একাকিত্ব
একাকিত্ব
পুষ্পিতা পাল
এক প্রৌঢ় ব্যক্তি। নাম আকাশ বর্মন। তিনি বয়সের ভারে কাবু। তাঁর স্ত্রী গত হয়েছেন তিনি বছর হলো। তাঁর তিন ছেলে। তিন ছেলেই বিদেশে থাকে।
পেনশনের টাকা দিয়ে একা একা ভালোই কেটে যায় খাওয়া_পড়া। গাছে জল অর্পণ করা, বই পড়া, রান্না করে খাওয়া, বাগান পরিচর্যা করা, গান শেনা এগুলোই তাঁর নিত্য কাজ।
কিন্তু স্ত্রী পুত্র নাতি নাতনিকে ছাড়া তাঁর আর ভালো লাগে না। ছেলেরাও ফোন নিয়ে খবর নেয় না। এভাবে একাকিত্ব আকাশ বাবুকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। আর টিকতে না পেরে সে বায়ু পরিবর্তন করতে বের হয়। সে অবস্থান নেয় আনন্দপুরীতে।
আনন্দপুরী হলো নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে ঘেরা এক আশ্রম। এখানে আছে গাছগাছালির মাঝে ছোট ছোট কটেজ। আছে এক বিস্তির্ণ খোলা মাঠ। আছে পুকুর ও। পুকুরে আছে অনেক রকম মাছ। আছে গল্প করার জন্য ছোট ছোট টুল টেবিল।
সেখানে থাকা খাওয়ার খরচ সেই বহন করে। সেখানে তার সাথে দেখা হয় অনেক বয়স্ক ব্যক্তি। সবার সাথে গল্প করে, মাছ ধরে তাঁর ভালোই দিন কাটে।
আস্তে আস্তে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। ছেলেরা জানার পর আসে সম্পত্তির ভাগ চাইতে। তিনি খুব কষ্ট পান এ আচরণে। তিনি সব সন্তানদের বুঝিয়ে দিলেন। সন্তানরা চলে গেল বিদায় না জানিয়ে।
আকাশ বাবু স্থির করলেন এবং আশ্রম কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করলছন তাঁর মৃত্যুর খবর যেন তার সন্তানেরা না জানতে পারে। আর তাঁর পেনশনের টাকা যেন আশ্রমের জন্য ব্যায় করা হয়।
এভাবে চার বছর পর তাঁর জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। ছেলেরা জানার পর ও আসে না। পরে আশ্রমের পিছে তাঁকে দাহ করা হয়।
পুষ্পিতা পাল
এক প্রৌঢ় ব্যক্তি। নাম আকাশ বর্মন। তিনি বয়সের ভারে কাবু। তাঁর স্ত্রী গত হয়েছেন তিনি বছর হলো। তাঁর তিন ছেলে। তিন ছেলেই বিদেশে থাকে।
পেনশনের টাকা দিয়ে একা একা ভালোই কেটে যায় খাওয়া_পড়া। গাছে জল অর্পণ করা, বই পড়া, রান্না করে খাওয়া, বাগান পরিচর্যা করা, গান শেনা এগুলোই তাঁর নিত্য কাজ।
কিন্তু স্ত্রী পুত্র নাতি নাতনিকে ছাড়া তাঁর আর ভালো লাগে না। ছেলেরাও ফোন নিয়ে খবর নেয় না। এভাবে একাকিত্ব আকাশ বাবুকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। আর টিকতে না পেরে সে বায়ু পরিবর্তন করতে বের হয়। সে অবস্থান নেয় আনন্দপুরীতে।
আনন্দপুরী হলো নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে ঘেরা এক আশ্রম। এখানে আছে গাছগাছালির মাঝে ছোট ছোট কটেজ। আছে এক বিস্তির্ণ খোলা মাঠ। আছে পুকুর ও। পুকুরে আছে অনেক রকম মাছ। আছে গল্প করার জন্য ছোট ছোট টুল টেবিল।
সেখানে থাকা খাওয়ার খরচ সেই বহন করে। সেখানে তার সাথে দেখা হয় অনেক বয়স্ক ব্যক্তি। সবার সাথে গল্প করে, মাছ ধরে তাঁর ভালোই দিন কাটে।
আস্তে আস্তে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। ছেলেরা জানার পর আসে সম্পত্তির ভাগ চাইতে। তিনি খুব কষ্ট পান এ আচরণে। তিনি সব সন্তানদের বুঝিয়ে দিলেন। সন্তানরা চলে গেল বিদায় না জানিয়ে।
আকাশ বাবু স্থির করলেন এবং আশ্রম কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করলছন তাঁর মৃত্যুর খবর যেন তার সন্তানেরা না জানতে পারে। আর তাঁর পেনশনের টাকা যেন আশ্রমের জন্য ব্যায় করা হয়।
এভাবে চার বছর পর তাঁর জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। ছেলেরা জানার পর ও আসে না। পরে আশ্রমের পিছে তাঁকে দাহ করা হয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৯/০৭/২০২০খুব সুন্দর
-
ডাঃ অভীক নাহা ১৬/০৭/২০২০খুব ভালো লাগলো।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৬/০৭/২০২০দারুণ...