www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

লাইকা পার্ট ২ ঃআত্মার ছন্দ

সন্ধ্যার তখনো কিছুটা বাকি।বাচ্চারা খেলে,যুবতীরা হাসে,মায়েদের চলে এ বাড়ি ও বাড়ি বদনামের সভা,কপোত কপোতীরা রাস্তায় বাবু বাবু করে।হতাশ জনতার দিন কাটে এটা ওটা করে,কবিরা কাটায় প্রকৃতিকে আলিঙ্গন করে।কত অদ্ভূত তাই না।একটা নদী ছিল অনেক দূর তার ব্যাপ্তি,শেষটা আর চোখে দেখা যায় না।অপারে হয়ত সোমের সভা,এপারে অতটা নেই।একফালি ঘাসের কোলে বসে রায়্যান ,নীরবতার নিঃস্তব্ধ।ছয় বছরের গোলগাল ছেলে।দেখলেই একটা চুমু দিয়ে কোলে নিয়ে আদর করতে যে কারোরই ইচ্ছা হয়।চুলগুলো ভীষণ সোজা আর খাড়া।পরনে জনতা সুপার মার্কেট থেকে কেনা কালো হাফ প্যান্ট।ওখানে দামটা বেশিই রাখে।৩০০ টাকার বদলে ৮০০ টাকা খসাবে।আকাশী খুব প্রিয়।তাই আকাশীর মাঝে কালো চেকের একটা শার্ট পড়েছিল।কিছু কিছু মানুষের পুরোনোতে অনেক মায়া।এ মায়া নস্টালজিক।সহজে ছাড়া যায় না।হাহাহা।এ মানুষগুলো ভীষণ কাঁদে,কষ্ট পায়,পুড়ে ছাই হয়,ছাই পুড়ে হয় জমাট,জমাট ভেতরে জ্বলতে থাকে দিনরাত,লোকচক্ষে পড়ে না।র‌্যায়ান তো বসে ছিল,একচোখা নরম ঘাসের মায়ায়।হাতদুটো ভাজ করে বসে থাকা পা দুটো কুজো করে,আর?আরও কিছু??হুমম,সব ফুরোয় কথা নয়।মনের অতলে যে চিরন্তন বিস্তৃতি,ব্যাপিত কথার সমাধি তা মৃত্যুঞ্জয়ী তা বিস্তৃত আলোকমণ্ডলী ,নীল,সাদা,কমলা,কালো ছায়া ফেলে উড়ে যায় ,মিলিয়ে যায় অস্তিত্বব্যাপী।না বলার মাঝেও চোখের ভাষা?সে তো অনন্ত প্রেমের সাথী।চোখ কথা বলে,ভাব ঢেউ তোলে হোক প্রেমের বা আবেগের।একাকীত্বের নিদারুণ ফ্রিকোয়েন্সিগুলো কেন এত ঠুকরায়?নাকি এ অনন্ত আরম্ভ।আমি ছোট্ট একটা ছেলে তাও কেন কেন বার বার এমন হয় আমার।আমার তো আনন্দ করার কথা ।তাও কেন তা আর দশটা বন্ধুর মতো হয় না।কেন কেন কেন???????মনটা কোথায় শেকলে বেঁধে যায়।কোথায় টেনে নিয়ে যায় কে জানে।আশপাশটা সন্ধ্যা ,ঢেউ ধূসর জল,বাহ!আকাশ মেঘলা হয় বুঝি।আচ্ছা মেঘ বলনাগো আমায় বুঝতে পার।ঢেউ আমার হবে,আগলে ঘুমিয়ে যাব কোলে।প্রকৃতি,আম্মু হবে আম্মু ।আমার ঘুমাতে ভীষণ ইচ্ছে করছে ।একটু ঘুমাই?


ধুর কিসব বলছি!!!হাহাহাহহাহা।নাহ এই শার্টটা এবার বদলাতে হবে।অনেকদিন হয়ে গেছে।ধুর!কি বকছি এইসব।আমার তো দেখি কেমন কেমন হয়।কি এত্ত ভাবি কেন ভাবি।আচ্ছা এখানে একটু ঘুমোলে কেমন হয়?তারাগুলো মৃত কিন্তু তাও ওরা ভীষণ জীবনে জীবন্ত।বাহ শান্তি তো বেশ লাগে এখানে।কই বাবার হাতে,মায়ের কোলে দিদার রোজ এটা ওটা খাওয়ানো-নাহ এই আবেগ কোথাও নেই।কেন নেই ।আমি জানি না।মন,ও রঙের মন কেন ঘুমাও না তুমি?ঘুমাতে ইচ্ছে হয় না বুঝি??আমি কিন্তু বেশ ঘুমোই এখানে,পরম আম্মুর সাথে।মা সব কালো শুষে নেয় ,মা প্রাণ দেয়।তোমাকে বলে কি লাভ!হাহাহাহাহাহা।তুমি তো রঙ পালটানো মানুষের মন।আচ্ছা মন ঘুমায়? তার ওপিঠটা ঘুমায়??না মনের গভীরতা ঘুমাতে পারে না ।কারণ তাতো মন নয়।আত্মার ছন্দ।আত্মার ছন্দ ঐশ্বরিক।আত্মা ,পরমাত্মা আর??............
তারারা উঠে গেলে?নামাজ শেষ বুঝি।তোমার নির্জীব জড়তার শক্তি তাও তো ঈশ্বরেরই সৃষ্টি।ভুল বললাম।সরল মনের কথা।জানি নে কি।জানি মন কথা বলে কেন বলে কীভাবে বলে তা নয়।বড্ড ঘুম পেয়েছে।মাগো একটু আদর কর জড়িয়ে।আমার ভীষণ ঘুমের তেষ্টা যেখানে শুদ্ধ সৌন্দর্য বিরাজমান সেখানেই সম্পর্ক ,বিশুদ্ধ ঘুমের পূর্ণতা।

দমকা একটা হাওয়া র‌্যায়ানের উপর বয়ে গেল।এটাই ভালোবাসা?!?......................................................


হয়ত আমরা জানি না, যা আমাদের নেই তা একাকীত্বের শক্তিতে আশীর্বাদী কোনো বাচ্চাতে থাকতেও পারে।সৃষ্টি কি এতই সহজ ?????????
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৩৬২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৩/০৭/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • ডাঃঅলোক সরকার ০৪/০৭/২০২১
    প্রিয় কবি,
    সৌন্দর্যের পরিপূর্ণতায়ই ভালোবাসার স্ফুরণ।সা কখনও মলিন হয়না। ভালো লাগলো গল্পটা। শুভেচ্ছা রইলো।
  • এ বি এস তুষার ০৪/০৭/২০২১
    সুন্দর লিখেছেন।
 
Quantcast