রজনীর কান্না
মোজ্জামেল হকের মৃত্যুতে তার আপন জনেরা সকলেই কাঁদচ্ছে ।কিন্তু সবার চেয়ে বেশি কাদছে একটি শিশু । শিশুটির নাম রজনি। রজনির বয়স ছয় কিংবা সাত বছর হবে । অনেকে তাকে সান্তনা দিচ্ছে,সান্তনা পেয়ে সে আরো দিগুন জোরে কাঁদছে। লোকেরা বলা বলি করছে ওর দাদু ওকে অনেক ভালোবাসতো ,তাই এতো কাঁদছে রজনী। মা নাই দাদা একটু ভালোবাসতো সেও চলে গেল । সবাই দেখছে ,সান্তনা দিচ্ছে, আর আমি ভাবছি অন্য কথা ।এখন শিশুটি কেমন থাকবে ? একটি মাত্র ভুল আর একটু গোড়ামি আজ এ শিশুটিকে এতটা ভাগ্য হীন আর এতটা অসহায় করে তুলেছে। তাইতো তার এ কান্না আর থামবার নয় কেবলি বিরতির ।
রজনীর বাবা রায়হান চেয়েছিলেন রুপসি মেয়ে কে বিয়ে করতে ,তাদের সংসারে কোন সুন্দর মানুষ নেই,সকলেই কালো। তার ইচ্ছে যেমনই হোক রুপসি মেয়ে তার চাই, চাই। গ্রামের মেয়ে লাকিকেই তার পছন্দ হল । কিন্ত পরিবার তা চাই না,পারিবারিক ভাবনা রায়হানকে বিয়ে করাবেন তারই ফুপুতো বোন কে,কারন সে একমাত্র মেয়ে, বাবার টাকা পয়সা তার অবর্তমানে সব মেয়ের হবে।রুপ দিয়ে কি হবে, পৃথিবীতে টাকায় সব।কোন রকমে একবার বিয়েটা হয়ে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে। এ ভাবনার রেশ ধরেই সকলে এক হয়ে জোর করে বিয়ে দিলেন তাকে।কিন্তু রায়হান কিছুতেই পারেনা কালো মেয়েকে মেনে নিতে । তার অসাভাবিক আচারনে ব্যথিত হয় মেয়েটি । ঘরোয়া সালিসে দু এক দিন ভালো থাকলেও মনের দুরুত্ব বেড়েই চলে তাদের ।রুপসিদের সঙ্গে মিশতে থাকে সে ।অলক্ষে আবডলে দেখা করে তাদের সঙ্গে ।বউয়ের সঙ্গে কথা বলেনা, তার হাতে ছোয়া ভাত খায়না, তার দিকে চায়না। এমনি করে অনাদর অবহেলায় শেষে জন্ম নেয় একটি শিশু । সেই কালো শিশুটির নাম দেয়া হয় রজনী ।রজনীর জন্মের কিছুদির পরে ছিন্ন হয় বাবা মায়ের সর্ম্পক ।আরো কিছু দিন পরে চলে আসেন রজনীর রুপসি মা । রুপের চাদরে স্থান হয়না রজনীর ।ছিটকে পড়ে সে অবহেলার আস্থা কুড়ে । দাদু এসে পাশে দাড়ায় তার । দাদীর রক্ত চোখের অলক্ষে দাদু আর কতটুকু তবুও যা হোক চলছিল ।কিন্তু দাদুর অসুস্থতা আর মৃত্যু তাকে কোথায় দাড় করাবে ? কে দিবে তাকে একটু আদর একটু ভালোবাসা।কেমন কাটবে রজনীর আগামি দিন গুলি ?হায়রে মানুষ,হায়রে গোড়ামি... ।
রজনীর কাঁন্না বেড়েই চলেছে। এমনি কত শত রজনীর কষ্টে একাকার যেন হাজারো রজনীর কান্না ।
রজনীর বাবা রায়হান চেয়েছিলেন রুপসি মেয়ে কে বিয়ে করতে ,তাদের সংসারে কোন সুন্দর মানুষ নেই,সকলেই কালো। তার ইচ্ছে যেমনই হোক রুপসি মেয়ে তার চাই, চাই। গ্রামের মেয়ে লাকিকেই তার পছন্দ হল । কিন্ত পরিবার তা চাই না,পারিবারিক ভাবনা রায়হানকে বিয়ে করাবেন তারই ফুপুতো বোন কে,কারন সে একমাত্র মেয়ে, বাবার টাকা পয়সা তার অবর্তমানে সব মেয়ের হবে।রুপ দিয়ে কি হবে, পৃথিবীতে টাকায় সব।কোন রকমে একবার বিয়েটা হয়ে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে। এ ভাবনার রেশ ধরেই সকলে এক হয়ে জোর করে বিয়ে দিলেন তাকে।কিন্তু রায়হান কিছুতেই পারেনা কালো মেয়েকে মেনে নিতে । তার অসাভাবিক আচারনে ব্যথিত হয় মেয়েটি । ঘরোয়া সালিসে দু এক দিন ভালো থাকলেও মনের দুরুত্ব বেড়েই চলে তাদের ।রুপসিদের সঙ্গে মিশতে থাকে সে ।অলক্ষে আবডলে দেখা করে তাদের সঙ্গে ।বউয়ের সঙ্গে কথা বলেনা, তার হাতে ছোয়া ভাত খায়না, তার দিকে চায়না। এমনি করে অনাদর অবহেলায় শেষে জন্ম নেয় একটি শিশু । সেই কালো শিশুটির নাম দেয়া হয় রজনী ।রজনীর জন্মের কিছুদির পরে ছিন্ন হয় বাবা মায়ের সর্ম্পক ।আরো কিছু দিন পরে চলে আসেন রজনীর রুপসি মা । রুপের চাদরে স্থান হয়না রজনীর ।ছিটকে পড়ে সে অবহেলার আস্থা কুড়ে । দাদু এসে পাশে দাড়ায় তার । দাদীর রক্ত চোখের অলক্ষে দাদু আর কতটুকু তবুও যা হোক চলছিল ।কিন্তু দাদুর অসুস্থতা আর মৃত্যু তাকে কোথায় দাড় করাবে ? কে দিবে তাকে একটু আদর একটু ভালোবাসা।কেমন কাটবে রজনীর আগামি দিন গুলি ?হায়রে মানুষ,হায়রে গোড়ামি... ।
রজনীর কাঁন্না বেড়েই চলেছে। এমনি কত শত রজনীর কষ্টে একাকার যেন হাজারো রজনীর কান্না ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১৯/০৩/২০১৭
আর উপলব্ধির দারুণ সংযোজন।।
সত্যিই, হৃদয় ছুঁয়ে যায়.....
শুভকামনা।।।