আজ যদি জানতে চাও
অজান্তেই চলা শুরু যে পথে,
চলছি সেই মৃত্যুটার দিকে অগ্রগনী হয়ে।
ডাকছে ঐ মৃত্যু আমায়
ডাকছে তার চির অবিনশ্বর আকর্ষনের টানে।
সেই অনাবিল আদিগন্ত কাল থেকেই।
হাতের তালুর জীবন রেখাটা-
প্রতিমূহুর্তেই দিয়ে যাচ্ছে সময়ের মতো ফাঁকি,
ক্রমশ সময়ের সংকীর্নতায় সরু হয়ে আসছে সে।
শেষে একসময় এক মৃত্যু বিন্দুতে গিয়ে পরিনত হবে।
জীবনের কাঁচটাতে চিড় ধরে রেখেছে এক কোনায়,
ক্রমান্বয়ে সেটা উপচিতির ধাঁচে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে
দু-টুকরো হয়ে যাবে আমার জাগরুক জীবনের এই কাঁচটা!
শেষ হয়ে যাবে ধরনীর মায়া ভরা একটা জীবন-লীলা।
ঘটবে অবসান আমার আত্মস্থ-স্বীয় সন্নিধির
হয়ে যাবো পার্থিবের শুধু এক বর্বরোচিত ইতিকথা।
হয়তো মিশে যাব ধূলোয়,জীবাষ্মের সূক্ষ্ম অনু-পরমানু হয়ে,
না হয় জ্বলন্ত চিতার অগ্নিকুন্ডে পুঁড়ে গিয়ে ছাঁই হয়ে পড়ে থাকব।
কিছুটা উঁড়ে যাব কালো ধোঁয়া হয়ে ছাঁই সহ,
মিশে যাব গিয়ে আকাশে-বাতাসে সেই রন্ধ্রিত তরঙ্গে।
আজ যদি আমায় বল,মৃতের ধরন কহতব্য করো।
যদি জানতে চাও মৃত্যু কী?
আমার এ স্বীয় জীবন-লীলার এক আদিগন্ত দিগবলয়ী দর্শক মাত্র আমি,
দেখছি আমার দিক্চক্রবাল স্বীয় জীবনের ধাবিত উড্ডিন ধাবনরত গতি।
সেই এক আদিগন্ত শাশ্বত বিনাশী নিকুচি-সত্তার ঐ কুহকী যাত্রার দিকে!
যেখানে নিমূলীকরণী বিনাশী শক্তি সত্তা নামের এক প্রচ্ছন্ন অতীন্দ্রি টান
অদৃশ্যের রহস্যে অবগুন্ঠিত হয়ে প্রতিমূহুর্তেই অশরীরি আত্মার মতো
ঘুরে বেড়াচ্ছে উপর-নিচু,আশে-পাশে,আগে-পিছু,
প্রতিটাক্ষন সেই রহস্যের সাথে সঙ্গী হয়ে চলছে এ জাগরুক জীবন অজান্তেই।
সেই মাতৃ জঠরের পর মূহুর্ত থেকে কিংবা জঠর থেকেই
এ জীবন্ত জাগরুক জীবন-লীলার বেঁচে থাকার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত,
এক আদিগন্ত অনস্ত-শাশ্বত অদূষ্য বিনাশী-সত্তার সাথে অজান্তেই সঙ্গী হয়ে
ঐ অবিনশ্বর অবিকার্য সত্তার পথে চলতে চলতে,
এই রক্ত-মাংসে মানবদেহধারী জাগরুক জীবন্ত জীবন
এক অনন্ত মহাকাল জাগতিক শাশ্বত নিথর-নশ্বর নীলাত্মিক অরূপের
অপেক্ষাকৃত হয়ে থাকছে অজান্তেই!
এভাবে পরিশেষে একসময় ঐ বিনাশী নিকুচি সত্তার এক দৃশ্যমানী কবলে গ্রাস হয়ে-
মৃত হয়ে চিরতরে নিঃশেষিত ধ্বংস-নিকুচি হয়ে যাবার নাম মৃত্যু না।
জীবনের অজান্তেই ঐ প্রধ্বংসী সমূলোত্পাটন অদূষ্য নিকুচি-সত্তার সঙ্গী হয়ে থেকে,
সেই আদিগন্ত কাল থেকেই ঐ অদূষ্য অবিনশ্বর চির বিনাশী শক্তি-সত্তার
দৃশ্যমানী-প্রতীয়মান নির্মম রূপ দর্শনের অনিচ্ছাকৃত অনভিলাষী অভিপ্রায়ের উদ্দেশ্যে-
সেই জঠর থেকেই ধাবিত জাগরুক জীবনের প্রতিক্ষনে অজান্তেই অপেক্ষাকৃত হয়ে থাকার অবস্থার নামই মৃত্যু।
আজ যদি আমায় বল, মৃতের ধরন কহতব্য করো।
যদি জানতে চাও মৃত্যু কী?
কিছুটা এভাবেই অভিব্যক্ত হয়ে বর্ণিত হব আমি
হয়ে এক সৌভিক নীলাত্মিকীর কুহকী!!
______________________> প্রনবেশ।
চলছি সেই মৃত্যুটার দিকে অগ্রগনী হয়ে।
ডাকছে ঐ মৃত্যু আমায়
ডাকছে তার চির অবিনশ্বর আকর্ষনের টানে।
সেই অনাবিল আদিগন্ত কাল থেকেই।
হাতের তালুর জীবন রেখাটা-
প্রতিমূহুর্তেই দিয়ে যাচ্ছে সময়ের মতো ফাঁকি,
ক্রমশ সময়ের সংকীর্নতায় সরু হয়ে আসছে সে।
শেষে একসময় এক মৃত্যু বিন্দুতে গিয়ে পরিনত হবে।
জীবনের কাঁচটাতে চিড় ধরে রেখেছে এক কোনায়,
ক্রমান্বয়ে সেটা উপচিতির ধাঁচে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে
দু-টুকরো হয়ে যাবে আমার জাগরুক জীবনের এই কাঁচটা!
শেষ হয়ে যাবে ধরনীর মায়া ভরা একটা জীবন-লীলা।
ঘটবে অবসান আমার আত্মস্থ-স্বীয় সন্নিধির
হয়ে যাবো পার্থিবের শুধু এক বর্বরোচিত ইতিকথা।
হয়তো মিশে যাব ধূলোয়,জীবাষ্মের সূক্ষ্ম অনু-পরমানু হয়ে,
না হয় জ্বলন্ত চিতার অগ্নিকুন্ডে পুঁড়ে গিয়ে ছাঁই হয়ে পড়ে থাকব।
কিছুটা উঁড়ে যাব কালো ধোঁয়া হয়ে ছাঁই সহ,
মিশে যাব গিয়ে আকাশে-বাতাসে সেই রন্ধ্রিত তরঙ্গে।
আজ যদি আমায় বল,মৃতের ধরন কহতব্য করো।
যদি জানতে চাও মৃত্যু কী?
আমার এ স্বীয় জীবন-লীলার এক আদিগন্ত দিগবলয়ী দর্শক মাত্র আমি,
দেখছি আমার দিক্চক্রবাল স্বীয় জীবনের ধাবিত উড্ডিন ধাবনরত গতি।
সেই এক আদিগন্ত শাশ্বত বিনাশী নিকুচি-সত্তার ঐ কুহকী যাত্রার দিকে!
যেখানে নিমূলীকরণী বিনাশী শক্তি সত্তা নামের এক প্রচ্ছন্ন অতীন্দ্রি টান
অদৃশ্যের রহস্যে অবগুন্ঠিত হয়ে প্রতিমূহুর্তেই অশরীরি আত্মার মতো
ঘুরে বেড়াচ্ছে উপর-নিচু,আশে-পাশে,আগে-পিছু,
প্রতিটাক্ষন সেই রহস্যের সাথে সঙ্গী হয়ে চলছে এ জাগরুক জীবন অজান্তেই।
সেই মাতৃ জঠরের পর মূহুর্ত থেকে কিংবা জঠর থেকেই
এ জীবন্ত জাগরুক জীবন-লীলার বেঁচে থাকার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত,
এক আদিগন্ত অনস্ত-শাশ্বত অদূষ্য বিনাশী-সত্তার সাথে অজান্তেই সঙ্গী হয়ে
ঐ অবিনশ্বর অবিকার্য সত্তার পথে চলতে চলতে,
এই রক্ত-মাংসে মানবদেহধারী জাগরুক জীবন্ত জীবন
এক অনন্ত মহাকাল জাগতিক শাশ্বত নিথর-নশ্বর নীলাত্মিক অরূপের
অপেক্ষাকৃত হয়ে থাকছে অজান্তেই!
এভাবে পরিশেষে একসময় ঐ বিনাশী নিকুচি সত্তার এক দৃশ্যমানী কবলে গ্রাস হয়ে-
মৃত হয়ে চিরতরে নিঃশেষিত ধ্বংস-নিকুচি হয়ে যাবার নাম মৃত্যু না।
জীবনের অজান্তেই ঐ প্রধ্বংসী সমূলোত্পাটন অদূষ্য নিকুচি-সত্তার সঙ্গী হয়ে থেকে,
সেই আদিগন্ত কাল থেকেই ঐ অদূষ্য অবিনশ্বর চির বিনাশী শক্তি-সত্তার
দৃশ্যমানী-প্রতীয়মান নির্মম রূপ দর্শনের অনিচ্ছাকৃত অনভিলাষী অভিপ্রায়ের উদ্দেশ্যে-
সেই জঠর থেকেই ধাবিত জাগরুক জীবনের প্রতিক্ষনে অজান্তেই অপেক্ষাকৃত হয়ে থাকার অবস্থার নামই মৃত্যু।
আজ যদি আমায় বল, মৃতের ধরন কহতব্য করো।
যদি জানতে চাও মৃত্যু কী?
কিছুটা এভাবেই অভিব্যক্ত হয়ে বর্ণিত হব আমি
হয়ে এক সৌভিক নীলাত্মিকীর কুহকী!!
______________________> প্রনবেশ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অ ০২/০১/২০১৫
-
তুহিনা সীমা ৩১/১২/২০১৪অনেক গভীর কবিতা ভালো লাগলো।
-
কৌশিক আজাদ প্রণয় ৩১/১২/২০১৪উড্ডীন> উড্ডিন
ধাবিত> ধাবনরত
বিনাশী নিকুচি স্বত্বার গ্রাসে ধ্বংস হয়ে মৃতের রূপটিকে যে মৃত্যু বলে না সেই ব্যাখ্যাটা অসাধারণ লেগেছে। পুরো কবিতাটি অনেক কঠিন। ২ বার পড়লাম, আরও পড়তে হবে। অনেক শব্দের অর্থ অজানা... -
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ৩১/১২/২০১৪বাহ চমৎকার। সত্যি চমৎকার ভাবে মৃত্যুর বর্ণনা। সম্ভব সুন্দর হয়েছে। আপনার লেখার মান সত্যি অনেক গভীর।
যাব>যাবো।
শুভ কামনা রইলো।
চমৎকার লেখা ।