উপন্যাস রায়্যানঃপার্ট-১
আহ রায়্যান! এটা তুমি কি করছ! এটা হচ্ছে না
আমি কি তোমাকে সাহায্য করতে পারি নাহ?
আমাকে দশ মিনিট সময় দিন মিস।দেখি শেষটা কি হয়।জাস্ট ফর টেন মিনিটস।
ওকে।
বাইরে তুষারটা বেশি পড়ছিল।এখন বেশ ঝকঝক করছে সব।
রায়্যান তোমার হয়েছে?
ওয়াও......তুমি তো দেখি দারুণ করেছ।এই নিয়ম পেলে কোথা থেকে?
ওহ নো মিস।অংকটার সমাধান হবে আমি সত্যি ভাবিনি।আমিও বুঝতে পারিনি এটা সত্যি ছিল।
হুম...আমিও তাই।যাই হোক তুমি আমার মনটা ভালো করে দিলে।এতদিনের চেষ্টায় যে তুমি আমাকে এতটুকু দিতে পেরেছ সেটাই অনেক।
আমি আজকে আসলেই অনেক খুশি।
আমিও মিস।
ওহ।এই দেখো।পাচটা বাজতে দশ মিনিট বাকি।একটু পরেই সন্ধ্যো হয়ে আসবে।আমাকে আজকে আবার বিজ্ঞান সম্মেলনে যেতে হবে।আজকে যাচ্ছি।কালকে এসে বাকিগুলো দেখব।
চা খাবেন না মিস?
আজকে না রায়্যান।আমার বড্ড দেরী হয়ে যাবে।আজ আসি কেমন।তুমি রাগ করোনি তো ?
ঠিক আছে ।কাল কিন্তু আপনাকে একসাথে দুই কাপ খেতে হবে।বলেই মুচকি হেসে দিল ছেলেটা।
আসি
মিস?
কিছু বলবে?
আমাকে নিয়ে যাবেন?
কোথায়?
আটলান্টিকের ধারে
মিস বাসু একটু অবাকই হলেন। রায়্যানের আটলান্টিকের কাছে যাওয়াটা তার কাছে খুব অদ্ভূতই ঠেকে।জন্মের তিন চারমাস পর নাকি ও একদিন প্যাসিফিক সাগরের উত্তরে জাহাজের ডেক থেকে পড়ে গিয়েছিল।এরপর থেকে ধরে বেঁধেও ওকে কোনোদিন হাঁটু পানিতে নামানো যায়নি।আশ্চর্য!
তুমি সত্যিই যাবে?
হ্যাঁ ।
কখন?
আজ ।
এখন তো সন্ধ্যো হয়ে যাবে।
এখন না পরে যাব।
কাল? কিন্তু কালতো ছুটির দিন ।কালতো আমি আসব না।
না না কাল গেলে হবে নাহ।আজ রাত দুটোয়
শিক্ষিকার চোখ গাছে উঠে গেল।তালগাছে উঠল না আমগাছের নিচ দিয়ে ঘোরাঘোরি করল ঠিক বোঝা গেল নাহ।হতবম্ব তো হলেনই আবার মজাও পেলেন।
হাহাহাহা......বেশ সাহস দেখি তো তোমার।কিন্তু তোমার মা বাবা থাকতে আমাকে তাও আবার রাত দুটোও...রহস্য কি বলতো।তোমার বাবা-মা কোথায়।ডাক ওনাদের।
আমার বাবা নেই ম্যাডাম। উনি ঘুরতে গেছেন।
আর তোমার মা?
আমার মা নেই মিস।
তিনি কোথায় গেছেন?
না,আমার মা নেই।
সে তো বুঝলাম।কিন্তু তিনি গেছেনটা কোথায়?তিনিও কি তোমার বাবার মতো সব ছেড়েছুড়ে হাওয়া খেতে বেড়িয়েছেন নাকি?
আমি দুঃখিত মিস।আমি আপনাকে ঠিক বোঝাতে পারছি নাহ।আমার মা মারা গেছেন।
কীহ!বৈদ্যুতিক শক খাওয়ার মতো চমকে উঠলেন।
এসব কি বলছ!কীভাবে?কখন?
বছর চারেক আগে।একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি বাড়িতে কেউ নেই।
দুপুর বেলা হইচই শুনে বাইরে যাই।কেউ একজন বলল ঝোপের পাশে একটা লাশ পড়ে ছিল।সেটা আমার আম্মুর ছিল।
হোয়াট!!!.........তোমার বাবা কোথায় ছিলেন তখন?
তিনি আধ ঘণ্টা পর ফিরে এসেছিলেন।
কিন্তু.........
রায়্যান একটু মুচকি হেসে মিস বাসুকে থামিয়ে দিল।প্লিজ মিস আমাকে আর এসব জিজ্ঞেস করবেন না।আমার শুনতে ভালো লাগে নাহ।তার চেয়ে আমরে কি আজ আটলান্টিকে যেতে পারি?
মিস বাসু একটু নরম হলেন।রায়্যানের প্রতি আলাদা একটা দরদ উনার আছে ।কেন সেটা জানি নাহ।
ঠিক আছে তোমার জন্য সন্ধ্যার সেমিনারটা আমি ক্যান্সেল করছি।
নাহ মিস।আপনি সেমিনারে যান।আমাকে আজ রাত দুটোতেই যেতে হবে।এখন গেলে হবে নাহ।আমার ক্ষিধে পেয়েছে।খেয়ে দেয়ে হোমওয়ার্ক করতে হবে।নইলে আপনি ছাড়বেন কেন।বলেই ফ্যালফ্যাল করে হেসে দিল।হাসি আবার সংক্রামক।ব্যাস ছড়িয়ে গেল।
আর এখন লেখিকে নিজেও হেসে ফেললেন।হাহাহাহাহা.........
কিন্তু তুমি কি কাল যেতে পার না?
আমি কি আপনাকে খুব বিপদে ফেলে দিলাম?
আসলে তা নয় তোমার হাবভাব বড় অদ্ভূত ঠেকছে।
হাহাহ...বাতাস কাঁপিয়ে হাসল রায়্যান।আমার মতো দশ বছরের পিচ্চির মধ্যো কি রহস্য থাকতে পারে ম্যাম।রহস্য নাকি বড়দের শিরায় শিরায় থাকে।আমাদের কাজ বোকামি হতে পারে,তবে রহস্য কখনোই নয়।
এবার মিস বাসুও হেসে দিলেন।তুমি তো দেখি বড় বড় কথা বলা শিখে গেছ ।
দরজা ঠেলে বেরিয়ে এলেন।ঝড়ের আভাস।দ্রুত যেতে হবে ।একটা গাড়ি পেলে মন্দ হতো না ,সাথে রায়্যান ঠাকলেও না.....................।।
ভালোবাসা..................??
আমি কি তোমাকে সাহায্য করতে পারি নাহ?
আমাকে দশ মিনিট সময় দিন মিস।দেখি শেষটা কি হয়।জাস্ট ফর টেন মিনিটস।
ওকে।
বাইরে তুষারটা বেশি পড়ছিল।এখন বেশ ঝকঝক করছে সব।
রায়্যান তোমার হয়েছে?
ওয়াও......তুমি তো দেখি দারুণ করেছ।এই নিয়ম পেলে কোথা থেকে?
ওহ নো মিস।অংকটার সমাধান হবে আমি সত্যি ভাবিনি।আমিও বুঝতে পারিনি এটা সত্যি ছিল।
হুম...আমিও তাই।যাই হোক তুমি আমার মনটা ভালো করে দিলে।এতদিনের চেষ্টায় যে তুমি আমাকে এতটুকু দিতে পেরেছ সেটাই অনেক।
আমি আজকে আসলেই অনেক খুশি।
আমিও মিস।
ওহ।এই দেখো।পাচটা বাজতে দশ মিনিট বাকি।একটু পরেই সন্ধ্যো হয়ে আসবে।আমাকে আজকে আবার বিজ্ঞান সম্মেলনে যেতে হবে।আজকে যাচ্ছি।কালকে এসে বাকিগুলো দেখব।
চা খাবেন না মিস?
আজকে না রায়্যান।আমার বড্ড দেরী হয়ে যাবে।আজ আসি কেমন।তুমি রাগ করোনি তো ?
ঠিক আছে ।কাল কিন্তু আপনাকে একসাথে দুই কাপ খেতে হবে।বলেই মুচকি হেসে দিল ছেলেটা।
আসি
মিস?
কিছু বলবে?
আমাকে নিয়ে যাবেন?
কোথায়?
আটলান্টিকের ধারে
মিস বাসু একটু অবাকই হলেন। রায়্যানের আটলান্টিকের কাছে যাওয়াটা তার কাছে খুব অদ্ভূতই ঠেকে।জন্মের তিন চারমাস পর নাকি ও একদিন প্যাসিফিক সাগরের উত্তরে জাহাজের ডেক থেকে পড়ে গিয়েছিল।এরপর থেকে ধরে বেঁধেও ওকে কোনোদিন হাঁটু পানিতে নামানো যায়নি।আশ্চর্য!
তুমি সত্যিই যাবে?
হ্যাঁ ।
কখন?
আজ ।
এখন তো সন্ধ্যো হয়ে যাবে।
এখন না পরে যাব।
কাল? কিন্তু কালতো ছুটির দিন ।কালতো আমি আসব না।
না না কাল গেলে হবে নাহ।আজ রাত দুটোয়
শিক্ষিকার চোখ গাছে উঠে গেল।তালগাছে উঠল না আমগাছের নিচ দিয়ে ঘোরাঘোরি করল ঠিক বোঝা গেল নাহ।হতবম্ব তো হলেনই আবার মজাও পেলেন।
হাহাহাহা......বেশ সাহস দেখি তো তোমার।কিন্তু তোমার মা বাবা থাকতে আমাকে তাও আবার রাত দুটোও...রহস্য কি বলতো।তোমার বাবা-মা কোথায়।ডাক ওনাদের।
আমার বাবা নেই ম্যাডাম। উনি ঘুরতে গেছেন।
আর তোমার মা?
আমার মা নেই মিস।
তিনি কোথায় গেছেন?
না,আমার মা নেই।
সে তো বুঝলাম।কিন্তু তিনি গেছেনটা কোথায়?তিনিও কি তোমার বাবার মতো সব ছেড়েছুড়ে হাওয়া খেতে বেড়িয়েছেন নাকি?
আমি দুঃখিত মিস।আমি আপনাকে ঠিক বোঝাতে পারছি নাহ।আমার মা মারা গেছেন।
কীহ!বৈদ্যুতিক শক খাওয়ার মতো চমকে উঠলেন।
এসব কি বলছ!কীভাবে?কখন?
বছর চারেক আগে।একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি বাড়িতে কেউ নেই।
দুপুর বেলা হইচই শুনে বাইরে যাই।কেউ একজন বলল ঝোপের পাশে একটা লাশ পড়ে ছিল।সেটা আমার আম্মুর ছিল।
হোয়াট!!!.........তোমার বাবা কোথায় ছিলেন তখন?
তিনি আধ ঘণ্টা পর ফিরে এসেছিলেন।
কিন্তু.........
রায়্যান একটু মুচকি হেসে মিস বাসুকে থামিয়ে দিল।প্লিজ মিস আমাকে আর এসব জিজ্ঞেস করবেন না।আমার শুনতে ভালো লাগে নাহ।তার চেয়ে আমরে কি আজ আটলান্টিকে যেতে পারি?
মিস বাসু একটু নরম হলেন।রায়্যানের প্রতি আলাদা একটা দরদ উনার আছে ।কেন সেটা জানি নাহ।
ঠিক আছে তোমার জন্য সন্ধ্যার সেমিনারটা আমি ক্যান্সেল করছি।
নাহ মিস।আপনি সেমিনারে যান।আমাকে আজ রাত দুটোতেই যেতে হবে।এখন গেলে হবে নাহ।আমার ক্ষিধে পেয়েছে।খেয়ে দেয়ে হোমওয়ার্ক করতে হবে।নইলে আপনি ছাড়বেন কেন।বলেই ফ্যালফ্যাল করে হেসে দিল।হাসি আবার সংক্রামক।ব্যাস ছড়িয়ে গেল।
আর এখন লেখিকে নিজেও হেসে ফেললেন।হাহাহাহাহা.........
কিন্তু তুমি কি কাল যেতে পার না?
আমি কি আপনাকে খুব বিপদে ফেলে দিলাম?
আসলে তা নয় তোমার হাবভাব বড় অদ্ভূত ঠেকছে।
হাহাহ...বাতাস কাঁপিয়ে হাসল রায়্যান।আমার মতো দশ বছরের পিচ্চির মধ্যো কি রহস্য থাকতে পারে ম্যাম।রহস্য নাকি বড়দের শিরায় শিরায় থাকে।আমাদের কাজ বোকামি হতে পারে,তবে রহস্য কখনোই নয়।
এবার মিস বাসুও হেসে দিলেন।তুমি তো দেখি বড় বড় কথা বলা শিখে গেছ ।
দরজা ঠেলে বেরিয়ে এলেন।ঝড়ের আভাস।দ্রুত যেতে হবে ।একটা গাড়ি পেলে মন্দ হতো না ,সাথে রায়্যান ঠাকলেও না.....................।।
ভালোবাসা..................??
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ন্যান্সি দেওয়ান ০৪/০৯/২০২১Darun
-
ফয়জুল মহী ০৩/০৯/২০২১অনেক অনেক ভালোলাগা রইল