স্মৃতিচারন
বাতাস এখনো আমার কানে তোমার ডাক পৌছে দেয় ।আমি তোমার ডাকে ছুটে চলে গিয়েছি দরজার সামনে।গিয়ে দেখি কেও নেই সেখানে ! ভিতর দিক থেকেও কপাট বন্ধ।দরজায় নক করতে উদ্যত হয়েও মাঝ পথে থেমে গিয়েছি। হায় ঈশ্বর! এ কেমন বিচার! এটা আমি কিভাবে মেনে নেব আমার বোন আর কখনো এ দরজা খুলবে না! আর কখনো তার চিরচেনা হাসিমাখা বদনখানি দেখা হবে না দরজার ওপাশে ! আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না এই সত্যকে।
মাসখানেক আগে আপুর সাথে পরিচয় হয়েছিলে একই বাসার ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকার সুবাদে।ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করত আমাকে।বাড়িওয়ালী আন্টির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও আমার জন্য চকোলেট, আইসক্রিম এটাসেটা নিয়ে আসত।এই কয়দিনে ভুলেছিলাম যে আমার আপন বড় কোন বোন নেই।সেই যেন আমার বড় বোন।আপুর সাথে গল্পগুজব আর খুনসুটিতে কিভাবে যে বেলা চলে যেত টেরই পেতাম না।তবে প্রায়ই আমাকে উপদেশ দিত ভালভাবে পড়াশুনা করার জন্য।আমাকে নিয়ে সে অনেক আশাবাদী।
ব্যক্তিগত কারনে তাকে এ বাসা ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে।বিদায়কালে তার উৎকণ্ঠাযুক্ত ছলছল আঁখিযুগল দেখে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছিল, "আপুনি তুমি যেও না।তুমি চলে এই পাগলটিকে কে দেখে রাখবে? ও যদি আবারো সেহরি না খেয়ে রোজা রাখতে চায়?রোজা রেখেও যদি ক্রিকেট খেলতে চলে যায়?পড়াশুনা রেখে সারাদিন যদি মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে? কে শাসন করবে তখন? "
হয়তো আরালে অশ্রু মুছবো তোমার কথা ভেবে।
উর্ধাকাশে তাকিয়ে বলবো "কিসের এতো মায়া?"
এখনো যেন ঘোরের মধ্যে আছি। চোখের সামনে এখনো ঝলঝল করছে আপুর স্মৃতি। এখনো বাতাসে কান পেতে থাকি আপুনির ডাক শুনতে পাব বলে।ডাক শুনে ঝড়ের বেগে ছুটে চলে যাব সেই জায়গায়। কেও না থাকুক, কেও দরজা না খুলুক। তবু ও আমি ঠাই দাঁড়িয়ে থাকব। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চোখের দুপাতা বন্ধ করে জল আটকে রেখে নিজেকে বলবো এইতো এখুনি বৃষ্টি আপু দরজা খুলে বেরিয়ে আসবে।।
১১.০৬.২০১৭
শাহ্জাদা আল-হাবীব
মাসখানেক আগে আপুর সাথে পরিচয় হয়েছিলে একই বাসার ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকার সুবাদে।ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করত আমাকে।বাড়িওয়ালী আন্টির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও আমার জন্য চকোলেট, আইসক্রিম এটাসেটা নিয়ে আসত।এই কয়দিনে ভুলেছিলাম যে আমার আপন বড় কোন বোন নেই।সেই যেন আমার বড় বোন।আপুর সাথে গল্পগুজব আর খুনসুটিতে কিভাবে যে বেলা চলে যেত টেরই পেতাম না।তবে প্রায়ই আমাকে উপদেশ দিত ভালভাবে পড়াশুনা করার জন্য।আমাকে নিয়ে সে অনেক আশাবাদী।
ব্যক্তিগত কারনে তাকে এ বাসা ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে।বিদায়কালে তার উৎকণ্ঠাযুক্ত ছলছল আঁখিযুগল দেখে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছিল, "আপুনি তুমি যেও না।তুমি চলে এই পাগলটিকে কে দেখে রাখবে? ও যদি আবারো সেহরি না খেয়ে রোজা রাখতে চায়?রোজা রেখেও যদি ক্রিকেট খেলতে চলে যায়?পড়াশুনা রেখে সারাদিন যদি মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে? কে শাসন করবে তখন? "
হয়তো আরালে অশ্রু মুছবো তোমার কথা ভেবে।
উর্ধাকাশে তাকিয়ে বলবো "কিসের এতো মায়া?"
এখনো যেন ঘোরের মধ্যে আছি। চোখের সামনে এখনো ঝলঝল করছে আপুর স্মৃতি। এখনো বাতাসে কান পেতে থাকি আপুনির ডাক শুনতে পাব বলে।ডাক শুনে ঝড়ের বেগে ছুটে চলে যাব সেই জায়গায়। কেও না থাকুক, কেও দরজা না খুলুক। তবু ও আমি ঠাই দাঁড়িয়ে থাকব। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চোখের দুপাতা বন্ধ করে জল আটকে রেখে নিজেকে বলবো এইতো এখুনি বৃষ্টি আপু দরজা খুলে বেরিয়ে আসবে।।
১১.০৬.২০১৭
শাহ্জাদা আল-হাবীব
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ২৬/১০/২০১৭
-
আব্দুল হক ২৫/১০/২০১৭বেশ সুন্দর লিখা!!
-
আজাদ আলী ২৫/১০/২০১৭Khub Valo laglo priy kobi
-
কামরুজ্জামান সাদ ২৫/১০/২০১৭সুন্দর প্রকাশ।রোমান্টিকতায় ভরপুর।
অনেক ভাল থাকুন।