একটি বৃষ্টিস্নাত দিন
মাঝরাস্তায় বৃষ্টির মাঝে একটি গাড়ির আধখোলা জানালা দিয়ে বয়সের ছাপ পড়া একটি চেহারা দেখেই থমকে দাঁড়ায় সুমি নামের ফুল বিক্রেতা অষ্টাদশী মেয়েটি।
এই চেহারাটা দেখাই যেন ওর রোজকার জীবনের নির্মম বাস্তবতা।
মাঝেসাঝেই দেখে এই চেহারার লোকটাকে, যখন বৃষ্টিস্নাত ভোরের নেতিয়ে যাওয়া ফুল কুড়াতে যায় বস্তির কাছের পার্কের ফুলের দোকানের সামনে।
.
শৈশবে রোজ দেখতো। যখন ওর কিশোরী মা একটি বাসার মেঝে মোছা। কাপড় কাঁচাসহ অন্য কাজগুলো করতো। ছোট্ট মেয়েটি মাকে ছেড়ে সরতো না।
কিন্তু হুঁট করে লোকটি এসে ওর মাকে ডেকে নিত অন্য ঘরে।
মাও দ্বিধা করতো না। …’কুমারী মেয়ে’ মা হয়ে যাবার পর আবার কিসের দ্বিধা?
জ্ঞান হবার পর থেকেই দেখে এসেছে ও। রোজ দেখেছে।
তারপর, একদিন মায়ের কালা জ্বর হয়। তখন সুমির বয়স পনেরর কোঠায়। মাকে ঘরে রেখে ও যাওয়া শুরু করে কাজে।
অতঃপর, একদিন ওরও ডাক পড়ে। পেটের দায়ে না পারতে যে কাজটি করে আসছিল ওর মা এতগুলো বছর, আজ লোকটি সে কাজে ওকেও ডেকে নেয় তার ঘরে।
সেদিন ঘৃণায় কুঁচকে আসে ওর চোখ মুখ। এতদিন ওর মায়ের কথা ভেবে ঘৃণা আসতো লোকটির প্রতি, ঘৃণা আসতো নিজের জন্মের কথা ভেবে। কিন্তু আজ?
.
সেদিনের পর আর ঐ বাসায় ও যায়নি ঠিক। কিন্তু তার কিছুদিনের ভিতর ও অনুভব করে নিজের মধ্যে অন্য কারো অস্তিত্ব। এর মাঝে মাও চলে যায় পরপারে।
নিঃস্ব মেয়েটি পেটের তাড়নায় কাজ খুঁজতে গিয়ে পড়ে আরও কয়েক শরীর খেকোর খপ্পড়ে।
.
অবশেষে একদিন হাতে তুলে নেয় নেতানো ফুল।
আজকের দিনটি সেরকমই একটি দিন।
এই চেহারাটা দেখাই যেন ওর রোজকার জীবনের নির্মম বাস্তবতা।
মাঝেসাঝেই দেখে এই চেহারার লোকটাকে, যখন বৃষ্টিস্নাত ভোরের নেতিয়ে যাওয়া ফুল কুড়াতে যায় বস্তির কাছের পার্কের ফুলের দোকানের সামনে।
.
শৈশবে রোজ দেখতো। যখন ওর কিশোরী মা একটি বাসার মেঝে মোছা। কাপড় কাঁচাসহ অন্য কাজগুলো করতো। ছোট্ট মেয়েটি মাকে ছেড়ে সরতো না।
কিন্তু হুঁট করে লোকটি এসে ওর মাকে ডেকে নিত অন্য ঘরে।
মাও দ্বিধা করতো না। …’কুমারী মেয়ে’ মা হয়ে যাবার পর আবার কিসের দ্বিধা?
জ্ঞান হবার পর থেকেই দেখে এসেছে ও। রোজ দেখেছে।
তারপর, একদিন মায়ের কালা জ্বর হয়। তখন সুমির বয়স পনেরর কোঠায়। মাকে ঘরে রেখে ও যাওয়া শুরু করে কাজে।
অতঃপর, একদিন ওরও ডাক পড়ে। পেটের দায়ে না পারতে যে কাজটি করে আসছিল ওর মা এতগুলো বছর, আজ লোকটি সে কাজে ওকেও ডেকে নেয় তার ঘরে।
সেদিন ঘৃণায় কুঁচকে আসে ওর চোখ মুখ। এতদিন ওর মায়ের কথা ভেবে ঘৃণা আসতো লোকটির প্রতি, ঘৃণা আসতো নিজের জন্মের কথা ভেবে। কিন্তু আজ?
.
সেদিনের পর আর ঐ বাসায় ও যায়নি ঠিক। কিন্তু তার কিছুদিনের ভিতর ও অনুভব করে নিজের মধ্যে অন্য কারো অস্তিত্ব। এর মাঝে মাও চলে যায় পরপারে।
নিঃস্ব মেয়েটি পেটের তাড়নায় কাজ খুঁজতে গিয়ে পড়ে আরও কয়েক শরীর খেকোর খপ্পড়ে।
.
অবশেষে একদিন হাতে তুলে নেয় নেতানো ফুল।
আজকের দিনটি সেরকমই একটি দিন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আলম সারওয়ার ২১/০৫/২০১৭সুন্দর লেখা লেখালেখির জন্য শুভেচ্ছা
-
লিংকন ২১/০৫/২০১৭ভালই
-
আলম সারওয়ার ১৬/০৫/২০১৭সুন্দর লেখা
-
আতাম মিঞা ১৬/০৫/২০১৭সংক্ষেপে...উপসংহার,ভালো ধৌর্য চূত্যি হলনা।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৬/০৫/২০১৭ভালো।
-
Tanju H ১৬/০৫/২০১৭সবই বাস্তবতা,,,
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৬/০৫/২০১৭ভালো লগলো।