কেঁদোনা লক্ষীটি
সজল ও মুক্তা পরস্পরকে খুব পছন্দ করে। তাদের বৈবাহিক জীবন বেশ সুখেই কাটছিল। হঠাৎ মুক্তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যেতে হয় পরপারে।মুক্তা মায়া কাটাতে পারলেও সজল তা পারেনি। সে সারাক্ষণ বিরহ ব্যথায় কেঁদে অস্থির। অনেকে বোঝানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু কাজ হলো না। অবশেষে একরাতে সে মুক্তাকে স্বপ্নে দেখল। মুক্তা স্বর্গে আরো অনেক স্ত্রীলোকের সাথে এক স্বর্গীয় সুন্দর পোশাক পরে হাতে একটি মোমবাতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সজল কিছুটা সুখ অনুভব করলো। ভালো করে তাকাতেই সে লক্ষ্য করলো অন্যদের বাতি জ্বলছে। মুক্তার বাতি জ্বলছে না। সে জানতে চাইল মুক্তা তার বাতিটা জ্বালাচ্ছেনা কেন। মুক্তা বলল, আমি যতবার আমার বাতি জ্বালাতে যাই, ততবার তা তোমার চোখের জলে নিভে যায়। তুমি আর কেঁদোনা লক্ষীটি। মুক্তার কথা ভেবে এরপর সজল তার কান্না থামাল।
তাই প্রিয়জন চলে গেলে কাঁদতে নেই।
তাই প্রিয়জন চলে গেলে কাঁদতে নেই।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ২৩/১০/২০১৪বাহ! আবেগময় লেখাটি ভালো লাগলো।
-
তাপস চট্টোপাধ্যায় ০৪/০৭/২০১৪ভাল লেগেছে।
-
কবি মোঃ ইকবাল ০৩/০৭/২০১৪দাদা বেশ ভালো লাগলো।
-
এইচ রহমান ০৩/০৭/২০১৪valo laglo vai