বেঁচে আছি আমি
হারিয়ে দেখা ফেরারী নীলাত্মিকী আমি,
দু-পলক কুঁড়িয়ে খুঁজে পাওয়া আমার অস্তিমান
ধ্বংসস্তূপী ত্বরিত্ব সত্তার অন্তিম পর্যায় মরুভূমির জীবন্ত মরুদ্যানের জঠরে,
জাগরুক জীবাষ্মের তৈলবৎ কালো জ্বলন্ত তেলের অন্তর্নিহিত অদম্য অঙ্গারে
হারিয়ে দেখা ফেরারী সেই আমার-আমি।
আমার প্রাচীন মনস্তাত্ত্বিক বিলাপী স্বপ্নবৈষম্যের প্রতারিত কটুকথায়
নৃসংশ মৃত্যুর হাঁড়ভাঙ্গা ধাঁড়ালো তীক্ষ্ণ পাঁজরে আবদ্ধ আমি,
সেই আমি! সব হারানোর দলিত মথিত কষ্টার্জিত যন্ত্রনার গহ্বরে।
বেঁচে আছি হয়ে প্রতিমূহুর্তে সুখ-আস্ফালনের অভিনয়ী,
বেঁচে থাকার ঐ ইন্দ্রজালিক অভ্যাসের দাসে পরিবর্তিত হয়ে।
সূর্য্য হতে বিচ্ছিন্ন ধরিত্রি যেন প্রজ্জ্বলিত ম্যাগমা টুকরো!
প্রতিমূহুর্তে বারি রূপী কিছু উত্তপ্ত জ্বলন্ত বিষ পান করে
বেঁচে আছি মহীর জলন্ত লাভার অগ্নিকুন্ডে,
জ্বলসানো স্বীয়-জীবন্ত চিতার নিকুচি বিদ্যসত্তার প্রবাহে।
ঘর্মাক্তে তৈলাক্ত কলমে পিছলে যাওয়া
পঞ্চঅঙ্গুলীর তৈলাভ দাগের কাগজটা,
বেঁচে আছি ঐ ঘুমন্ত কাগজে আমার লেখা চিড় জীবন্ত কালো হরফে।
সিক্ত ভেঁজা ভোরের কুঁয়াশায় ঘাসের ডগার শিশির বিন্দুর
স্তরীভূত কেলাসে রবিকিরনে প্রতিফলিত
মুক্তোজ্জ্বল ঐ বারিবৃত্তে অস্তিত্ব আমার।
এমনই দু-পলক কুঁড়িয়ে খুঁজে পাওয়া আমার অস্তিমান।
আবার মূহুর্তের নিমিষেই ঝরে পড়ে গিয়ে মিশে যায়
ধরনীর ভূঁতল গকুলকুন্ডে আমার স্বীয়-বিদ্যমানতা।
তবুও বেঁচে আছি আমি-
বেঁচে আছি আরও কিছু অপূর্ন দূর্দ্ধশ স্বপ্নলীলার
ঘুমন্ত আদিগন্ত দর্শক হবো বলে।
আমার আত্মস্থ সন্নিধির শেষপ্রান্তে যেন
আজও পবিত্র শ্মশানের কিছু অশরিরী পিশাচী আর্তনাদী হাহাকার!
কালের পরিক্রমনে জীবিত থাকার ক্ষমতা লোপ পেলেও
আদমখুঁর হয়ে নিজ হাঁড়ের অস্তি-মজ্জা চিঁবিয়ে বেঁচে আছি আমি।
বেঁচে আছি জীবন্ত জীবনের এক নিথর সমার্থক শব্দে পরিবর্তিত হয়ে।
কিছুটা এভাবেই হারানো স্বীয়-অস্তিমান নিয়ে
প্রতিমূহুর্তে অজান্তেই যেন চিড়চন্ডাল তপস্ব্যী এক রাক্ষুসে অপচ্ছায়া আমি!
রক্তবৎ দেহধারী হয়েও যেন কালো ছায়ানুরূপী!
আমি অন্তর্নিহিত সূক্ষ্ম নীলাত্মিকী!
রহস্যে অবগুণ্ঠিত এক নিরূত্সুক জীবন্ত মনুষ্যরূপে বিচরিত
ধ্বংসস্তূপী কষ্টজ্বলজ্বলায়িত নশ্বর জীবাষ্মের ধরন আমি।
তবুও বেঁচে আছি দু-পলক কুঁড়িয়ে খুঁজে পাওয়া আমি।
বেঁচে আছি হয়ে এক অনাবিল চিড় আদিগন্ত প্রেমাকাঙ্খিত
এক প্রেমপদ্মলোচীত ললনার সৌম্য-লোচন আশঁসনকামী,
একচিলতে খুঁজে পাওয়া আমার হারানো অস্তিত্ব-সন্নিধি,
হারিয়ে দেখা ফেরারী সেই আমার-আমি!!
________________-- প্রনবেশ ঘোষ
দু-পলক কুঁড়িয়ে খুঁজে পাওয়া আমার অস্তিমান
ধ্বংসস্তূপী ত্বরিত্ব সত্তার অন্তিম পর্যায় মরুভূমির জীবন্ত মরুদ্যানের জঠরে,
জাগরুক জীবাষ্মের তৈলবৎ কালো জ্বলন্ত তেলের অন্তর্নিহিত অদম্য অঙ্গারে
হারিয়ে দেখা ফেরারী সেই আমার-আমি।
আমার প্রাচীন মনস্তাত্ত্বিক বিলাপী স্বপ্নবৈষম্যের প্রতারিত কটুকথায়
নৃসংশ মৃত্যুর হাঁড়ভাঙ্গা ধাঁড়ালো তীক্ষ্ণ পাঁজরে আবদ্ধ আমি,
সেই আমি! সব হারানোর দলিত মথিত কষ্টার্জিত যন্ত্রনার গহ্বরে।
বেঁচে আছি হয়ে প্রতিমূহুর্তে সুখ-আস্ফালনের অভিনয়ী,
বেঁচে থাকার ঐ ইন্দ্রজালিক অভ্যাসের দাসে পরিবর্তিত হয়ে।
সূর্য্য হতে বিচ্ছিন্ন ধরিত্রি যেন প্রজ্জ্বলিত ম্যাগমা টুকরো!
প্রতিমূহুর্তে বারি রূপী কিছু উত্তপ্ত জ্বলন্ত বিষ পান করে
বেঁচে আছি মহীর জলন্ত লাভার অগ্নিকুন্ডে,
জ্বলসানো স্বীয়-জীবন্ত চিতার নিকুচি বিদ্যসত্তার প্রবাহে।
ঘর্মাক্তে তৈলাক্ত কলমে পিছলে যাওয়া
পঞ্চঅঙ্গুলীর তৈলাভ দাগের কাগজটা,
বেঁচে আছি ঐ ঘুমন্ত কাগজে আমার লেখা চিড় জীবন্ত কালো হরফে।
সিক্ত ভেঁজা ভোরের কুঁয়াশায় ঘাসের ডগার শিশির বিন্দুর
স্তরীভূত কেলাসে রবিকিরনে প্রতিফলিত
মুক্তোজ্জ্বল ঐ বারিবৃত্তে অস্তিত্ব আমার।
এমনই দু-পলক কুঁড়িয়ে খুঁজে পাওয়া আমার অস্তিমান।
আবার মূহুর্তের নিমিষেই ঝরে পড়ে গিয়ে মিশে যায়
ধরনীর ভূঁতল গকুলকুন্ডে আমার স্বীয়-বিদ্যমানতা।
তবুও বেঁচে আছি আমি-
বেঁচে আছি আরও কিছু অপূর্ন দূর্দ্ধশ স্বপ্নলীলার
ঘুমন্ত আদিগন্ত দর্শক হবো বলে।
আমার আত্মস্থ সন্নিধির শেষপ্রান্তে যেন
আজও পবিত্র শ্মশানের কিছু অশরিরী পিশাচী আর্তনাদী হাহাকার!
কালের পরিক্রমনে জীবিত থাকার ক্ষমতা লোপ পেলেও
আদমখুঁর হয়ে নিজ হাঁড়ের অস্তি-মজ্জা চিঁবিয়ে বেঁচে আছি আমি।
বেঁচে আছি জীবন্ত জীবনের এক নিথর সমার্থক শব্দে পরিবর্তিত হয়ে।
কিছুটা এভাবেই হারানো স্বীয়-অস্তিমান নিয়ে
প্রতিমূহুর্তে অজান্তেই যেন চিড়চন্ডাল তপস্ব্যী এক রাক্ষুসে অপচ্ছায়া আমি!
রক্তবৎ দেহধারী হয়েও যেন কালো ছায়ানুরূপী!
আমি অন্তর্নিহিত সূক্ষ্ম নীলাত্মিকী!
রহস্যে অবগুণ্ঠিত এক নিরূত্সুক জীবন্ত মনুষ্যরূপে বিচরিত
ধ্বংসস্তূপী কষ্টজ্বলজ্বলায়িত নশ্বর জীবাষ্মের ধরন আমি।
তবুও বেঁচে আছি দু-পলক কুঁড়িয়ে খুঁজে পাওয়া আমি।
বেঁচে আছি হয়ে এক অনাবিল চিড় আদিগন্ত প্রেমাকাঙ্খিত
এক প্রেমপদ্মলোচীত ললনার সৌম্য-লোচন আশঁসনকামী,
একচিলতে খুঁজে পাওয়া আমার হারানো অস্তিত্ব-সন্নিধি,
হারিয়ে দেখা ফেরারী সেই আমার-আমি!!
________________-- প্রনবেশ ঘোষ
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শিমুল শুভ্র ২৯/১২/২০১৪
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ১৫/১২/২০১৪প্রথম লেখা। চমৎকার লিখেছেন। আপনাকে তারুন্যে সু-স্বাগতম। আশাকরি সামনে এরকম অনেক সুন্দর সুন্দর লেখা পাবো। চালিয়ে যান। ভালো থাকবেন।
-
আবিদ আল আহসান ১৪/১২/২০১৪অনেক কঠিন শব্দ
-
অ ১৪/১২/২০১৪সুন্দর ।
-
অনিরুদ্ধ বুলবুল ১৩/১২/২০১৪বিশাল কবিতা!
বেশ লিখেছেন - অনেক শ্রম সাপেক্ষও বটে।
শুভেচ্ছা -
মনের মাঝে ছবি আঁকা
ভালো থাকুন ।