পেটের পীড়া
পেটের পীড়া বলতে সাধারণভাবে আমরা বুঝি আমাশয়, ডায়রিয়া, পেটের ব্যথা কিংবা হজমের অসুবিধা। পেটের পীড়াকে প্রধানত দু’ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমত, খাদ্যনালি (পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, ক্ষুদ্রান্ত কিংবা বৃহদান্ত্রের রোগ)। দ্বিতীয়ত, লিভারের প্রদাহ।
খাদ্যনালিজনিত কারণে পেটের পীড়াকে দু’ভাগে ভাগ করা যেতে পারে :
১. স্বল্পমেয়াদি পেটের পীড়া,
২. দীর্ঘমেয়াদি পেটের পীড়া
স্বল্পমেয়াদি পেটের পীড়ার কারণ
১. আমাশয়, ২. রক্ত আমাশয়, ৩. ডায়রিয়া
আমাশয় : অ্যামিবিক ডিসেন্ট্রি স্বল্পমেয়াদি পেটের পীড়ার অন্যতম কারণ, যা লুক্কায়িত Histolytica নামক জীবাণু দিয়ে সংক্রমিক হয়। এটি মূলত পানিবাহিত রোগ। যারা যেখানে-সেখানে খোলা বা বাসি খাবার খেয়ে থাকেন অথবা দূষিত পানি পান করেন, তাদের এ রোগ হয়। শহরাঞ্চলে রাস্তার ধারের খোলা খাবার খেলে এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে যারা যেখানে-সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করেন, কিংবা নদী ও পুকুরের পানি পান করেন, তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়াই স্বাভাবিক।
এ রোগের উপসর্গ হঠাৎ করে দেখা দেয়। যেমন, ঘন ঘন পেটে মোচড় দিয়ে পায়খানা হওয়া। পায়খানা রক্ত বা আমমিশ্রিত থাকতে পারে। পায়খানায় বসলে উঠতে ইচ্ছে হয় না, বা উঠতে পারে না। ক্ষেত্রবিশেষে দিনে ২০-৩০ বার পর্যন্ত পায়খানা হতে পারে।
রক্ত আমাশয় : রক্ত আমাশয়ের প্রধান কারণ হলো এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যার নাম শিগেলা। এই শিগেলাও দূষিত খাবার বা পানির মাধ্যমে পরিবাহিত হয়। রক্ত আমাশয়ের লক্ষণ হলো তলপেটে তীব্র মোচড় দিয়ে ব্যথা হওয়া, অল্প অল্প করে বারবার পায়খানা, পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া এবং মলদ্বারে তীব্র ব্যথা হওয়া।
ডায়রিয়া : ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ হলো খাদ্যে নানা ধরনের পানিবাহিত ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। শিশুদের ডায়রিয়া সাধারণ রোটাভাইরাস দিয়ে হয়ে থাকে। আর বড়দের ক্ষেত্রে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া দিয়ে যে ডায়রিয়া মহামারী আকারে দেখা যায়, তার অন্যতম কারণ হলো কলেরা। আমাদের দেশে শীতকালে কলেরার প্রাদুর্ভাব বেশি হয়।
পাতলা পায়খানা হলে যদি চালধোয়া পানির মতো হয়, তবে সেটা কলেরার লক্ষণ। এর সঙ্গে তলপেটে ব্যথা হওয়া, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, ঘন ঘন পায়খানায় যাওয়া এবং শরীর আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যাওয়া এ রোগের মারাত্মক উপসর্গ। এই সময়ে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া অতি জরুরি। তাছাড়া পেটের পীড়ার অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে পিত্তথলির প্রদাহ, পাকস্থলীর প্রদাহ, অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ এবং অন্ত্রের প্রদাহ।
দীর্ঘমেয়াদি পেটের পীড়ার মধ্যে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী আমাশয়। এই দীর্ঘস্থায়ী আমাশয় মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন : ১. ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম, ২. খাদ্য হজম না হওয়াজনিত পেটের পীড়া, ৩. বৃহদান্ত্রের প্রদাহজনিত পেটের পীড়া। এই অসুখগুলো মূলত ক্ষুদ্রান্ত ও বৃহদান্তের রোগ।
ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম
অল্পবয়স্ক বা উঠতিবয়স্ক যারা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী, কিংবা যারা নবীন চাকরিজীবী তাদের মধ্যে আইবিএস রোগটি বেশি দেখা যায়। এই রোগের লক্ষণ হলো পেটে মোচড় দিয়ে ঘন ঘন পায়খানা হওয়া, যা সকালে নাস্তার আগে ও পরে লক্ষণীয়। আইবিএস হলে অনেকের পায়খানা নরম বা অনেকের পায়খানা কঠিন হয়। কঠিন বা নরম যাই হোক না কেন রোগীর পায়খানার সঙ্গে বাতাস যায় এবং পেটে অস্বস্তি ভাব কাজ করে। অনেকে বলেন, দুধ, পোলাও কোরমা, বিরিয়ানি খেলে এটি বেশি হয়।
খাদ্য হজম না হওয়াজনিত পেটের পীড়া
পেটের পীড়ার আরও একটি কারণ হলো Malabsorption Syndrome। ক্ষুদ্রান্ত্র এবং অগ্ন্যাশয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ থাকলে এ রোগটি হয়ে থাকে। প্রচুর পরিমাণে দুর্গন্ধযুক্ত সাদা পায়খানা হওয়া, পায়খানার সঙ্গে হজম না হওয়া খাদ্যকণার মিশ্রণ এবং নির্গত মল পানির ওপরে ভাসতে থাকা এ রোগের অন্যতম উপসর্গ। এর সঙ্গে পেটে মোচড় দিয়ে ব্যথা হওয়া, পেট ফুলে যাওয়া কিংবা ধীরে ধীরে শরীরের ওজন কমে যাওয়া এ রোগের লক্ষণ।
বৃহদান্ত্রের প্রদাহজনিত পেটের পীড়া
এটি একটি মারাত্মক ব্যাধি। অবশ্য আমাদের দেশে এ রোগের প্রাদুর্ভাব কম, উন্নত বিশ্বে এই রোগ বেশি হয়। এ রোগের লক্ষণ হলো আম ও রক্তমিশ্রিত পায়খানা হওয়া, জ্বর কিংবা জ্বর জ্বর ভাব হওয়া এবং শরীর আস্তে আস্তে ভেঙে যাওয়া। সব বয়সের মানুষের এ রোগ হয়। Colonoscopy নামক পরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায় এবং বিশেষ চিকিত্সা পেলে এ রোগ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এছাড়া পিত্তথলির পাথর, পিত্তনালির প্রদাহ, অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ এবং পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রদাহের কারণে পেটের পীড়া হতে পারে। এবার সে সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করা যাক :
পিত্তথলির পাথর ও পিত্তনালির প্রদাহজনিত পেটের পীড়া
পিত্তথলির পাথর ও পিত্তনালির প্রদাহের ফলে যাদের পেটের পীড়া হয়, তাদের তীব্র পেটব্যথা হতে পারে। কয়েকদিন পরপর ব্যথা ওঠে এবং কয়েকদিন পর্যন্ত তা থাকে। ব্যথার সঙ্গে বমি ও জ্বর হতে পারে। ব্যথাটা পেটের ডান পাশে উপরিভাগে অনুভূত হয়। ব্যথা তীব্র হলে রোগী কষ্টে কাতরাতে থাকে।
অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহজনিত পেটের পীড়া
পেটের পীড়ার আরও একটি কারণ হলো অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ বা Pancreatitis। অগ্ন্যাশয় একটি লম্বা অঙ্গ বা Organ, যা পেটের ভেতরে পেছনে অবস্থিত। এই অগ্ন্যাশয়ের কাজের ওপর নির্ভর করে হজমের ক্ষমতা এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ঠিক রাখা। স্বল্পমেয়াদি অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ হলে তাকে Acute Pancreatitis বলে, যার অন্যতম কারণ :
১. ভূরিভোজন, ২. পিত্তনালি বা পিত্তথলিতে পাথর এবং ৩. অ্যালকোহল পানে আসক্তি
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মৃদু বা সহনীয় ব্যথা ভালো হয়ে যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে চিকিত্সায় বিলম্ব কিংবা অবহেলা করলে জটিল আকার ধারণ করতে পারে, এমনকি প্রাণহানিও ঘটতে পারে।
পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রদাহ
ওপরের পেটে দীর্ঘদিন বারবার ব্যথা হওয়া Peptic Ulcer রোগের লক্ষণ যা পাকস্থলী (Stomach) বা ক্ষুদ্রান্ত্রের (Duodenum) প্রদাহের কারণে হয়। এই প্রদাহ দুরারোগ্য ব্যাধি। যাদের হয়, বারবার হয়। রোগীও সারে না, রোগও ছাড়ে না।
এই রোগকে পেটের পীড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে বলা যায়। কেননা আমাদের দেশে ১২% লোক Peptic Ulcer-এ ভুগছেন। এছাড়া যারা অনিয়মিত খান, অতিরিক্ত ধূমপান করেন, তাদের এ রোগ বেশি হয়।
লক্ষণের মধ্যে রয়েছে, খালি পেটে ব্যথা, শেষরাতে ব্যথা এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা। এ রোগ সেরেও সেরে ওঠে না। খাবারের প্রতি অনীহা, অরুচি, অস্বস্তি, ওজন কমে যাওয়া—এসব কিছুরই অন্যতম কারণ দীর্ঘমেয়াদি লিভারের প্রদাহ। এ দীর্ঘমেয়াদী লিভারের প্রদাহ এমন আকার ধারণ করে, যা কিনা দীর্ঘস্থায়ী জটিল লিভার সিরোসিসে রূপ নিতে পারে।
পেটের পীড়ার চিকিত্সা
স্বল্পমেয়াদি পেটের পীড়ায় আক্রান্ত রোগীর শরীর খুব তাড়াতাড়ি পানিশূন্য হয়ে যায়। তাই এ অবস্থা প্রতিরোধের জন্য রোগীরকে প্রচুর পরিমাণে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে এবং প্রতিবার পাতলা পায়খানা হওয়ার পর খাবার স্যালাইন খাওয়ানো বাঞ্ছনীয়।
শরীরে জ্বর থাকলে এবং পেটে ব্যথা হলে চিকিত্সকের পরামর্শক্রমে রোগীকে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে যেহেতু ভাইরাসজনিত কারণে পেটের পীড়া বেশি হয়, তাই চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া রোগীকে কোনো ধরনের ওষুধ না খাওয়ানোই শ্রেয়। তবে শিশুর শরীর যাতে পানিশূন্য না হয়, সেজন্য প্রতিবার পাতলা পায়খানা হলে শিশুকে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি শিশুর সব ধরনের খাবার অব্যাহত রাখতে হবে। যদি শিশু মায়ের দুধ পান করে থাকে, তবে কোনো অবস্থাতেই তা বন্ধ করা যাবে না।
দীর্ঘমেয়াদি পেটের পীড়া যেহেতু পিত্তথলির পাথর, পিত্তনালির প্রদাহ, অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ, পাকস্থলীর ও ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রদাহ, বৃহদান্ত্রের প্রদাহ এবং দীর্ঘমেয়াদি লিভারের প্রদাহের কারণে হয়, তাই এসব ক্ষেত্রে চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়াই শ্রেয়। অনেকে কবিরাজি, গাছগাছড়া বা ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে এজাতীয় পেটের পীড়া থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে রোগীর ভেগান্তিই কেবল বাড়ে এবং রোগও জটিল রূপ ধারণ করে।
পেটের পীড়া প্রতিরোধে করণীয়
১. পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হলে ভীত না হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।
২. খাদ্য গ্রহণের আগে এবং মলত্যাগের পরে নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। যেসব অভিভাবক শিশুকে খাওয়ান, তারা শিশুকে খাবার প্রদানের আগে এবং শিশুর মলত্যাগের পর একই নিয়মে হাত পরিষ্কার করবেন।
৩. পরিষ্কার পানিতে আহারের বাসনপত্র, গৃহস্থালি ও রান্নার জিনিস এবং কাপড়চোপড় ধোয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং প্রয়োজনে সাবান ব্যবহার করতে হবে।
৪. পায়খানার জন্য সব সময় স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহার করতে হবে। ৫. রান্নাঘর ও বাথরুমের পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে হবে।
৬. যারা গ্রামে বসবাস করেন, তাদের যেখানে-সেখানে বা পুকুর-নদীর ধারে মলত্যাগের অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
৭. খালিপায়ে বাথরুমে বা মলত্যাগ করতে না গিয়ে স্যান্ডেল বা জুতা ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
৮. খাবারের জন্য ফোটানো পানি ব্যবহার করতে হবে এবং পানি ফোটানোর ব্যবস্থা না থাকলে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহার করতে হবে।
৯. আহারের জন্য তৈরিকৃত খাদ্যসামগ্রী এবং পান করার জন্য নির্ধারিত পানি ঢেকে রাখতে হবে।
১০. পুরনো, বাসি বা দুর্গন্ধযুক্ত খাবার কখনোই খাওয়া যাবে না।
২. খাদ্য গ্রহণের আগে এবং মলত্যাগের পরে নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। যেসব অভিভাবক শিশুকে খাওয়ান, তারা শিশুকে খাবার প্রদানের আগে এবং শিশুর মলত্যাগের পর একই নিয়মে হাত পরিষ্কার করবেন।
৩. পরিষ্কার পানিতে আহারের বাসনপত্র, গৃহস্থালি ও রান্নার জিনিস এবং কাপড়চোপড় ধোয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং প্রয়োজনে সাবান ব্যবহার করতে হবে।
৪. পায়খানার জন্য সব সময় স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহার করতে হবে। ৫. রান্নাঘর ও বাথরুমের পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে হবে।
৬. যারা গ্রামে বসবাস করেন, তাদের যেখানে-সেখানে বা পুকুর-নদীর ধারে মলত্যাগের অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
৭. খালিপায়ে বাথরুমে বা মলত্যাগ করতে না গিয়ে স্যান্ডেল বা জুতা ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
৮. খাবারের জন্য ফোটানো পানি ব্যবহার করতে হবে এবং পানি ফোটানোর ব্যবস্থা না থাকলে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহার করতে হবে।
৯. আহারের জন্য তৈরিকৃত খাদ্যসামগ্রী এবং পান করার জন্য নির্ধারিত পানি ঢেকে রাখতে হবে।
১০. পুরনো, বাসি বা দুর্গন্ধযুক্ত খাবার কখনোই খাওয়া যাবে না।
মনে রাখবেন, পেটের পীড়া প্রতিরোধে সচেতনতাই সবচেয়ে বড় পন্থা। আপনি আপনার খাদ্যাভাস, পানিপান, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা সর্বোপরি ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন হলে পেটের পীড়া থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইসমাত ইয়াসমিন ২৯/১১/২০১৩ধন্যবাদ ডাঃ ভাই, অনেক কিছু জানলাম। শুভকামনা রইল।
-
সুলতান মাহমুদ ২৮/১১/২০১৩ভালো হয়েছে লিখাটা
-
সায়েম খান ২৮/১১/২০১৩ডাঃ সাহেব, টিপস এর জন্য আবার ভিজিট চাইবেন নাতো? ধন্যবাদ, সময় করে আমার ব্লগে বেড়াতে আসবেন।