কোয়ারেন্টাইন জীবন
রোগ সংক্রমণের ভয়ে মেলা_ মেশা নিষিদ্ধ করাকে কোয়েন্টিন বলে। বর্তমানে আমরা কোয়ারেন্টাইন জীবনের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছি। অনেকে আবার কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেশন কে একই মনে করে। কিন্তু এ দুটোর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।
১৪ শতকে ইউরোপ জুড়ে মহামারীর আকার নেয় ব্ল্যাক ডেথ প্লেগ। তখন বন্দর-শহর ভেনিসের তরফে একটি বিশেষ নিয়ম জারি করা হয়। বলা হয়, বন্দরে কোনও বিদেশি জাহাজ এলে, বা দেশের জাহাজ অন্য কোথাও বাণিজ্য করে ফিরলে, তীরে ভিড়িয়ে যাত্রীদের নামানোর আগে সেটাকে নোঙর করে সমুদ্রেই রেখে দিতে হবে চল্লিশ দিন। কারণ এই চল্লিশ দিন হচ্ছে অসুখের ইনকিউবেশন পিরিয়ড। কোনও রকম ঝুঁকি এড়ানোর জন্য এই চল্লিশ দিনের অবরুদ্ধ দশাই রক্ষাকবচ ছিল। চল্লিশ সংখ্যাটিকে ইতালির ভাষায় বলা হয় ‘কোয়ারানতা’। আর সময় মানে ইতালিতে ‘তিনো’। ফলে এই অপেক্ষার সময়টিকে তারা বলতো কোয়ারান-তিনো। সেই থেকে এসেছে কোয়ারেন্টিন বা কোয়ারেন্টাইন শব্দটি।
বর্তমানে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে।এটি মানুষ থেকে মানুষের হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। আপাত ভাবে সুস্থ থাকলেও সম্ভাব্য সংক্রামিত মনে হওয়া মানুষদের জন্যই এই কোয়ারেন্টাইন ব্যাপারটি প্রযোজ্য। যাঁরা বাইরে থেকে দেখতে সুস্থ মনে হয়, কিন্তু তাঁরা সুস্থ হতেও পারেন আবার নাও হতে পারেন, তাঁদের মধ্যে হয়তো জীবাণু আছে কিন্তু এখনও কোনও ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়নি– এমন ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে, এই ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড হচ্ছে অন্তত ১৪ দিন। অর্থাৎ যদি কারও শরীরে জীবাণু সংক্রমণ থাকে, তাহলে ১৪ দিন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন করে রাখলে উপসর্গ দেখা দেবে বা অসুখ ধরা পড়বে। যদিও সম্প্রতি হু জানিয়েছে, করোনাভাইরাস অনেক ক্ষেত্রে ২৭ দিন পর্যন্ত সময় নিচ্ছে আত্মপ্রকাশ করার।
এই পর্যবেক্ষণ কালে যদি কোন ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয় দেয় এবং কোভিড পজেটিভ শনাক্ত হয় তবে তাকে আইসোলেশন রাখা হয়। আইসোলেশন হল এমন এক ব্যবস্থা যেখানে রোগীকে অন্য কারো সংস্পর্শে আসতে দেওয়া হয় না।
তবে এই কোয়ারেন্টাইন জীবন আমাদেরকে পরিবারের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ করে দিয়েছে। এটি আমাদের শিখিয়েছে কিভাবে বাড়িতে থেকেও অনলাইনে সব কাজ করা যায়। প্রকৃতিকে নিজ রূপে ফিরে যেতে সাহায্য করছে। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করেছে।
কোয়ারেন্টাইন এ বাড়িতে বসে থেকে অনেকে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু এই অবসাদকে পাশ কাটিয়ে চলতে হবে। না হলে করোনা আমাদের সবাইকে গ্রাস করবে। এই মানসিক অবসাদ দূর করতে নানারকম সৃষ্টিশীল কাজে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন ।এতে মন ও শরীর ভালো থাকবে। আমাদের সকলকে মনে করতে হবে আমরা সকলে করোনা যোদ্ধা। আমরা করোনাকে জয় করতে পারবই।
১৪ শতকে ইউরোপ জুড়ে মহামারীর আকার নেয় ব্ল্যাক ডেথ প্লেগ। তখন বন্দর-শহর ভেনিসের তরফে একটি বিশেষ নিয়ম জারি করা হয়। বলা হয়, বন্দরে কোনও বিদেশি জাহাজ এলে, বা দেশের জাহাজ অন্য কোথাও বাণিজ্য করে ফিরলে, তীরে ভিড়িয়ে যাত্রীদের নামানোর আগে সেটাকে নোঙর করে সমুদ্রেই রেখে দিতে হবে চল্লিশ দিন। কারণ এই চল্লিশ দিন হচ্ছে অসুখের ইনকিউবেশন পিরিয়ড। কোনও রকম ঝুঁকি এড়ানোর জন্য এই চল্লিশ দিনের অবরুদ্ধ দশাই রক্ষাকবচ ছিল। চল্লিশ সংখ্যাটিকে ইতালির ভাষায় বলা হয় ‘কোয়ারানতা’। আর সময় মানে ইতালিতে ‘তিনো’। ফলে এই অপেক্ষার সময়টিকে তারা বলতো কোয়ারান-তিনো। সেই থেকে এসেছে কোয়ারেন্টিন বা কোয়ারেন্টাইন শব্দটি।
বর্তমানে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে।এটি মানুষ থেকে মানুষের হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। আপাত ভাবে সুস্থ থাকলেও সম্ভাব্য সংক্রামিত মনে হওয়া মানুষদের জন্যই এই কোয়ারেন্টাইন ব্যাপারটি প্রযোজ্য। যাঁরা বাইরে থেকে দেখতে সুস্থ মনে হয়, কিন্তু তাঁরা সুস্থ হতেও পারেন আবার নাও হতে পারেন, তাঁদের মধ্যে হয়তো জীবাণু আছে কিন্তু এখনও কোনও ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়নি– এমন ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে, এই ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড হচ্ছে অন্তত ১৪ দিন। অর্থাৎ যদি কারও শরীরে জীবাণু সংক্রমণ থাকে, তাহলে ১৪ দিন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন করে রাখলে উপসর্গ দেখা দেবে বা অসুখ ধরা পড়বে। যদিও সম্প্রতি হু জানিয়েছে, করোনাভাইরাস অনেক ক্ষেত্রে ২৭ দিন পর্যন্ত সময় নিচ্ছে আত্মপ্রকাশ করার।
এই পর্যবেক্ষণ কালে যদি কোন ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয় দেয় এবং কোভিড পজেটিভ শনাক্ত হয় তবে তাকে আইসোলেশন রাখা হয়। আইসোলেশন হল এমন এক ব্যবস্থা যেখানে রোগীকে অন্য কারো সংস্পর্শে আসতে দেওয়া হয় না।
তবে এই কোয়ারেন্টাইন জীবন আমাদেরকে পরিবারের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ করে দিয়েছে। এটি আমাদের শিখিয়েছে কিভাবে বাড়িতে থেকেও অনলাইনে সব কাজ করা যায়। প্রকৃতিকে নিজ রূপে ফিরে যেতে সাহায্য করছে। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করেছে।
কোয়ারেন্টাইন এ বাড়িতে বসে থেকে অনেকে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু এই অবসাদকে পাশ কাটিয়ে চলতে হবে। না হলে করোনা আমাদের সবাইকে গ্রাস করবে। এই মানসিক অবসাদ দূর করতে নানারকম সৃষ্টিশীল কাজে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন ।এতে মন ও শরীর ভালো থাকবে। আমাদের সকলকে মনে করতে হবে আমরা সকলে করোনা যোদ্ধা। আমরা করোনাকে জয় করতে পারবই।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রেদোয়ান আহমেদ ২৪/০৮/২০২০সমকালীন ভাবনা।
-
মোঃ আমানুল্লাহ ফকির ০৩/০৮/২০২০সুন্দর
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০১/০৮/২০২০বাস্তবোচিত
-
ফয়জুল মহী ১৮/০৭/২০২০অসামান্য ভাবনা নান্দনিক লেখা।