সেন্টমার্টিনের পথে
বার-বার পিছিয়ে যাচ্ছিলো ভ্রমণের তারিখ। সেন্টমার্টিন বেড়াতে যাওয়ার আয়োজন ঠিক করে বান্দরবান এমনকি ভারতের সিমলা-মানালীও বেড়িয়ে এসে পরেছে গ্রুপের কেউ কেউ, কিন্তু সেন্টমার্টিন আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি। শেষ পর্যন্ত এই জানুয়ারির ২৬ তারিখ রাতের শ্যামলী পরিবহনের ঢাকা-টেকনাফের টিকেট কাটা হওয়ার পরেই নিশ্চিত হওয়া গেলো এবার যাচ্ছি সেন্টমার্টিন। ১৪ জনের বিশাল বাহিনী।
দস্যু পরিবারের ২ জন, দস্যু-বন্ধু ইস্রাফীলরা ২ জন, দস্যু-বন্ধু সাইফুলরা ২ জন, সাইফুলের শ্বশুর পরিবারের ৪ জন, মামার পরিবারের ৩ জন। (ছবিতে মরুভূমির জলদস্যু অনুপস্থিত)
রাত সাড়ে নটার গাড়ি, ঢাকার জ্যামের কথা মাথায় রেখে একটু তাড়াতাড়িই বেড়িয়ে পরেছিলাম সায়দাবাদের শ্যামলী বাস-কাউন্টারের উদ্দেশ্যে।
(ঢাকার জ্যাম)
সময় মতই ছাড়ে গাড়ি, রাতের যাত্রাবিরতী করে কুমিল্লার ১৪গ্রামের নুরজাহান হোটেলে। সকলে ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা আর চা পান শেষে আবার শুরু হয় যাত্রা।
(বাসে দস্যু পরিবারের দুজন)
এরপর আরো একবার যাত্রাবিরতী হয় চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের পরে টেকনাফের পথে অবশ্য এক যায়গায় বিডিআর ভাইয়েরা বাস থামিয়ে বাসের সকল যাত্রীর ব্যাগ চেক করেছেন। আমাদের মামার ব্যাগ থেকে এক ক্যান বিয়ার পাওয়া গিয়েছিল, বিডিআর ভাইয়েরা কিছু না বলে শুধু ক্যানটাই রেখে দিয়েছেন। সকাল ৯টার দিকে পৌঁছে যাই টেকনাফের কুতুবদিয়ার যেটিতে।
(গ্রুপের ব্যাগ-ব্যাগেজ)
আমাদের জাহাজ কুতুবদিয়া ছাড়বে সকাল সাড়ে নটায়, হাতে অনেকটা সময় আছে তাই সকলে ফ্রেম হয়ে নিয়ে পাশের টং রেস্টুরেন্টে সকালের নাস্তা সেরে নেয়।
(শীত আর জ্বরে কাবু কন্যকে কোলে মরুভূমির জলদস্যু)
জাহাজে আমাদের টিকেট ছিলো উপরের ওপেন ডেকের। ব্যাগ-ব্যাগেজ নিয়ে সবাই চড়ে বসি কুতুবদিয়ায়, সময় মতই ছেড়ে দেয় জাহাজ, পৌছবে আড়াই ঘণ্টা পরে সেন্টমার্টিনে। এই আড়াই ঘণ্টার যাত্রায় দেখা দৃশ্যাবলী এবার আপনারও দেখুন আমার ক্যামেরার চোখে।
(এমনই একটি জাহাজ কুতুবদিয়া)
(কুতুবদিয়ার যেটি)
(শুরু হল নাফ নদীতে ছুটে চলা)
(দস্যু পরিবারের দুজন)
(নাফ নদীর পূর্বপার)
(সাইফুল ও মরুভূমির জলদস্যু)
(নাফ নদী থেকে দেখা টেকনাফের পাহাড় সারি)
(বাঁশ ব্যবসায়ীরা এভাবেই নদী পথে বাঁশ নিয়ে যায়)
(দস্যু পরিবারের দুজন)
(একা গাংচিল)
(দস্যু কন্যা)
(নৌকো ও গাংচিল)
(জাল পেতে এভাবেই খালি নৌকো ফেলে রেখে চলে যায় জেলেরা)
(জাহাজের শেষ কোনায় এই দুজন চুপচাপ বসে ছিলেন, ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারলাম না। সরি বলছি ওনাদের কাছে, কারণ ছবি তোলার অনুমতি নেয়া হয়নি।)
(দস্যু কন্যা)
(কি বিচিত্র লীলা, সাগর আর নদীর পানির ভিন্ন দুই রং)
(সাগরের নীল-জলে সাদা ফেনার খেলা)
(সাগর আর নাফ নদীর মোহনায় জেলে নৌকা)
(বয়া)
(দূরে টেকনাফের শেষ সীমানার সাদা তটরেখা)
আগামি পর্বে থাকবে সেন্টমার্টিনে তোলা কিছু ছবি আর ভ্রমণ কথা, ততো দিন সকলে ভালো থাকবেন।
যাত্রাতথ্য :
ঢাকা থেকে টেকনাফ শ্যামলী বাস ভাড়া জনপ্রতি ৮০০/= টাকা।
টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন কুতুবদিয়ার জাহাজ ভাড়া ওপেন ডেক জনপ্রতি ৭০০/= টাকা। (আপ-ডাউন)
এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের মত এই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝি পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ।
দস্যু পরিবারের ২ জন, দস্যু-বন্ধু ইস্রাফীলরা ২ জন, দস্যু-বন্ধু সাইফুলরা ২ জন, সাইফুলের শ্বশুর পরিবারের ৪ জন, মামার পরিবারের ৩ জন। (ছবিতে মরুভূমির জলদস্যু অনুপস্থিত)
রাত সাড়ে নটার গাড়ি, ঢাকার জ্যামের কথা মাথায় রেখে একটু তাড়াতাড়িই বেড়িয়ে পরেছিলাম সায়দাবাদের শ্যামলী বাস-কাউন্টারের উদ্দেশ্যে।
(ঢাকার জ্যাম)
সময় মতই ছাড়ে গাড়ি, রাতের যাত্রাবিরতী করে কুমিল্লার ১৪গ্রামের নুরজাহান হোটেলে। সকলে ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা আর চা পান শেষে আবার শুরু হয় যাত্রা।
(বাসে দস্যু পরিবারের দুজন)
এরপর আরো একবার যাত্রাবিরতী হয় চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের পরে টেকনাফের পথে অবশ্য এক যায়গায় বিডিআর ভাইয়েরা বাস থামিয়ে বাসের সকল যাত্রীর ব্যাগ চেক করেছেন। আমাদের মামার ব্যাগ থেকে এক ক্যান বিয়ার পাওয়া গিয়েছিল, বিডিআর ভাইয়েরা কিছু না বলে শুধু ক্যানটাই রেখে দিয়েছেন। সকাল ৯টার দিকে পৌঁছে যাই টেকনাফের কুতুবদিয়ার যেটিতে।
(গ্রুপের ব্যাগ-ব্যাগেজ)
আমাদের জাহাজ কুতুবদিয়া ছাড়বে সকাল সাড়ে নটায়, হাতে অনেকটা সময় আছে তাই সকলে ফ্রেম হয়ে নিয়ে পাশের টং রেস্টুরেন্টে সকালের নাস্তা সেরে নেয়।
(শীত আর জ্বরে কাবু কন্যকে কোলে মরুভূমির জলদস্যু)
জাহাজে আমাদের টিকেট ছিলো উপরের ওপেন ডেকের। ব্যাগ-ব্যাগেজ নিয়ে সবাই চড়ে বসি কুতুবদিয়ায়, সময় মতই ছেড়ে দেয় জাহাজ, পৌছবে আড়াই ঘণ্টা পরে সেন্টমার্টিনে। এই আড়াই ঘণ্টার যাত্রায় দেখা দৃশ্যাবলী এবার আপনারও দেখুন আমার ক্যামেরার চোখে।
(এমনই একটি জাহাজ কুতুবদিয়া)
(কুতুবদিয়ার যেটি)
(শুরু হল নাফ নদীতে ছুটে চলা)
(দস্যু পরিবারের দুজন)
(নাফ নদীর পূর্বপার)
(সাইফুল ও মরুভূমির জলদস্যু)
(নাফ নদী থেকে দেখা টেকনাফের পাহাড় সারি)
(বাঁশ ব্যবসায়ীরা এভাবেই নদী পথে বাঁশ নিয়ে যায়)
(দস্যু পরিবারের দুজন)
(একা গাংচিল)
(দস্যু কন্যা)
(নৌকো ও গাংচিল)
(জাল পেতে এভাবেই খালি নৌকো ফেলে রেখে চলে যায় জেলেরা)
(জাহাজের শেষ কোনায় এই দুজন চুপচাপ বসে ছিলেন, ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারলাম না। সরি বলছি ওনাদের কাছে, কারণ ছবি তোলার অনুমতি নেয়া হয়নি।)
(দস্যু কন্যা)
(কি বিচিত্র লীলা, সাগর আর নদীর পানির ভিন্ন দুই রং)
(সাগরের নীল-জলে সাদা ফেনার খেলা)
(সাগর আর নাফ নদীর মোহনায় জেলে নৌকা)
(বয়া)
(দূরে টেকনাফের শেষ সীমানার সাদা তটরেখা)
আগামি পর্বে থাকবে সেন্টমার্টিনে তোলা কিছু ছবি আর ভ্রমণ কথা, ততো দিন সকলে ভালো থাকবেন।
যাত্রাতথ্য :
ঢাকা থেকে টেকনাফ শ্যামলী বাস ভাড়া জনপ্রতি ৮০০/= টাকা।
টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন কুতুবদিয়ার জাহাজ ভাড়া ওপেন ডেক জনপ্রতি ৭০০/= টাকা। (আপ-ডাউন)
এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের মত এই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝি পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মুহাম্মদ দিদারুল আলম ১৬/০৭/২০১৪সত্যিই আমি ভাষাহীন...
-
শিমুল শুভ্র ১৪/০৭/২০১৪অনুগ্রহ করে ছবি গুলো আপলোড কি করে করতে হয় জানাবেন কি ?
-
টি আই রাজন ৩০/০৫/২০১৪অসাধারন ফটো এ্যলবাম। আসলে প্রকৃতি ও আমাদের দেশ যেনো একই সুতোয় গাথা।
-
রোদের ছায়া ০৫/১২/২০১৩আমার এখন দেখা হয়নি এই সুন্দর জায়গাটি। ভাগ্য খারাপই বলতে হবে । কয়েকবার কক্স বাজার গিয়েও নানা কারণে যেতে পারিনি । খুব ভালো লাগলো পোষ্টটি।
-
প্রবাসী পাঠক ৩০/১১/২০১৩সবগুলো ছবি চমৎকার। দুইবার গিয়েছি, শেষ বার গিয়েছি প্রায় চার বৎসর আগে। আপনার ছবিগুলো দেখে পুরনো অনেক স্মৃতি মনে পরে গেল।
ধন্যবাদ ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য। -
suman ৩০/১১/২০১৩অনেক ভালো লাগা ...প্রফেসনাল কারণে বছরে একবার যেতে হয়...খুব কাছের জগত মনে হোলো...ছবিগুলোও হয়েছে দারুণ...আর কিছু ছবি আশা করছি...