রাত পোহাবার আগে ১০ সংশোধনি
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি,আমি বাসায় না থাকায় অন্যকে দিয়ে প্রকাশ করায় দুিট সংখ্যা ভুল হয়ে গেছে[দশ এবং এগারো]।
আজ নয়ের পর দশ প্রকাশ করলাম...
ঃ ভাইয়া।
ঃ মুন্নি, আয়। কিছু বলবি?
ঃ ভাইয়া, আমার কিছু টাকার দরকার।
ঃ কিছু কিনবি?
ঃ হ্যাঁ,।
চলো। আমিও যাবো। আমারো কিছু কেনাকাটা দরকার।
ওরা কিছুক্ষণের মধ্যেই বেরিয়ে পড়লো। মম দরজা দে, আর সাবধানে থাকবি।কেউ ডাকলে দরজা খুলবিনা । “েমুক্তা, তোর জন্য কী আনবো?”
ঃ আমার জন্য লাল পুতুল, কমলা, আপেল, মিষ্টি, দই, জুস।
ঃ এতোগুলো? তুই তো পেটুক হয়ে গেছিস? বললো মম। হাসলো মাসুম। তার মনে হয়, মুক্তা বড় হয়ে বেহেসাবি হবে। কেন জানি ওর লক্ষণটায় অন্য রকম।
ঃ মুন্নি, তোর কিছু লাগবে?
ঃ আমার খাতা আর কলম এনো।
ঃ এটুকুই।
ঃ হ্যাঁ।
চলে যাচ্ছে ওরা । ভেতর থেকে দরজা দিলো মম। মুক্তা ছুটে গেলো রুমে। তার প্রিয় কার্টুনটা দেখবে বলে। মম চলে গেলো গোলাপ গাছটার নিচে। মনে একটা অচেনা আকাংক্ষা। টোনাটুনি পাতায় পাতায় ঘুরছে। আকাশ কিছুটা মেঘলা, তাই হয়তো ভয়ে দূরে যায়নি তারা।
মাসুমের মনটা বিষিয়ে উঠছে। মুন্নিকে দেখে ক’টা ছেলে বাঁজে বাঁজে কথা বলছে। মুন্নি সে কথা ঢাকবার জন্য জোরে কথা বলছে। জানো ভাইয়া, আমাদের কলেজের অবস্থা না মোটেও ভালো না। প্রতিদিন লেগেই থাকে একটা না একটা ঝামেলা। রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবে বুঝি আর লেখাপড়া হবেনা। প্রায় দু’চার দিন পর পর মারামারি। আজ হরতাল। কাল বন্ধ। পরশু মিছিল। কি যে হবে দেশের!
ঃ হে রে মুন্নি, সব অরাজকতার মধ্যে যে তার নিজস্ব আদর্শকে ধরে রাখতে পারবে সেই তো সত্যিকারের সফল। সেই তো সার্থক জীবন যুদ্ধে। এতো কিছুর মধ্যেই ধরে রাখতে হবে নিজেকে। মনে রাখতে হবে আমরা মধ্যবিত্তের ঘরের আদর্শ সন্তান। আমাদের হাতে সম্মানের মহান ভার। এ সম্মান রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
ঃ কিন্তু ভাইয়া, ওরা তো আমার মতো আর দশজনকে ভালো থাকতে দিচ্ছে না। ওরা ওদের ক্ষমতার জোরে আমার মতো মেয়েদের করছে লালসার শ্বিকার। চমকে উঠলো মাসুম। চমকে উঠলো মুন্নি। একথা ভাইয়াকে বলা ঠিক হয় নি তার।
ঃ মুন্নি, তোর কোনো সমস্যা হয়নি তো?
ঃ না ভাইয়া, সবার কথা বললাম এই আর কি। নিজেকে গোপন করলো মুন্নি। এতোক্ষণে ওরা পৌঁছে গেছে গন্তব্যে।
পাঁচ
রাজু আহম্মেদ মাসুমের জুনিয়র। মাসুমের সঙ্গেই জয়েন্ট করেছে অফিসে। সে মাসুমের মতো ভদ্র নয়। মাসুম বরাবরই রাজু আহম্মেদের মাঝে অপরাধ চক্রের একটা যোগ সূত্র খুঁজে পায়। এ নিয়ে তার সঙ্গে কথাও বলেছে কয়েক বার। কিন্তু রাজু আহম্মেদ সু-চতুর লোক স্বীকার করেনি একটি বারো। মাসুম যে বুঝতে পারে না তাও নয়। ক’দিন আগেই তাদের কোম্পানীর কিছু মাল রিজেক্ট হয়েছে, তার পেছনে রাজু আহম্মেদর একটা যোগ সূত্র আছে বলে মনে হয় তার। কোম্পানীর লেবাররা রাজু আহম্মেদের নামে অর্থ আতœসাৎ করেছে মাসুমকে এ ব্যাপারে বেশ ক’বার ডেকেছিলো এমডি। মাসুম যথাসাধ্য চেষ্টা করার কথা বলেছে স্যারকে। কিন্তু কীভাবে খুঁজবে এই দূর্নীতির হোতাকে। তার কাজ তো শ্রমিক পর্যায়ে নয়। শ্রমিক পর্যায়ের সকল দায়িত্ব রাজু আহম্মেদ, রফিক সাহেব আর সুনিল-এর। ওরা পরষ্পর সমপৃক্ত। তবু মাসুম একবার চেষ্টা করেছিলো। তাতে লাভ হয় নি। এমডি স্যারের অন্যরকম ভালোবাসাটা রাজু আহম্মেদের ঁেচাখে লাগে। তাই সে একটু অন্য চোঁখেই দেখে মাসুমকে। মাসুম বুঝতে পারলেও তোয়াক্কা করে না। কারণ, সে সিনিয়র অফিসার তার কাজ নিম্ন পর্যায়ে নয়। তাছাড়া সে দূর্নীতির ঘোর বিরোধী। অতএব ওদের সাথে গলা মিলিয়ে কথা বলার প্রশ্নই উঠে না। একদিন কি এক কারণে রফিক সাহেব মাসুমকে কিছু বকশিস দিতে চাইলে মাসুম কিছুটা অসন্তোষ্ট হয়ে বলেছিলো, রফিক সাহেব, পৃথিবীতে হাজার মানুষ আছে কিন্তু সবাই এক নয়। সবার স্বপ্ন এক নয়। ন্যায় যেমন আছে অন্যায়ও আছে। আর অন্যায় আছে বলেই ন্যায়ের কদর বেশি। আমি আমার চাহিদা মেটাতে পারি বলেই এ চাকরী করছি। চাহিদা মেটাতে না পারলে চলে যেতাম। আর বকশিস দেবার মালিক নিশ্চয় আপনি নয়। আর দ্বিতীয় দিন যেন এমন প্রস্তাব না পাই। হ্যাঁ, নিজেকে সংযত করুন মনে রাখবেন। সততার পুরস্কার সর্বাধিক হয় প্রত্যেকের কাছে। আর সেটা একটু দেরিতে আসে। সেদিনের পর থেকেই মাসুমের কাছে কোনো দিন কোনো কথা বলেনি কেউ। কিন্তু রাজু আহম্মেদের দৃস্টিতে মাসুম হয়ে উঠেছে কাঁটার মতো তিক্ষ্ম। মাসুমকে সহ্য করতে পারে না রাজু। তবু সে ভাব গোপন করে রাখে। কারণ, স্বয়ং এমডি তার হাতে। এমডি
নিজেও সততার সেবক। কোনো অবস্থায় ধরা পড়লে রক্ষা নেই তার। সে কথা রাজু আহম্মেদ ভালো করেই জানে। আর তাই দ্রুত এগুতে পারে না সে। তবুও সুযোগের অপেক্ষায় থাকে ।
চলবেই
আজ নয়ের পর দশ প্রকাশ করলাম...
ঃ ভাইয়া।
ঃ মুন্নি, আয়। কিছু বলবি?
ঃ ভাইয়া, আমার কিছু টাকার দরকার।
ঃ কিছু কিনবি?
ঃ হ্যাঁ,।
চলো। আমিও যাবো। আমারো কিছু কেনাকাটা দরকার।
ওরা কিছুক্ষণের মধ্যেই বেরিয়ে পড়লো। মম দরজা দে, আর সাবধানে থাকবি।কেউ ডাকলে দরজা খুলবিনা । “েমুক্তা, তোর জন্য কী আনবো?”
ঃ আমার জন্য লাল পুতুল, কমলা, আপেল, মিষ্টি, দই, জুস।
ঃ এতোগুলো? তুই তো পেটুক হয়ে গেছিস? বললো মম। হাসলো মাসুম। তার মনে হয়, মুক্তা বড় হয়ে বেহেসাবি হবে। কেন জানি ওর লক্ষণটায় অন্য রকম।
ঃ মুন্নি, তোর কিছু লাগবে?
ঃ আমার খাতা আর কলম এনো।
ঃ এটুকুই।
ঃ হ্যাঁ।
চলে যাচ্ছে ওরা । ভেতর থেকে দরজা দিলো মম। মুক্তা ছুটে গেলো রুমে। তার প্রিয় কার্টুনটা দেখবে বলে। মম চলে গেলো গোলাপ গাছটার নিচে। মনে একটা অচেনা আকাংক্ষা। টোনাটুনি পাতায় পাতায় ঘুরছে। আকাশ কিছুটা মেঘলা, তাই হয়তো ভয়ে দূরে যায়নি তারা।
মাসুমের মনটা বিষিয়ে উঠছে। মুন্নিকে দেখে ক’টা ছেলে বাঁজে বাঁজে কথা বলছে। মুন্নি সে কথা ঢাকবার জন্য জোরে কথা বলছে। জানো ভাইয়া, আমাদের কলেজের অবস্থা না মোটেও ভালো না। প্রতিদিন লেগেই থাকে একটা না একটা ঝামেলা। রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবে বুঝি আর লেখাপড়া হবেনা। প্রায় দু’চার দিন পর পর মারামারি। আজ হরতাল। কাল বন্ধ। পরশু মিছিল। কি যে হবে দেশের!
ঃ হে রে মুন্নি, সব অরাজকতার মধ্যে যে তার নিজস্ব আদর্শকে ধরে রাখতে পারবে সেই তো সত্যিকারের সফল। সেই তো সার্থক জীবন যুদ্ধে। এতো কিছুর মধ্যেই ধরে রাখতে হবে নিজেকে। মনে রাখতে হবে আমরা মধ্যবিত্তের ঘরের আদর্শ সন্তান। আমাদের হাতে সম্মানের মহান ভার। এ সম্মান রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
ঃ কিন্তু ভাইয়া, ওরা তো আমার মতো আর দশজনকে ভালো থাকতে দিচ্ছে না। ওরা ওদের ক্ষমতার জোরে আমার মতো মেয়েদের করছে লালসার শ্বিকার। চমকে উঠলো মাসুম। চমকে উঠলো মুন্নি। একথা ভাইয়াকে বলা ঠিক হয় নি তার।
ঃ মুন্নি, তোর কোনো সমস্যা হয়নি তো?
ঃ না ভাইয়া, সবার কথা বললাম এই আর কি। নিজেকে গোপন করলো মুন্নি। এতোক্ষণে ওরা পৌঁছে গেছে গন্তব্যে।
পাঁচ
রাজু আহম্মেদ মাসুমের জুনিয়র। মাসুমের সঙ্গেই জয়েন্ট করেছে অফিসে। সে মাসুমের মতো ভদ্র নয়। মাসুম বরাবরই রাজু আহম্মেদের মাঝে অপরাধ চক্রের একটা যোগ সূত্র খুঁজে পায়। এ নিয়ে তার সঙ্গে কথাও বলেছে কয়েক বার। কিন্তু রাজু আহম্মেদ সু-চতুর লোক স্বীকার করেনি একটি বারো। মাসুম যে বুঝতে পারে না তাও নয়। ক’দিন আগেই তাদের কোম্পানীর কিছু মাল রিজেক্ট হয়েছে, তার পেছনে রাজু আহম্মেদর একটা যোগ সূত্র আছে বলে মনে হয় তার। কোম্পানীর লেবাররা রাজু আহম্মেদের নামে অর্থ আতœসাৎ করেছে মাসুমকে এ ব্যাপারে বেশ ক’বার ডেকেছিলো এমডি। মাসুম যথাসাধ্য চেষ্টা করার কথা বলেছে স্যারকে। কিন্তু কীভাবে খুঁজবে এই দূর্নীতির হোতাকে। তার কাজ তো শ্রমিক পর্যায়ে নয়। শ্রমিক পর্যায়ের সকল দায়িত্ব রাজু আহম্মেদ, রফিক সাহেব আর সুনিল-এর। ওরা পরষ্পর সমপৃক্ত। তবু মাসুম একবার চেষ্টা করেছিলো। তাতে লাভ হয় নি। এমডি স্যারের অন্যরকম ভালোবাসাটা রাজু আহম্মেদের ঁেচাখে লাগে। তাই সে একটু অন্য চোঁখেই দেখে মাসুমকে। মাসুম বুঝতে পারলেও তোয়াক্কা করে না। কারণ, সে সিনিয়র অফিসার তার কাজ নিম্ন পর্যায়ে নয়। তাছাড়া সে দূর্নীতির ঘোর বিরোধী। অতএব ওদের সাথে গলা মিলিয়ে কথা বলার প্রশ্নই উঠে না। একদিন কি এক কারণে রফিক সাহেব মাসুমকে কিছু বকশিস দিতে চাইলে মাসুম কিছুটা অসন্তোষ্ট হয়ে বলেছিলো, রফিক সাহেব, পৃথিবীতে হাজার মানুষ আছে কিন্তু সবাই এক নয়। সবার স্বপ্ন এক নয়। ন্যায় যেমন আছে অন্যায়ও আছে। আর অন্যায় আছে বলেই ন্যায়ের কদর বেশি। আমি আমার চাহিদা মেটাতে পারি বলেই এ চাকরী করছি। চাহিদা মেটাতে না পারলে চলে যেতাম। আর বকশিস দেবার মালিক নিশ্চয় আপনি নয়। আর দ্বিতীয় দিন যেন এমন প্রস্তাব না পাই। হ্যাঁ, নিজেকে সংযত করুন মনে রাখবেন। সততার পুরস্কার সর্বাধিক হয় প্রত্যেকের কাছে। আর সেটা একটু দেরিতে আসে। সেদিনের পর থেকেই মাসুমের কাছে কোনো দিন কোনো কথা বলেনি কেউ। কিন্তু রাজু আহম্মেদের দৃস্টিতে মাসুম হয়ে উঠেছে কাঁটার মতো তিক্ষ্ম। মাসুমকে সহ্য করতে পারে না রাজু। তবু সে ভাব গোপন করে রাখে। কারণ, স্বয়ং এমডি তার হাতে। এমডি
নিজেও সততার সেবক। কোনো অবস্থায় ধরা পড়লে রক্ষা নেই তার। সে কথা রাজু আহম্মেদ ভালো করেই জানে। আর তাই দ্রুত এগুতে পারে না সে। তবুও সুযোগের অপেক্ষায় থাকে ।
চলবেই
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ০১/০১/২০১৭অনন্য প্রয়াস!নববর্ষের শুভেচ্ছা।