অপূর্ণতা
স্বাধীনতা আমার, আমার পূর্বপুরুষের অর্জিত ধারণা
স্বাধীনতা সবার সকল মানুষের জাগ্রত চেতনা
তোমায় পেয়েছি দু’শো বছরের কন্টক পথ পেরিয়ে
তোমায় পেয়েছি লাখো মা বোন ভাই প্রিয়জন হারিয়ে
তুমি ছিলে ব্রিটিশ বেনিয়া পাক সেনাদের দখলে
ইচ্ছে মত লুটেছে তোমায় ঐ লুটেরা সকলে
হে দেশমাতা কত ধৈর্য্য কত সহ্য করেছ
কত যে ব্যাথা তোমার বুকেতে নীরবে লুকিয়ে রেখেছ
তুমি জানতে সূর্য উঠবে কেটে যাবে কালো রাত
তুমি জানতে তোমার ছেলেরা ভেঙে দেবে কালো হাত
সেদিন এসেছে চেয়ে দেখ মাগো নতুন আলো দেখা যায়
কত শহীদের রক্ত মাখা লাল সবুজের পতাকায়
তোমার জন্য অস্ত্র ধরল তোমার যোগ্য সন্তান
ধন্য মাগো জন্ম তাদের দিল যারা তাজা প্রাণ
যারা ফিরে এল স্বাধীনতা নিয়ে তাদের শ্রদ্ধা করি
মায়ের মুখেতে ফোটাতে হাসি গিয়েছিল সব ছাড়ি
তুমি হেসেছিলে মহা গৌরবে বিশ্ব পেয়েছে ভয়
যারা চেয়েছিল কেড়ে নিতে সব কেঁপেছিল নিশ্চয়
তারা জানত না তোমার বুকেতে এমন সুধা আছে
যে জন পেয়েছে বিশ্বে তাহার তুল্য কজন আছে
অধুনা বিশ্বে তব সম্মান হয়ে আছে অতি উচ্চ
ভাষার জন্যে যে জাতি লড়েছে নয়তো সে জাতি তুচ্ছ
আবিষ্কারের প্রতিটি ক্ষেত্রে তোমার শিশুরা এগিয়ে
আমরা দিয়েছি ঘুমন্ত সব বিশ্ববাসীকে জাগিয়ে
যে সুর তোমার বাঁশিতে বাজে শ্রেষ্ঠ সে সুর ছন্দ
তোমার ফলেতে মধু মাখা আছে ফুলে আছে সুগন্ধ
তোমার রূপেতে মুগ্ধ কবিরা লিখেছে কত যে কবিতা
নাম রেখেছে যে বঙ্গ জননী বসুমতী সবিতা
নানা গল্প অল্প অল্প বহু দিনের কথা
সূয়ো রাণী দূয়ো রাণীর বলা রূপ কথা
রাজ কন্যা বন্দী ছিল রাক্ষসের ঘরে
সোনার কাঠি রূপোর কাঠির কথা মনে পড়ে
ঝড় ঝড় ঝড় ঝড় উঠেছে উত্তাল জলধর
জোরে হাল ধরি নিয়ে যাব তরী জোয়ান জানে না ডর
কত বাধা কত শত্রু আমরা নিমিষে করেছি শেষ
এ বুকে অশেষ সাহস যোগায় প্রতিকূল পরিবেশ
আমাদের আশা আমরা গড়ব শান্তির মহাবিশ্ব
কেউ থাকবেনা হত দরিদ্র লাঞ্ছিত আর নিঃস্ব
আমরা ছড়াব প্রকৃত প্রজ্ঞা মনের কালিমা ঘুচাতে
দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াব তাদের কান্না মুছাতে
সমদর্শী আমরা সকলে প্রকৃতি মায়ের সন্তান
প্রকৃতির সব নিয়ম কানুন করে যাই অনুসন্ধান
প্রকৃতি চাই না মানুষে মানুষে নিষ্ঠুর হানা হানি
সবলের হাতে মারা যাক কোন অসহায় অবলা প্রাণী
ওদেরও তো প্রাণ আছে.......
ওরা কি পারে না স্বাধীনতা পেতে শ্রেষ্ঠ জীবের কাছে
আমরা হইব নিরাপদ সব সৃষ্ট জীবের জন্য
বিশ্ব জুড়িয়া গড়ব সকলে বিশাল অভয়ারণ্য
আমাদের সাথে আস....
যদি তোমরা তোমাদের সেই স্রষ্টাকে ভালবাস
দয়াময় তিনি রহমান তিনি সর্ব শক্তি মান
দিয়েছেন ঢেলে ফল আর মূলে সকল খাদ্যপ্রাণ
আমরা আজকে সে সব ছাড়িয়া হিংস্র পশুর মত
বর্বর সব অনুষ্ঠান আর আয়োজনে আছি রত
স্বাধীনতা চাই অথচ পরের স্বাধীনতা নিই কাড়ি
কেমন সে চাওয়া ধিক আমাদের আমরা অত্যাচারী
না না না চাই না আমরা আর কোন সংঘাত
ভুলি ভেদাভেদ আমরা আনিব সোনালী সুপ্রভাত
বীরের রক্ত প্রবাহিত এই শরীরের প্রতি রন্ধ্রে
সমতার গান কন্ঠে মোদের প্রকাশিত সুর ছন্দে
মায়া মমতায় অন্তর ভরা চেতনায় সমৃদ্ধ
জ্ঞান বিজ্ঞানে আমাদের মহা মনিষীরা চির ঋদ্ধ
দৃষ্টি প্রখর উদার হৃদয় অতন্দ্র প্রহরী
দিন যায় খেটে রাত যায় কেটে প্রার্থনা করি করি
ভোরের পাখিরা উড়ে যায় দূর আকাশের ঠিকানায়
সাঁঝে ফিরে আসে আপন আবাসে আপনার সীমানায়
গো ধন লইয়া রাখালিয়া যায় সবুজ ঘাসের মাঠে
বসে তরুতলে কত সুর তুলে রোদেলা দুপুর কাটে
ব্যস্ত শহর শহর বাসী জীবিকার সন্ধানে
ভোর হতে উঠে দশদিকে ছুটে সময়ের প্রয়োজনে
স্বাধীনতা তুমি না এলে এখানে সুন্দর হতো না
স্বাধীনতা তুমি না এলে জীবন পূর্ণ হতো না
স্বাধীনতা তোমার অভাব মানে দুঃসহ যন্ত্রণা
স্বাধীনতা তুমি ব্যর্থ করেছ সকল কুমন্ত্রণা
স্বাধীনতা তুমি ভূগোল হইতে অর্থের দিকে যাও
আশি শতাংশ অর্থ হীনের পানে একবার চাও
দীর্ঘ কালের সংগ্রাম থেকে সম্ভ্রম নিয়ে ওঠো
অর্থনৈতিক মুক্তির কলি ফুল হয়ে তুমি ফোট
স্বাধীন মাতা একটি স্বাধীন ভ্রাতা আমাদের দাও
সকল দেশের রাণী মাগো মোদের আশা পুরাও
স্বাধীনতা সবার সকল মানুষের জাগ্রত চেতনা
তোমায় পেয়েছি দু’শো বছরের কন্টক পথ পেরিয়ে
তোমায় পেয়েছি লাখো মা বোন ভাই প্রিয়জন হারিয়ে
তুমি ছিলে ব্রিটিশ বেনিয়া পাক সেনাদের দখলে
ইচ্ছে মত লুটেছে তোমায় ঐ লুটেরা সকলে
হে দেশমাতা কত ধৈর্য্য কত সহ্য করেছ
কত যে ব্যাথা তোমার বুকেতে নীরবে লুকিয়ে রেখেছ
তুমি জানতে সূর্য উঠবে কেটে যাবে কালো রাত
তুমি জানতে তোমার ছেলেরা ভেঙে দেবে কালো হাত
সেদিন এসেছে চেয়ে দেখ মাগো নতুন আলো দেখা যায়
কত শহীদের রক্ত মাখা লাল সবুজের পতাকায়
তোমার জন্য অস্ত্র ধরল তোমার যোগ্য সন্তান
ধন্য মাগো জন্ম তাদের দিল যারা তাজা প্রাণ
যারা ফিরে এল স্বাধীনতা নিয়ে তাদের শ্রদ্ধা করি
মায়ের মুখেতে ফোটাতে হাসি গিয়েছিল সব ছাড়ি
তুমি হেসেছিলে মহা গৌরবে বিশ্ব পেয়েছে ভয়
যারা চেয়েছিল কেড়ে নিতে সব কেঁপেছিল নিশ্চয়
তারা জানত না তোমার বুকেতে এমন সুধা আছে
যে জন পেয়েছে বিশ্বে তাহার তুল্য কজন আছে
অধুনা বিশ্বে তব সম্মান হয়ে আছে অতি উচ্চ
ভাষার জন্যে যে জাতি লড়েছে নয়তো সে জাতি তুচ্ছ
আবিষ্কারের প্রতিটি ক্ষেত্রে তোমার শিশুরা এগিয়ে
আমরা দিয়েছি ঘুমন্ত সব বিশ্ববাসীকে জাগিয়ে
যে সুর তোমার বাঁশিতে বাজে শ্রেষ্ঠ সে সুর ছন্দ
তোমার ফলেতে মধু মাখা আছে ফুলে আছে সুগন্ধ
তোমার রূপেতে মুগ্ধ কবিরা লিখেছে কত যে কবিতা
নাম রেখেছে যে বঙ্গ জননী বসুমতী সবিতা
নানা গল্প অল্প অল্প বহু দিনের কথা
সূয়ো রাণী দূয়ো রাণীর বলা রূপ কথা
রাজ কন্যা বন্দী ছিল রাক্ষসের ঘরে
সোনার কাঠি রূপোর কাঠির কথা মনে পড়ে
ঝড় ঝড় ঝড় ঝড় উঠেছে উত্তাল জলধর
জোরে হাল ধরি নিয়ে যাব তরী জোয়ান জানে না ডর
কত বাধা কত শত্রু আমরা নিমিষে করেছি শেষ
এ বুকে অশেষ সাহস যোগায় প্রতিকূল পরিবেশ
আমাদের আশা আমরা গড়ব শান্তির মহাবিশ্ব
কেউ থাকবেনা হত দরিদ্র লাঞ্ছিত আর নিঃস্ব
আমরা ছড়াব প্রকৃত প্রজ্ঞা মনের কালিমা ঘুচাতে
দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াব তাদের কান্না মুছাতে
সমদর্শী আমরা সকলে প্রকৃতি মায়ের সন্তান
প্রকৃতির সব নিয়ম কানুন করে যাই অনুসন্ধান
প্রকৃতি চাই না মানুষে মানুষে নিষ্ঠুর হানা হানি
সবলের হাতে মারা যাক কোন অসহায় অবলা প্রাণী
ওদেরও তো প্রাণ আছে.......
ওরা কি পারে না স্বাধীনতা পেতে শ্রেষ্ঠ জীবের কাছে
আমরা হইব নিরাপদ সব সৃষ্ট জীবের জন্য
বিশ্ব জুড়িয়া গড়ব সকলে বিশাল অভয়ারণ্য
আমাদের সাথে আস....
যদি তোমরা তোমাদের সেই স্রষ্টাকে ভালবাস
দয়াময় তিনি রহমান তিনি সর্ব শক্তি মান
দিয়েছেন ঢেলে ফল আর মূলে সকল খাদ্যপ্রাণ
আমরা আজকে সে সব ছাড়িয়া হিংস্র পশুর মত
বর্বর সব অনুষ্ঠান আর আয়োজনে আছি রত
স্বাধীনতা চাই অথচ পরের স্বাধীনতা নিই কাড়ি
কেমন সে চাওয়া ধিক আমাদের আমরা অত্যাচারী
না না না চাই না আমরা আর কোন সংঘাত
ভুলি ভেদাভেদ আমরা আনিব সোনালী সুপ্রভাত
বীরের রক্ত প্রবাহিত এই শরীরের প্রতি রন্ধ্রে
সমতার গান কন্ঠে মোদের প্রকাশিত সুর ছন্দে
মায়া মমতায় অন্তর ভরা চেতনায় সমৃদ্ধ
জ্ঞান বিজ্ঞানে আমাদের মহা মনিষীরা চির ঋদ্ধ
দৃষ্টি প্রখর উদার হৃদয় অতন্দ্র প্রহরী
দিন যায় খেটে রাত যায় কেটে প্রার্থনা করি করি
ভোরের পাখিরা উড়ে যায় দূর আকাশের ঠিকানায়
সাঁঝে ফিরে আসে আপন আবাসে আপনার সীমানায়
গো ধন লইয়া রাখালিয়া যায় সবুজ ঘাসের মাঠে
বসে তরুতলে কত সুর তুলে রোদেলা দুপুর কাটে
ব্যস্ত শহর শহর বাসী জীবিকার সন্ধানে
ভোর হতে উঠে দশদিকে ছুটে সময়ের প্রয়োজনে
স্বাধীনতা তুমি না এলে এখানে সুন্দর হতো না
স্বাধীনতা তুমি না এলে জীবন পূর্ণ হতো না
স্বাধীনতা তোমার অভাব মানে দুঃসহ যন্ত্রণা
স্বাধীনতা তুমি ব্যর্থ করেছ সকল কুমন্ত্রণা
স্বাধীনতা তুমি ভূগোল হইতে অর্থের দিকে যাও
আশি শতাংশ অর্থ হীনের পানে একবার চাও
দীর্ঘ কালের সংগ্রাম থেকে সম্ভ্রম নিয়ে ওঠো
অর্থনৈতিক মুক্তির কলি ফুল হয়ে তুমি ফোট
স্বাধীন মাতা একটি স্বাধীন ভ্রাতা আমাদের দাও
সকল দেশের রাণী মাগো মোদের আশা পুরাও
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ০৪/১০/২০১৩চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার বক্তব্য।খুবই নান্দনিক।অসম্ভব ভালো লাগলো আপনার দেশের অনুভূতি।
-
নির্ঝর রাজু ০৩/১০/২০১৩স্বাধীনতা তুমি স্বজন হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন....
-
ইব্রাহীম রাসেল ০৩/১০/২০১৩প্রথম লাইনে দুইবার আমার কথাটা আসছে ইচ্ছে করেই না অগোচরে
-
Înšigniã Āvî ০৩/১০/২০১৩গভীর চেতনাবোধের কবিতা....
খুব ভালো লাগা জানাই