ভক্তি বিজ্ঞান
ভগবদ ভজনের তিনটি সোপানঃ প্রথমটি হচ্ছে সাধ্য বা ভগবদ অনুশীলনের সূচনা ক্রম, দ্বিতীয়টি ভক্তিযোগ সাধন, আর তৃতীয় ও অন্তিম সোপানটি হচ্ছে ভগবৎ প্রেম লাভ। অপ্রাকৃত ভগবৎ প্রেম লাভ হলে যে অবস্থা উদয় হয় ভক্তি বিজ্ঞানের পরিভাষায় তাদের রাগ, অনুরাগ, ভাব ও মহাভাব বলে। এর চেয়ে আরও উন্নত অবস্থা হল বিভাব, অনুভাব, সাত্ত্বিক ও ব্যভিচারী।
ভাবের উচ্চতর অবস্থায় ১৩টি লক্ষণ দেখা যায়, নৃত্য, ভূমিতে বিলুণ্টন, গীত, ক্রোশন, রোমাঞ্চ, হুঙ্কার, জৃম্ভণ, শ্বাসবৃদ্ধি, লোকাচারে উপেক্ষা, লালাস্রাব, হাস্য, উদঘূর্ণা ও হিক্কা। মূখ্যরস পাঁচটিঃ শান্ত, দাস্য, সখ্য,বাৎসল্য, মধুর। গৌণরস সাতটিঃ হাস্য, অদ্ভূত, বীর, করুণ, রৌদ্র, ভয়ানক ও বীভৎস।
শ্রীকৃষ্ণের ছয় রকম অবতার আছে। পুরুষাবতার, লীলাবতার, গুণাবতার, যুগাবতার, শক্ত্যাবেশাবতার।কারণোদকশায়ী বিষ্ণু, গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণু ও ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণু তার পুরুষাবতার। মৎস্য, কূর্ম ইত্যাদি তার লীলাবতার। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব সত্ত্ব, রজ ও তমোগুণের অবতার। চৌদ্দজন মন্বন্তর অবতার। চারযুগে চারজন যুগাবতার। কপিল, ঋষভ, অনন্ত, ব্রহ্মা, চতুঃসন, নারদ, পৃথু ও পরশুরাম শ্রীকৃষ্ণের শক্ত্যাবেশাবতার।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Înšigniã Āvî ২৫/১১/২০১৩অসাধারণ