www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ছেড়া দ্বীপের মায়া - ১

সময়টা ছিলো ২০১২ইং সালের ২৬শে জানুয়ারি, ১৪ জনের বিশাল বাহিনী জাহাজ কুতুবদিয়াতে চড়ে চলে ছিলাম “সেন্টমার্টিনের পথে….” । প্রায় আড়াই ঘণ্টার সমুদ্র যাত্রার সময়টুকু অনায়াসে টেকে যায় ওপেন ডেক থেকে নদী-সমুদ্র, জেলে নৌকা-জাল, পাহার আর মেঘ দেখে। সারাটা পথই সঙ্গী হিসেবে সাথে ছিল “ঝাঁক” “ঝাঁক” “গাংচিল”। সেন্টমার্টিনের হোটেল প্রিন্স হ্যাভেনে আগে থেকে বুক করে রাখা রুমে উঠি সকলে। রুমে ব্যাগ-ব্যাগেজ রেখেই সকলে ছুটে যাই “সেন্টমার্টিনের উত্তরের সৈকতে” সাগর অবগাহনে। নীল জলে সমুদ্র স্নান সেরে উঠে আসি একে একে সকলে। একটু দেরিতে দুপুরের খাওয়া সেরে সকলে আবার বের হই দ্বীপের পশ্চিম দিকে “সেন্টমার্টিনের সূর্যাস্ত” দেখতে। সান্ধ্য ভ্রমণ শেষে বাজারে এসে দেখি অনেক রকম “মাছ আর কাঁকড়া” সাজিয়ে রেখেছ। এগুলি দেখতে দেখতে আমার চমৎকার একটি  বোট ঠিক করি ছেড়া দ্বীপে যাওয়ার। আজ এই পর্বে দেখবো নীলজল কেটে  ছেড়া দ্বীপে পৌছনোর কিছু ছবি।


১।

সময় সকাল ৯টা ৪৭মিনিট। এই কিছুক্ষণ আগে গতরাতে ঠিক করে রাখা আমাদের চমৎকার বোটটিতে চড়ে চলেছি ছেড়া দ্বীপের পথে। আমাদের পাশে পাশেই চলছে এই বোটটিও।



২।

মিষ্টি রোদে বোটের ছাদে বসে আছি, ধীরে ধীরে রোদের তেজ বাড়ছে।



৩।

বোটের ভেতরের একাংশ।



৪।

অনেকটা এসে পরেছি ঘাট ছেড়ে, আরো অনেকটা বাকি ছেড়া দ্বীপে পৌছনোর।



৫।

ছোট্ট এই নৌকয় বসে এরা কি সাহসের সাথে মাছ ধরে যাচ্ছে। ছবিতে বুঝা যাচ্ছেনা, এখানে কিন্তু অনেক বড়বড় ঢেউ আছে।



সময় সকাল ৯টা ৫৪ মিনিট। আমাদের সবাইকে অবাক করে দিয়ে আমাদের অতি সুন্দর আর যাকে মনে হয়েছিলো অতি নিরাপদ, সেই বোটখানির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেছে। সাগর পারে যে ঢেউ থাকে মাথায় সাদা ফেনার মুকুট নিয়ে এখানে তা নেই। বড় বড় প্যাট মোটা ঢেউয়ে আমাদের বোটটি দোলনার মতো ধুলছে। মহিলা আর বাঁচ্চারা বেশ ভয় পেয়েগেছে। বড়রা আমাদের উপর রেগে যাচ্ছে এমন একটা বাজে বোট ভাড়া করার জন্য। বস, সবচেয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে সবচেয়ে সুন্দর আর নিরাপদ বোটের এহেনো অবস্থার জন্য আমরা কিছুতেই দায়ি নই।

বোটের লোক চেষ্টা করছে ইঞ্জিন ঠিক করতে, কিন্তু হচ্ছে না। খক খক কেশেই আবার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এক সময় সাইফুলও হাত লাগায় ওদের সাথে, (সাইফুলের ইঞ্জিন সম্পর্কে কিছুটা ধারনা আছে)। দেখা গেলো ইঞ্জিনের কোনো একটা অংশ খয় হয়ে গেছে যার ফলেই সমস্যা। ওরা কাপর দিয়ে বেঁধে বেঁধে ঠিক করার চেষ্টা করলো, কাজ হলো না।


৬।

সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিট, আমাদের উদ্ধারকারী বোট এগিয়ে আসছে। বাঁচ্চার সব চুপ চাপ হয়ে আছে, মহিলা আর মুরব্বিদের উৎকণ্ঠা কিছুতেই কমছেনা।



৭।

সাইফুল ইঞ্জিন ঠিক করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ছাদে এসে বসেছে। আর আমাদের উদ্ধারকারী বোটটি এসে ভিরেছে আমাদের বোটের সাথে।



৮।

উদ্ধারকারী বোটটি একটি দড়ি দিয়ে আমাদের বোটটি বেঁধে টোকরে নিয়ে চললো ছেড়া দ্বীপের দিকে। সময় তখন ১০টা ৩৮ মিনিট।




৯।

তীরের কাছাকাছি সাদা ফেনাযুক্ত ঢেউয়ের নিচে রয়েছে প্রবাল প্রাচির। এখানে ডুব দিয়ে নিশ্চই অসাধারণ সৌন্দর্য অবলোকন করা যাবে।



১০।

ছেড়া দ্বীপের মূল অংশ। সময় তখন ১০টা ৫৩ মিনিট।



১১।

উদ্ধারকারী বোট আমাদের টো করে নিয়ে এসেছে মৈড়া দ্বীপের কিনারায়।



১২।

ছেড়া দ্বীপে নামার অপেক্ষায়....



১৩।

ছেড়া দ্বীপে নামাটাও বিশাল এক ঝক্কির ব্যাপার। বোট সরা সরি তীরে যাবেনা, কারণি পানির নিচেই রয়েছে ধারালো প্রবাল পাথর। তাই এখান থেকে ছোট ছোট এই নৌকায় চড়ে যেতে হবে কিনারায়।



১৪।

ছোট্ট নৌকায় ছোটো ছোটো ঢেউয়ে দুলতে দুলতে আমাদের প্রথম নৌকা যাচ্ছে.....







১৫।

এই নৌক থেকে নামতে হবে খুব সাবধানে। খালি পায়ে নামতে গেলে প্রবালে পা কাটবে, আর জুতা পরে নামতে গেলে পা পিছলানোর সম্ভবনা আছে।



১৬।

আমাদের গোটা বল নেমে এসেছি বোট থেকে। এবার ছেড়া দ্বীপের ভেতরের দিকে যাওয়ার পালা.......


ছেড়া দ্বীপে যাওয়ার এই অংশ কুকুর নাম দিলাম “ছেড়া দ্বীপের মায়া-১” পরের অংশে দেখতে পাবেন প্রবাল পাথর আর জলের খেলা।
বিষয়শ্রেণী: ফটোব্লগ
ব্লগটি ১৯৪১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৭/১২/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • শিমুল শুভ্র ১৭/০৭/২০১৪
    ছবি গুলো মানুষ গুলো যেমন সুন্দর তেমনি ফটোগ্রাপারে'র ও জুড়ি নেই বলতে হবে ইমেজিং
  • আবু সাহেদ সরকার ১১/০৬/২০১৪
    বেশ মজার! তবে আমি লেখার সাথে ছবি এ্যাড করতে পারছি না। কিভাবে ছবি এ্যাড করতে পারি যদি নিয়মটা বলেন তাহলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
    • লেখার মাঝে ছবি যোগ করার অপশন আছে। আশাকরি এতো দিনে আপনি শিখে গেছেন। যদি না শিখে থাকেন তাহলে আমাকে জানালে আমি আপনাকে শিখিয়ে দিব।
  • সুরজিৎ সী ১৯/০৫/২০১৪
    দারুন!
  • suman ২৫/০৩/২০১৪
    দারুণ ।।আমি যে এড় বালু কণাগুলো চিনি ...
  • দারুন একটা পোষ্ট দিয়েছেন, শুভেচ্ছাটা নিন
    মরুভূমি নিয়ে ভাইয়া, আরেকটা পোষ্ট দিন।
    • মরুভূমি নিয়ে একটা পোস্ট তৈরি করতেছিলাম প্রায় বছর খানেক আগে, শেষ পর্যন্ত শেষ করা হয়নি। এবার করতে হবে মনে হচ্ছে।
      শুভকামনা রইলো।
  • ছবিগুলো চমৎকার হয়েছে। খুবই ভালো লাগলো। অপেক্ষায় রইলাম
  • Înšigniã Āvî ১৭/১২/২০১৩
    দুর্দান্ত..... ছবিগুলো লেখাকে প্রাণ দিয়েছে... জীবন্ত করেছে
  • আতিক রহমান ১৭/১২/২০১৩
    বকলমে আমিও সেন্ট মারটিন ভ্রমন নিয়ে লিখেছিলাম। ছেড়া দ্বীপ যাওয়ার পথে আমাদের ট্রলারের ও একই দশা হয়েছিল। ভৌতিক কিছুর গন্ধ পাচ্ছি।
 
Quantcast