www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

অব্যবহৃত কর্মক্ষম পেসমেকার দান

উন্নত দেশগুলি পেসমেকার ব্যবহারকারীর মৃত্যুর পর অব্যবহৃত কর্মক্ষম পেসমেকারগুলি উন্নয়নশীল দেশের দরিদ্র মানুষকে পুনঃব্যবহারের জন্য দান করার উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এতে পেসমেকার ক্রয় করার ক্ষমতা যাদের নেই তাদের জন্য সুবিধা হবে। শুধু প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ও সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলেই বাঁচতে পারে আমাদের দেশের অনেক দরিদ্র রোগীর জীবন।

পেসমেকার- ১৯৫৮ সালে হৃদস্পন্দনের শব্দ শোনার জন্য কম্পনযন্ত্র বানাতে গিয়ে পেসমেকার আবিষ্কার করে বসেন যুক্তরাষ্ট্রের উইলসন গ্রেটব্যাচ। তবে ১৯৬০ সালে প্রথম মানুষের শরীরে পেসমেকার স্থাপন করা হয়। ওই রোগী বেঁচেছিলেন ১৮ মাস। পেসমেকার হলো একটি বিশেষ ধরনের যন্ত্র, যার মাধ্যমে হৃৎপিন্ডের স্পন্দন কমে গেলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়। একজন সুস্থ মানুষের হৃৎপিন্ডের স্বাভাবিক স্পন্দনের গতি প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ৯০ বার। হৃৎপিন্ডের বিভিন্ন রোগের কারণে এ গতি কমে যেতে পারে। এর ফলে মাথা ঝিম ঝিম করা, মাথা ঘোরানো, চোখে সরষে ফুল দেখা, বুক ধড়ফড় করা, দুর্বলতা হওয়া, হঠাৎ পড়ে যাওয়া, অজ্ঞান হওয়া বা সিনকোপ হতে পারে।


পেসমেকার কখন প্রয়োজন হয়- হৃৎপিন্ডের গতি যেসব কারণে কমে যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো সিক সাইনাস সিনড্রোম এবং ডিজেনারেটিভ কমপ্লিট হার্ট ব্লক। এ ছাড়া ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ, হার্টে অপারেশন, জন্মগত ত্রুটি, হার্টে প্রদাহ ইত্যাদি কারণে হৃৎপিন্ডের স্পন্দন অস্বাভাবিক কমে যেতে পারে। এ সকল ক্ষেত্রে আর্টিফিসিয়াল পেসমেকারের প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু এই ডিভাইসটি বুঝে কিভাবে যে হৃদস্পন্দন বাড়ছে নাকি কমেছে? আসলে এর ভিতরে একটা সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকে যার মাঝে স্বাভাবিক হার্টবিট রেট দেয়া থাকে। এর কম-বেশি হলেই সে নিজে থেকেই কাজ করা শুরু করে। এটি সাধারণত চুপচাপ বসে থাকে, যখনই এর প্রয়োজন হয়, ঠিক তখনি এটা কাজ করে।


পেসমেকারের সুবিধা-আর্টিফিসিয়াল পেসমেকার হৃদরোগ সম্পূর্ণ নিরাময় করে না। এটা ধীরগতিসম্পন্ন হৃদস্পন্দনকে স্বাভাবিক করতে পারে কিন্তু মূল কারণকে স্বাভাবিক করতে পারে না। এটা হৃৎপিন্ডকে বহু বছরের জন্য রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা দিয়ে থাকে। ফলে রোগীর জীবনযাপনের মান উন্নত হয়। রোগী তার কাজ করার ক্ষমতা ফিরে পায়, মানসিক প্রশান্তি ও নিজেকে অনেকটা নিরাপদ মনে করে।
বিষয়শ্রেণী: সংবাদ
ব্লগটি ৯৩৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২০/১১/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • মুজিব কাইসার ২৪/১১/২০১৩
    তথ্যসুত্রটা জানালে ভালো হতো। তবে শেয়ার করার জন্য অসংখ্যা ধন্যবাদ। আশাকরি এই সুবিধা ভোগকরে কিছু গরীব রোগীর জীবন স্বাভাবিক হবে।
  • Înšigniã Āvî ২০/১১/২০১৩
    জানলাম, ধন্যবাদ জানাই শেয়ার করবার জন্য
  • প্রবাসী পাঠক ২০/১১/২০১৩
    চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট । অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
 
Quantcast