রাত পোহাবার আগে
বাসাটা পুরুনো। কোথাও কোথাও রং বিবর্ণ হয়ে গেছে। আবার কার্নিশটাও পড়ে গেছে অনেক জায়গায়। তবু সুন্দর বাসাটা তার আভিজাত্য হারায় নি। দু’তলা বিশিষ্ট এ বাসার উপর তলাটা ভাড়া দেওয়া ছিলো। আর নিচে বাস করতো মাসুমের পরিবার। কিন্তু বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর তেমন কোনো ভালো ভাড়াটিয়া পাওয়া যায় নি বলে ফাঁকায় রয়ে গেছে উপরটা। যে পরিবার আসে তারাই চোখ রাখে মাসুম, মুন্নি, কিংবা মমর প্রতি। এই তো কিছু দিন আগের কথা, এক মহিলা বললো, তার স্বামী প্রবাসে থাকে এবং এক ছেলে-মেয়ে নিয়ে তার পরিবার। ছেলে-মেয়ের শিক্ষার সুবিধার জন্য সে শহরে থাকার সিদ্ধান্তে একটা ভালোবাসা খুজছে। মাসুমের মনে ধরলো মহিলার কথা। তাই সে ভদ্রমহিলাকে ঘুরে ফিরে বাসা দেখালো। উপর তলায় তিনটি রুম। রুমের সঙ্গে লাগানো একটি বাথররুম এবং অবসরের জন্য কিছুটা জায়গা ফাঁকা রাখা আছে। ব্যালকনিসহ সব মিলিয়ে একটা সুন্দর পরিবেশ। ভালো লাগলো মহিলার। নির্জন মুখরতাহীন নিরব পরিবেশ। কথা হলো সামনে মাসেই বাসায় উঠবেন তিনি। মাসুম বলেছিলো, আন্টি, শর্ত কিন্তু একটায়। উপযুক্ত পুরুষ মানুষ থাকা চলবে না।
না বাবু, তা কেন। আমি কি আর বুঝিনে, আমারো তো ঘরে মেয়ে আছে। তাছাড়া আমার এজন্মে কোনো উপযুক্ত ছেলে-পুলে নেই।
মহিলার কথাই কিছুটা স্বস্থির পেলো মাসুম। কিন্তু সমস্যা হলো, যখন মহিলা এলেন বাসায় ছেলেটা ছোট হলেও কিন্তু মেয়েটা বেশ বড়। রুপের তুলনায় রুপসী হলেও মাসুমের চোখে হয়ে উঠলো ইতর বিশেষ প্রাণীর মতো। যেমনি মডার্ন তেমনি বেহায়া স্বভাবের।
চোখে তো পর্দা নেই- মুখেও। পোশাক ছোট হতে হতে এতোটাই ছোট হয়েছে যে, বুকের শুভ্রতা বেরিয়ে আসতে চাইছে। হাত কাটা জামাটার সূতার গাঁথনী অতি নিম্ন হওয়ায় ফর্সা দেহের প্রতি ভাঁজের জোয়ার যেন আকর্ষণ করছে, কতো শতো পথে চলা পুরুষের দৃষ্টি। বুকের শুভ্রতা বাঁধন হীন হয়ে ছুঁতে চায় অন্যকে। ওড়না নেই বলে ওগুলো হয়ে উঠেছে স্বাধীন। ঠোঁট লাগানো রক্তো লাল লিপিস্টিক আর চোখের পাতায় উন্নত মেক-আপ। সব মিলিয়ে এ যেন প্রতিযোগিতার এক প্রার্থী। মন্দ লাগছে না মেয়েটাকে। থেকে থেকে পারফিউমের সু-ঘ্রান বেরিয়ে আসছে যেন মাতাল করা সে ঘ্রানে নিজেকে সংযত করা কঠিন। মেয়েটাকে দেখলেই পুরষত্ব জেগে উঠে মাসুমের। ইচ্ছে করে কিছুটা সময়। কিন্তু না পরক্ষণেই একরাশ ঘৃণা এসে সজাগ করে তুলে তাকে। বলে যায় কানে কানে। এই তুমি কঠিন মাসুম যদি হেরে যাও এই বিভষ্টা নারীর উন্মক্ত দেহের আকর্ষণে, তবে আর কতো শত দুর্বল পুরষ তাদের দশাটা ভাবো তো একবার? হ্যাঁ, সত্যিই তো। কি সুখ পায় এ নারীরা পথে ঘাটে নিজের সম্মান বিলিয়ে, সৌন্দর্য বিলিয়ে? এক নারীর কারণে হাজার পুরষের উত্তেজনা এতে কি সে সুখী নাকি সার্থক? ছিঃ! ছিঃ!! ছিঃ!!! এই পাপিষ্ট নারীর কারণেই নারী আজ অবহেলিত। যেখানে নারীর পবিত্রতা পর্দায়। সেখানে নারী আজ উন্মুক্ত কেন? কেন এই লজ্জাহীনতা? কোথায় নিয়ে যাবে নারীর এই অশ্রিলতা? নারী কী পারবে এই অশ্রিলতা থেকে মুক্ত হতে ?
নাকি এমনি করে এক নারীর কারণে হাজারো নারী হারাবে তাদের নারীত্বের মর্যাদা? কী হবে নারীর? নারী স্বাধীনতা নামে এই বেহায়া পণা কেন ? কেন পথে-ঘাটে নারীর নগ্ন ছবি আর অস্লিল বাক্য বিভ্রান্ত করছে আজ গোটা বিশ্বের তরুণ, এমন কি শিশু সমাজকেও। শিশুদের মস্তিসকেও এখন ধরা দিয়েছে রোমাঞ্চের রঙ্গতা। ওরাও আর থেমে নেই শিশুর সুপ্ত সীমানায়।
এটি একটি উপন্যাস, খন্ডাকারে প্রতি বৃহঃ প্রকাশ হবে।
না বাবু, তা কেন। আমি কি আর বুঝিনে, আমারো তো ঘরে মেয়ে আছে। তাছাড়া আমার এজন্মে কোনো উপযুক্ত ছেলে-পুলে নেই।
মহিলার কথাই কিছুটা স্বস্থির পেলো মাসুম। কিন্তু সমস্যা হলো, যখন মহিলা এলেন বাসায় ছেলেটা ছোট হলেও কিন্তু মেয়েটা বেশ বড়। রুপের তুলনায় রুপসী হলেও মাসুমের চোখে হয়ে উঠলো ইতর বিশেষ প্রাণীর মতো। যেমনি মডার্ন তেমনি বেহায়া স্বভাবের।
চোখে তো পর্দা নেই- মুখেও। পোশাক ছোট হতে হতে এতোটাই ছোট হয়েছে যে, বুকের শুভ্রতা বেরিয়ে আসতে চাইছে। হাত কাটা জামাটার সূতার গাঁথনী অতি নিম্ন হওয়ায় ফর্সা দেহের প্রতি ভাঁজের জোয়ার যেন আকর্ষণ করছে, কতো শতো পথে চলা পুরুষের দৃষ্টি। বুকের শুভ্রতা বাঁধন হীন হয়ে ছুঁতে চায় অন্যকে। ওড়না নেই বলে ওগুলো হয়ে উঠেছে স্বাধীন। ঠোঁট লাগানো রক্তো লাল লিপিস্টিক আর চোখের পাতায় উন্নত মেক-আপ। সব মিলিয়ে এ যেন প্রতিযোগিতার এক প্রার্থী। মন্দ লাগছে না মেয়েটাকে। থেকে থেকে পারফিউমের সু-ঘ্রান বেরিয়ে আসছে যেন মাতাল করা সে ঘ্রানে নিজেকে সংযত করা কঠিন। মেয়েটাকে দেখলেই পুরষত্ব জেগে উঠে মাসুমের। ইচ্ছে করে কিছুটা সময়। কিন্তু না পরক্ষণেই একরাশ ঘৃণা এসে সজাগ করে তুলে তাকে। বলে যায় কানে কানে। এই তুমি কঠিন মাসুম যদি হেরে যাও এই বিভষ্টা নারীর উন্মক্ত দেহের আকর্ষণে, তবে আর কতো শত দুর্বল পুরষ তাদের দশাটা ভাবো তো একবার? হ্যাঁ, সত্যিই তো। কি সুখ পায় এ নারীরা পথে ঘাটে নিজের সম্মান বিলিয়ে, সৌন্দর্য বিলিয়ে? এক নারীর কারণে হাজার পুরষের উত্তেজনা এতে কি সে সুখী নাকি সার্থক? ছিঃ! ছিঃ!! ছিঃ!!! এই পাপিষ্ট নারীর কারণেই নারী আজ অবহেলিত। যেখানে নারীর পবিত্রতা পর্দায়। সেখানে নারী আজ উন্মুক্ত কেন? কেন এই লজ্জাহীনতা? কোথায় নিয়ে যাবে নারীর এই অশ্রিলতা? নারী কী পারবে এই অশ্রিলতা থেকে মুক্ত হতে ?
নাকি এমনি করে এক নারীর কারণে হাজারো নারী হারাবে তাদের নারীত্বের মর্যাদা? কী হবে নারীর? নারী স্বাধীনতা নামে এই বেহায়া পণা কেন ? কেন পথে-ঘাটে নারীর নগ্ন ছবি আর অস্লিল বাক্য বিভ্রান্ত করছে আজ গোটা বিশ্বের তরুণ, এমন কি শিশু সমাজকেও। শিশুদের মস্তিসকেও এখন ধরা দিয়েছে রোমাঞ্চের রঙ্গতা। ওরাও আর থেমে নেই শিশুর সুপ্ত সীমানায়।
এটি একটি উপন্যাস, খন্ডাকারে প্রতি বৃহঃ প্রকাশ হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।