ফাঁকিবাজ
এক শিক্ষক তাঁর এক চালাক অথচ ফাঁকিবাজ ছাত্রকে নিয়ে মহাবিপদে পড়ল। যে রচনাই তাকে লিখতে দেয় সে কোনরকমে কুমির প্রসঙ্গ নিয়ে এসে সেটাকে কুমিরের রচনা বানিয়ে নেয়। যেমন- বাড়িতে আমরা মা, বাবা, ভাই, বোন নিয়ে বসবাস করি। বাড়ি আমাদের নিরাপদ আশ্রয়। তাই নদী নালার ধারে বাড়ি বানানো উচিৎ নয়। কেননা নদীতে কুমির আছে। আর আমরা জানি কুমির একটি হিংস্র প্রাণী। কুমিরের চারটি পা, একটি লেজ এবং মুখ ভর্তি ধারালো দাঁত আছে। সারা গায়ে কাঁটা-- ইত্যাদি। যাতে সে কুমির প্রসঙ্গ আনতে না পারে সেজন্য অনেক ভেবে শিক্ষক রচনার বিষয় নির্বাচন করলেন- পলাশীর যুদ্ধ। এবারও অসাধারণ দক্ষতার সাথে ছাত্রটি লিখল- পলাশীর যুদ্ধ বাংলার ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক ঘটনা। এই যুদ্ধে নবাব সিরাজ-উ-দৌল্লার বাহিনী ইংরেজ বাহিনীর কাছে পরাজিত হয় এবং বাংলা পরাধীন হয়ে পড়ে। বিশাল আকারের নবাব বাহিনীর জন্য এই যুদ্ধ জয় করা কোন ব্যাপারই ছিল না। কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে নবাব মীর জাফরকে বিশ্বাস করে যেন খাল কেটে কুমির আনলেন। আর আমরা জানি কুমির একটি হিংস্র প্রাণী ....।
‘চালাক ফাঁকিবাজ হলে, সব শিক্ষাই যায় বিফলে।’
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
দীপঙ্কর বেরা ১০/১০/২০১৩Chatra ke shiksha deoyar rasta dekhaleo golpo bhalo hoto.
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ০৭/১০/২০১৩হা হা হা মজা পেয়েছি ডাক্তার দা
-
Înšigniã Āvî ০৭/১০/২০১৩এটা তো মীরাক্কেলের একজন প্রতিযোগীর একটা কৌতুক ছিল, তিনি কী আপনি?
নীতিশিক্ষা অসাধারণ -
suman ০৭/১০/২০১৩দারুন!!!
-
সহিদুল হক ০৭/১০/২০১৩বেশ ভাল।
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ০৭/১০/২০১৩সুন্দর হয়েছে।