পাগল
একটা লম্বা সময়ের চড়াই উতরাই এর পর শান্তি জিনিসটার মর্ম বলে বোঝানো যাবে না। আসলে কি বলুন তো। বিশুদ্ধতা জিনিসটা ছাড়া প্রকৃত জ্ঞানচর্চা হয় না।আর গতানুগতিক ধারার শিক্ষা ব্যবসায় মন হাঁপিয়ে ওঠে। একটা লম্বা সময় ধরে সাহিত্য বিরতি।এই সম টুকুতে আশপাশকে গভীরভাবে দেখেছি। ঘরকুনো ব্যাঙ থেকে বাইরের জগৎটাকে দেখার বিষয়টাই আলাদা। বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে কথা বলেছি,শিখেছি, শিক্ষা পেয়েছি।পড়ালেখার সুবাদে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি,কালচারের মানুষের সাথে মতবিনিময়ের সুযোগ হয়েছে। প্রতিটি মানুষের সাথে তার ব্যক্তিত্বের ধরণ অনুযায়ী ব্যবহার করেছি,বোঝার চেষ্টা করেছি।এই ভিন্ন ভিন্ন ধরণের মানুষের সমাবেশে পৃথিবীতে এত বৈচিত্র্য।লেখক হতে গেলে নিরপেক্ষ হ ওয়ার বিকল্প নেই। দেখা,বোঝা, পর্যবেক্ষণ করা। লেখকরা সবচেয়ে বড়ো সাইক্রিয়াটিস্ট। মানুষের মন পড়ে ফেলে,মন নিয়ে খেলতে পারে,মনকে গড়তে পারে, আবার ভেঙেচুরে চুরমারও করে দিতে পারে। আমাদের ব্যক্তিত্ব,চিন্তার ধারা , মনের জটিল ভাবনা কখনো সাধারণ মানুষের বোধগম্য নয়।তাই সময়ে সময়ে কবি ব্যক্তিত্ব মানুষের কাছে অস্পষ্ট রয়ে যায়, কখনো কখনো ভুলবোঝাবুঝির শিকার হয়। বিশুদ্ধ আবেগ থেকে আমাদের একেকটি ছন্দ গড়ে ওঠে। এই মন যখন ভুল সঙ্গের সঙ্গী হয় , গড়ে ওঠে চরম বিকার।দূর্যোগ এড়াতে শিল্পমন হয়ে পড়ে একা।প্রজাতি ছাড়িয়ে খুঁজে নেয় বিশ্বলোকে অনন্ত সমাধি।এরপর নির্বোধ প্রজাতি তাদের নাম দেয় পাগল
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১১/০৭/২০২৩সুন্দর ভালো
-
সেলিম রেজা সাগর ০১/০৩/২০২৩দারুণ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২০/০১/২০২৩সুন্দর ব্যাখ্যা
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ২০/০১/২০২৩সত্য কথা লিখলে নিরপেক্ষতা হারিয়ে যায়!
-
ফয়জুল মহী ১৯/০১/২০২৩চমৎকার অনুপম প্রকাশ
পাঠে রেখে গেলাম মুগ্ধতা