জলে ডুবে মরবো ।
ধ্যাৎ পাগলি,আমি তোকে তাড়িয়ে দিতে পারি । আমার মায়ের কাছে যা। ততক্ষনাৎ হেসে দিল মেয়েটি। সরল সে হাসি কতযে সজীব, প্রাণবন্ত,মায়াময় । না আর পারে না মৃদুল,কষ্টের দগ্ধ দহন ভাবনাকে করে সিমাহীন ।মাতার মৃত্যু সংবাদ কি তাহার  কাছাবধী পৌছায় নাই, নাকি হীন মনর্ষ্যে অমানুষপ্তের বাঁধন ছাড়তে চায়নাই তাকে ? সে কি একবার উপস্তিত হইবে,প্রতাপ শালি মানুর ইট পাথরে গড়া সুষমার শান্ত কারাবাসে ?
হাঁ,যেতে চায় সে একবার? কর্তব্য আর বিবেকের তাড়নায় অন্তত একবার যাবে । তাহার আগে নিজ কর্ম সম্পাদন করিয়া স্ত্রীর কাছেও ভার মুক্ত থাকিতে হইবে,নয়তো ধরা পড়িবার আশংক্ষা আছে ।
সে নিজেই আইন বির্দ্যাজনে আইনের রক্ষক হয়ে বেআইনি করিতে পারিবেনা ।তবু ও হৃদয়ের দারে সে যে বড় অসহায়,আর  তাই বুঝি এই লুকো চুরি খেলা ।
সেদিন সুষমার ভার ছিল সিমিত কিন্তু আজ..হয়তো প্রশ্ন আমি কেন এত কিছুর পিছনে । কেনই বা জানবো সুষমার কথা,আমি তো আমার সর্ম্পক আগেই চুকিয়া দিয়াছি,আমিতো পারিনাই , তাহার প্রেমের সামান্য মূল্য দিতে ?
কিন্তু এর পিছনে কি এ বৈরি সমাজ  দায়ী ছিলনা ?  সে দিন স্বার্থের অহমিকাকে মূল্য দিতে গিয়ে আমি যা করেছিলাম তা হয়তো আমার  কিছুটা সঠিক ছিল ।কারন সার্থনেষী অভিবাবকের প্রলভনের, মিথ্যে প্রবঞ্চনায় সত্য ভালোবাসা ,মানুর মতই আমার ভালোলাগার অনুভতিকেও বিলিন করিয়া দিত । যা স্ত্রী সন্তানদের কর্তব্যর পারে ও জাগ্রত। অদুরে বিরাজের পরও যে প্রেম অম্লান তাকি মানুর মুল্যায়িত ভালোবাসার চেয়ে সর্বাধিক নহে । সুষমা সে দিন সত্য কথাটিই বলিয়াছিল মানুষ হৃদয়ের দাস, হৃদয় মানুষের দ্বাস নয় ।

আচ্ছা আমার উপস্থিতি কি সুষমার চিত্রকে উৎচ্ছাসিত করিবে নাকি অসান্ত করিবে তাহার সংসার? মানু কি জানতে পারিয়াছিল সুষমার মানুষি রুপে আমার কথা? আর জানিতে পারিয়াই কি  তাহার উপর নির্জাতন  বাড়িয়াছে,কিন্তু তাহাই বা হয় কি করে ..?
আমার র্দুবলতা কখনো কি বিহম্বল হইয়া তাহাকে স্পর্শ করিয়াছিল,না তাহা করেনাই কিন্তু সুষমার র্দুবলতা যে তাহা প্রকাশ করেনাই  তাহা বলিবার সাধ্য মৃদুলের নাই ।কারন তাহার প্রেম দুর্বার, কঠিন। যাকে দমন করবার ক্ষমতা নেই কাহারো । যদি নিজের অজান্তে ভুল করিয়া..? না না
এ ভুল হয়নাই তার। আর তাছাড়া সুষমা নিজেই নিমন্ত্রন করিয়াছিল তাঁকে । তাই এমন একটা বিপদে স্বয়ং মাতার মৃত্যু যাকে এখানে পৌছালোনা আমি নিজে গিয়ে এক বার তাহার সঙ্গে দেখা করিলে হয়তোবা বিসন্ন হৃদয় কিছুটা শান্তনা পাইবে । এ আমার কর্তব্য আপনার হইয়া একটি বার সন্ধান করা। নয়তো বিবেক চিরকাল দহিবে ।আমি ছাড়া আপন তো তাহার কেহ নাই।
হাঁ আর বিলম্ব নয়। সুষমার শুশ্রী মুখের পানে একটি বার চাহিলেই তৃষ্নার্ত আখি  পূর্ণতা পাইবে  । এ চরম সত্য কথা স্বীকার না করলেও বুঝতে পেরেছে মৃদুল । আর তাই যেন তর সইছেনা তার।
তবু কাল তাকে সেই গুরুত্বপুর্ণ কেসে লড়িতে হইবে । এ কেস একদিন নিজ ব্যক্তিতের তাড়নায় সুষমার নিষ্ঠুরতার প্রতিচ্ছবি অনুধাবনেই গ্রহন করিয়াছিল সে । সেই নারী নির্যাতন মমামলার  আসামিকে কোর্ডে হাজির করা হইবে,মৃদুলের উপস্থিতি একানস্তই প্রয়োজন সেখানে, কারন এখানে হারতে চায়না সে হারাতে চাই হাজারো নির্যাতিত সুষমার নির্যাতনকে ।
সব জেনেই সাগ্রহে এ মামলার ভার হাতে নিয়াছে সে। সমস্যাটা এমন যে-
সাধারন মধ্যবিত্ত ঘরের মা হীন আসহায় মেয়ে যেনেই বিয়ে করে স্ত্রী দ্বারা পতিতা ব্যবসা করাতে চাইলো লক্ষাপতি স্বামী। কিন্তু সরলা ¯স্ত্রী তাতে মত না দিয়ে বিদ্রোহ করিল। নিজ সন্মান কে বাচাইবার আসায় আশ্রয় নিল পিতার গৃহে। কিন্ত পিচাস স্বামী তাহার অধীকার প্রতিষ্ঠা করিয়া ফিরিয়া নিল স্ত্রীকে । রাত্রির অন্ধকারে হত্যার শলাপরামর্সে সজাগ হইলো সুচতুর স্ত্রী । নিজেকে প্রস্তুত করিল সে । মৃত্যুকে  হাতে মুষ্ঠী বদ্ধ করিয়া সাহস সঞ্চয় করিল। ওরা চায় তার মৃত্যু দিয়ে নিজেদের ভদ্রতা অক্ষুন্ন রাখিতে নয়তো মুখোশ খুলিয়া যাইবে । কিন্তু এ মৃত্যুকে মানতে চায়না সে । তাই কৌশলে লম্পট স্বামীর রক্ষিত পিস্থল খানা সহ রাত্রির র্নিজনতা ভেদ করিয়া প্রবেশ করিল এ্যডভোকেট মৃদুলের গৃহে। আর তাতে সে নিজে বাঁচিল কিন্তু বাঁচিলনা তার অসহায় পিতা ।

মৃদুল যথা প্রস্তুতে  চলিতেছে, আজ মামলা শেষে দু দিনের জন্য মুক্ত হবে সে । আর সেই হবে সুষমার জন্য উপযুক্ত সময়। আমি আসিতেছি সুষমা আমি আসিতেছি,কিযে আনন্দ কি যে সুখ তাহাতো বলিয়া বুঝাবার নহে।
যে আদালতে মিশিয়া থাকে অপরাধীর শাস্থি,নিরপরাধীর কাঁন্না সে আদালতকে সঙ্গি করিয়া নিজেকে কোথায় দ্বাড় করাইবে মৃদুল । আজ কি অপরাধীর শাস্থি প্রদান করিতে পারিবে সে,অন্যমনস্ক মৃদুল আদালতে দাড়িয়ে আবাক হইলো যেন ।
এ কি কাঠগড়ায় দাড়ানো লোকটি সুষমার সহর্ধমি মানু নয়তো ?
হা সেই তো, তাহলে ...? শুরু হল শ্বাক্ষীর জেরা, এ কি বলছে এই মেয়েটা-?
মহা মান্য আদালত, কাঠগড়ায় দাড়ানো ভদ্রবেশি ঐ লোকটির নাম জাফর হাওলাদার মানু। সুষমা নামের একটি শান্ত মেয়ে ছিল তার সপ্তমা স্ত্রী । তার আত্মহত্যার  মাত্র তিন মাস পর হঠাৎ করেই আমাদের বিয়ে হয়ে যায়। চার পাঁচ মাস যেতে না যেতেই রংকরা মুখসের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে তার আসল রুপ । শুরু হয় নির্যাতন,শুরু হয় অবিচার  মেয়েটি বলে ই চলেছে তার কথা কিন্তু মৃদুল পারছেনা নিজেকে ধরে রাখতে একি শুনলো সে  । মেয়েটা তখনো বলেই চলেছে,আমি বিশ্বাস করিনা যে সুষমা আত্নহত্যা করেছিল,ওরা তাঁকে মেরেছে আর আমাকে ও মারতে চেয়েছিল..। কি বলছে এই মেয়েটা কি করে সম্ভাব,সত্যি কি সুষমা..,তার প্রাণের প্রতিমা আর বেচে নেই.
না না এ হতে পারেনা। মাথাটা ঘুরছে কেন? এতক্ষনে অচেতন দেহ খানা লুটিয়ে পড়লো  যেন। মর্হূতে হইচই পড়ে গেল আদালতে, ধর, ধর পড়ে যাচ্ছে তো? সকলে ধরা ধরি করে নিয়ে গেলেন মৃদুলকে।
 হতভম্ভ বিচারক কিছু না বুঝে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকলেন সে দিকে...।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৮৫০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৯/০২/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast