চলো মানুষে ফিরি
মানুষ সৃষ্ঠির সেরা জীব, জন্ম থেকে আজ অব্দি এটিই আমরা জেনে আসছি । মানুষ তাঁর কর্ম কাণ্ডের মাধ্যমে দুনিয়াতে এর অনেক প্রমান ও রেখে গেছেন । যা আর কোন জীব দ্বারা আদৌ সম্ভব হয়নি , আর ভবিষ্যৎ হবে ও না । কিন্তু! দুঃখের বিষয় হলো এই, পৃথিবী যত এগিয়ে যাচ্ছে , মানুষ তাঁর নৈতিকতা থেকে তত বেশী সরে যাচ্ছে । দুনিয়ার সুখকে আঁকড়ে ধরার জন্য মানুষ তাঁর নৈতিকতাকে বিসর্জন দিতে ও দ্বিধা বোধ করছে না । এমন কি দুনিয়াতে টাকার পাহাড় গড়ার জন্য- একে অপরকে হত্যা করতে ও পিছপা হচ্ছেনা । ওদেরকে ও কিন্তু আমরা মানুষ বলে জানি-এবং মানি । যে লোকটি নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য, অন্য একজন মানুষকে হত্যা করল, সেই লোকটি কি মানুষ ? অবশ্যই না । অথচঃ আমরা সেই সব অমানুষদের কে ও মানুষের স্বীকৃতি দিয়ে, দুনিয়াকে- ৭০০ শো কোটি মানুষের বসবাসের আবাস স্থলে পরিণত করেছি । তবে ৭০০ শো কোটি জনসংখ্যার দুনিয়াতে মনুষ্যত্ব বোধ সম্পূর্ণ মানুষের সংখ্যা কত, তা শুধু একমাত্র মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিন’ই-ভাল জানেন । যে মানুষটি অন্যের ক্ষতি করে , নিজের সম্পদের পাল্লা ভারি করল – সেই মানুষটি কি একবার ও চিন্তা করেছে । কি হবে এই পাপের সম্পদ দিয়ে ? আজ অনেকেই সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য সুদ,ঘুষ, দুর্নীতি,প্রতারনা, আমানত খিয়ানত করা, চুরি, ডাকাতি সহ নানা ধরনের অপকর্মের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করে - ব্যাংক ব্যালেন্স করে রেখে যাচ্ছেন । তারা কি আখেরাতের কথা চিন্তা করেছে কখনো ? তারা কি একবার ও চিন্তা করেছে , আজ যে টাকা তাঁর সন্তানের জন্য রেখে যাচ্ছেন – সেই পাপের টাকার জন্য , একদিন তাকেই জবাব দিহি করতে হবে ? তাঁর কবরে অন্য কেউ যাবে না । যেমন উল্লেখ্যঃ আমার পরিচিত একজন কে আমি প্রশ্ন করলাম – আপনি যে এই ভাবে পাপের টাকা উপার্জন করে যাচ্ছেন- এই সব কার জন্য ? তিনি বলেন –কেন ? আমার সন্তানের জন্য । আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনার সন্তান কি আপনার কবরে যাবে ? তিনি বলেন - না । আমি বললাম এর জন্য শাস্তি ভোগ করবে কে ? তিনি উত্তর দেন - আমি । অথচঃ তিনি যে সন্তানদের জন্য নিজের ঘাড়ে পাপের দায় ভাঁড় বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন । সে সন্তানটিই কিন্তু - ইতিমধ্যে তাঁর অবাদ্য হয়ে গেছে , তাঁর কোন আদেশ- নিষেধ মানছে না । এরপর ও কেন আমরা অপরাধ মূলক কাজ কর্ম থেকে নিজেদের সরাতে পারছিনা ? এটি আমার বোধ গম্য নয় । মানুষের নৈতিকতা আজ এমন এক পর্যায়ে গিয়ে পৌছেছে যে , মানুষকে মানুষ বলতে ও ঘৃন্না লাগে । মা যখন মাম্মি হতে শুরু করেছে । তখন মা-কে না বলতে ইচ্ছে করেছে । মাম্মীরা নিজের সন্তানকে কোলে নিয়ে আদর করতে সংকোচ বোধ করে । অথচ ঃ ঐ মাম্মীরা’ই বিদেশী { কুত্তার বাচ্চা } কোলে নিতে বিন্দু মাত্র দ্বিধা বোধ করছে না । এই সব মাম্মিরা কি – মা = হয় ? মায়ের পরকীয়ার বুলি যখন হয় , আড়াই বছরের শিশু { ইশরাত রিয়া } ঐ নাড়িকে আমরা কোন পরিচয়ে মানুষের স্বীকৃতি দেব ? ঐ { ইশরাত রিয়া’র }ডায়নী মা রুজিনাকে আমরা যদি – মা বলে স্বীকৃতি দেয় , তা হলে সমগ্র মা জাতিকে কি, কলঙ্কিত করা হবে না ? যে মা তাঁর নিজ সন্তানকে হত্যা করতে পারে , তাঁর জন্য দুনিয়াতে আর কি বাকি থাকে ? এরপর ও কি আর বলতে দ্বিধা আছে যে , মানুষের সাথে পশুর তোলনা করা হলে , স্রষ্টার সৃষ্টি একটি জীবকে বিনা অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হবে ? আর বিনা অপরাধে কোন জিবকে দোষী করা কি - মানুষের কাজ ? । এই প্রশ্ন থাকলো দেশের মানুষের কাছে ? দুষ্টকে রুখতে, যেমন-ঐক্যটায় যতেষ্ট । তদ্রূপ মানুষ তাঁর ভেতরের পশুটাকে – বিতারিত করে মানুষে ফিরে আসার জন্য স্ব ইচ্ছায় যতেষ্ট । আসুন আমরা প্রত্যেকে ভেতরের মানুষটাকে জাগিয়ে তুলি । হিংসা, বিদ্বেষ ভুলি । পূর্বের অপকর্মের দিকে না তাকিয়ে আগামীর দিকে এগিয়ে চলি । সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করি । মানুষের কল্যাণে এগিয়ে যায়। { মানুষ মানুষের জন্য } – এই অমরনীয় কথাটিকে বাস্তবে রুপদান করি । স্ব দেশের উপকারে নাই যার মন ,
কে বলে মানুষ তারে ? পশু সেই জন ।
মনষীদের এই সব প্রবাদ গুলোই কি, আমাদের স্ব পথে ফিরিয়ে আনতে যতেষ্ট নয় ? আসুন নিজের পশুত্বের বিরুদ্ধে জিহাদ শুরু করি । এবং সেই জ্বিহাদে জয় লাভের মধ্য দিয়ে মানুষে ফিরি ।
মরার আগে বাঁচো
বাঁচার আগে মরো না ,
স্ব পথ ছেড়ে’ ছ – তো ...
অমরত্ব তোমাকে ছেপে ধরবে ।
তখন না পারবে মরতে – না বাঁচতে .... পুষ্প ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোনালিসা ২০/০৭/২০১৬মজার
-
দেবব্রত সান্যাল ১৫/০২/২০১৬মানুষ ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি এই শংসাপত্রটি, মানুষেরই দেওয়া। তার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য প্রমান নেই।
লেখাতে ভাষা ও বানানের ভুল আছে। একপেশে লেখা , যেখানে মা কে দোষ দেওয়া হয়েছে , যেন পুরুষের কোনো দায় নেই।
আলোচনায় সমতা রাখতে হয়।
আপনার বক্তব্যের সাথে সহমত নই, সেটা আমার ব্যক্তিগত. -
মো : মাহফুজুর রহমান পুষ্প ১৫/০২/২০১৬এই ব্লগে এটি আমার প্রথ্ম লেখা ...। আপ্নাদের কাছে দোয়া চাই