গুরু ছাড়া মুক্তি ধারা
আমার কোন ইচ্ছা ছিল না গুরুবাদের উপর কোন লেখা লেখার। কেননা আমি জানি এই লেখার কারণে যাদের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি হবে তারা যুগে যুগে সমাজের কর্তাশ্রেণী বা সিদ্ধান্তগ্রহণকারী সমাজপতি কিংবা সমাজের নীতিনির্ধারক বা নিয়ন্ত্রক শ্রেণী, সহজ কথায় রক্তচোষা জোঁক বা শোষক শ্রেণী। তবুও এ লেখা পড়ে যদি একজনও একমুহূর্তের জন্য গুরুবাদের যাতাকল থেকে সামান্য মুক্তি পায় তবে আমার এ ঝুঁকি নেয়া সার্থক হবে। প্রথমেই দেখি গুরুর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি আলোচনা করা হয়েছে গুরুগীতায়। উল্লেখ আছে এটি স্কন্দপুরাণ থেকে নেয়া হয়েছে। কিন্ত স্বামী রামসুখদাস তাঁর লেখা ‘মুক্তি কি গুরু ছাড়া হবে না?’ বইতে লিখেছেন স্কন্দপুরাণের কোন সংখ্যায় গুরুগীতার কথা নাই। তাছাড়া গুরুগীতার অনেক শ্লোকে পরষ্পর বিভেদ রয়েছে। যেমন বলা হচ্ছে - গুরু তিনি যিনি (গু) অজ্ঞানতারূপ অন্ধকার দূর করে (রু) জ্ঞানরূপ আলো দান করেন। আবার বলা হচ্ছে- ভগবান শঙ্করের ক্রোধ হতে গুরু রক্ষা করতে পারেন, কিন্তু গুরুর ক্রোধ থেকে শঙ্করও রক্ষা করতে পারেন না। এজন্য গুরুর আদেশ অলঙ্ঘনীয়। আরো আছে- শিষ্যের ধন অপহরণ করার গুরু অনেক, কিন্তু শিষ্যের তাপ হরণ করার মতো গুরু দুর্লভ। তাহলে একবার ভাবুন- ক্রোধী, লোভী এমন গুরু কিভাবে জ্ঞানের আলো দান করবেন? আর ভয় দেখিয়ে শাসন করা মুর্খের কাজ, গুরুর নয়। তদুপরি পরধন অপহরণ অবশ্যই নিন্দনীয়, গুরুস্থানীয় জ্ঞানের আলোদানকারীর পক্ষে তা নিশ্চয় অশোভন। সুতরাং একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় গুরুরূপে সুবিধাভোগী একটি মহল নিজেদের সুবিধার জন্য এ গ্রন্থের প্রকাশ ও প্রচার করছে। তাই গুরুগীতাতেই বলা হচ্ছে- জ্ঞানরহিত, মিথ্যাবাদী এবং ভ্রম সৃষ্টিকারী গুরুকে ত্যাগ করা উচিত। কেননা যিনি নিজে শান্তি লাভ করেননি তিনি অন্যকে কেমন করে শান্তি দেবেন? এবার গীতার পঞ্চদশ অধ্যায়ে ৭ নং শ্লোকে দৃষ্টি দিই। বলা হচ্ছে - আমরা ভগবানের সনাতন অংশ। ভগবানের সঙ্গে আমাদের সম্বন্ধ চিরকালের। দ্বিতীয় অধ্যায়ে ৭ নং শ্লোকে অর্জুন নিজেকে ভগবানের শিষ্য বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু চতুর্থ অধ্যায়ে ৩ নং শ্লোকে ভগবান নিজেকে (সখা) বন্ধু এবং পঞ্চম অধ্যায়ে ২৯ নং শ্লোকে (হিত) মঙ্গলকারী বলে নিজের পরিচয় দিচ্ছেন। ষষ্ঠ অধ্যায়ে ৫ নং শ্লোকে বলছেন- নিজের দ্বারা নিজেকে উদ্ধার করো, নিজের পতন ঘটিয়ো না। কেননা নিজের মিত্র নিজেই এবং নিজের শত্রুও নিজেই। নবম অধ্যায়ে ৩৪ নং শ্লোকে বলছেন- তুমি আমার ভক্ত হয়ে যাও, আমাতে তদগত হয়ে যাও, আমার পূজক হয়ে যাও এবং আমাকে নমস্কার কর। দশম অধ্যায়ে ১০ নং শ্লোকে বলছেন- যারা আমাতে নিবিষ্ট হয়ে প্রেমপূর্বক আমাকে ভজনা করে আমি তাদের বুদ্ধিযোগ দিই। তাতে তারা আমাকে প্রাপ্ত হয়। তাদের কৃপার জন্য তাদের (স্বরূপে) অস্তিত্বে স্থিত আমি তাদের অজ্ঞানজনিত অন্ধকারকে দেদীপ্যমান জ্ঞানরূপী প্রদীপের দ্বারা নষ্ট করে দিই। অষ্টাদশ অধ্যায়ে ৬৪ নং শ্লোকে (ইষ্ট) কল্যাণকারী হিসেবে বলছেন- সমস্ত ধর্মের আশ্রয় ত্যাগ করে তুমি কেবল আমারই শরণাশ্রিত হও। এ থেকে বোঝা যায় পরমাত্মা ও জীবাত্মার মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য কোন (গুরু) মাধ্যমের দরকার নেই। উল্লেখ্য শ্রী তারাচরণ সিদ্ধাশ্রম এর প্রতিষ্ঠাতা চট্টগ্রামের ধলঘাট নিবাসী সত্যমন্ত্রের ঋষি সাধু তারাচরণ স্পষ্টই বলেছেন- আমার কোন গুরু নাই বা আমি কোন ব্যবসায়ী নই। আমার গৈরিক বসন নাই, দণ্ড কমণ্ডলু নাই, আমি মন্ত্র বিক্রি করি না। একটি ঘটনা উল্লেখ করি। কবীর একদিন শিষ্যত্ব গ্রহণের জন্য স্বামী রামানন্দ মহারাজের কাছে গিয়ে প্রত্যাখাত হয়ে পঞ্চগঙ্গা ঘাটের সিড়িতে শুয়েছিলেন। রামানন্দ মহারাজ স্নান করতে যাবার সময় অজান্তে তাঁর পা করীরের গায়ে লাগে এবং তিনি রাম রাম বলে উঠেন। কবীর রাম নামকেই গুরুমন্ত্র বলে মেনে নিয়ে সাধনায় নিমগ্ন হয়ে যান। পরিণামে কবীর সন্তদের মধ্যে চক্রবর্ত্তী হয়েছিলেন। এজন্য শ্রীমদ্ভাগবতের একাদশ অধ্যায়ে আছে-মানুষ নিজেই নিজের গুরু। গুরু হলো শব্দ, শরীর নয়। তাই গুরুর কখনো মৃত্যু হয় না। গুরু যদি মারা যান তাহলে শিষ্যের কল্যাণ হবে কি করে? রামচরিতমানসের কিষ্কিন্ধাকাণ্ডে আছে- যদি কোন হাড়-মাংসযুক্ত শরীর গুরু হয় তাহলে সে অধম। গুরুর বেশে কালনেমী রাক্ষস। এজন্য গুরুতে শরীর বুদ্ধি মান্য করা এবং শরীরে গুরু বুদ্ধি মান্য করা অপরাধ। আর লঙ্কাকাণ্ডে আছে- হনুমান গুরুবেশী কালনেমী রাক্ষসের আসল পরিচয় জানতে পেরে বলেছিলেন, প্রথমে গুরু দক্ষিণা নাও, তারপর মন্ত্র দিও। এরপর তাকে ল্যাজে জড়িয়ে আছাড় মেরেছিলেন। আমাদেরও উচিত ছদ্মবেশী গুরুদের বীর হনুমানের মতো উচিত শিক্ষা দেয়া এবং মানুষরূপী গুরুকে বর্জন করে পরমাত্মার শরণাগত হওয়া। এখন প্রশ্ন হতে পারে যে গুরুরূপী শব্দ বা মন্ত্র কোথায় পাওয়া যাবে? এ বিষয়ে শ্রীমৎ স্বামী পরমানন্দ মহারাজ বলেছেন- শ্রীগুরু স্বয়ং শিষ্যকে খুঁজে নেন। যার চোখ ফোটেনি সে গুরু চিনবে কি করে? বালকাণ্ডে বলা হচ্ছে- লোকেরা গুরুকে খোঁজে, কিন্তু যিনি আসল গুরু তিনি শিষ্যের সন্ধান করেন। অর্থাৎ নিষ্ঠা থাকলে ভগবান নিজে মন্ত্রদানের ব্যবস্থা করেন। উত্তরকাণ্ডে আছে-যে আন্তরিকভাবে ভগবানের দিকে যায় তার সহায়তার জন্য সকল সাধু মহাত্মা উৎকণ্ঠিত থাকেন। নিজেদের কল্যাণের জন্য আমাদের যত চিন্তা, তার চেয়েও বেশি চিন্তা ভগবানের এবং সাধু মহাত্মাদের। ভগবান খুবই দয়ালু। তিনি যখন সকলের জীবন নির্বাহের ব্যবস্থা করেন, তখন কল্যাণের ব্যবস্থাও করবেন। এমন উদার ভগবান থাকতে আমরা দুঃখ ভোগ করছি; আর কেউ আমাদের সুখী করে দেবেন, উদ্ধার করে দেবেন এ যে কত বড় প্রবঞ্চনা! তাই আসুন নিজেদের উদ্ধারের জন্য আমরা নিজেরাই প্রস্তুত হয়ে যাই। প্রশ্ন হলো কিভাবে প্রস্তুত হবো? আমাদের শিক্ষার সব উপকরণ প্রকৃতিতেই ছড়িয়ে আছে। যেমন- কচ্ছপ বালির মধ্যে ডিম পাড়ে, কিন্তু নিজে জলের মধ্যে থেকেও সেই ডিমকে মনে রাখে আর তার এই স্মরণের ফলে ডিম ফুটে উঠে। সেই রকম পরমাত্মাকে মনে করা মাত্রই জীবাত্মার জ্ঞান প্রাপ্তি হয়- এটি হলো স্মরণ দীক্ষা। মাছ জলের মধ্যে নিজের ডিমের দিকে মাঝে মাঝে তাকাতে থাকে, তার তাকানোর ফলেই ডিম ফুটে। এই রকম পরমাত্মার কৃপাদৃষ্টিতে জীবাত্মা জ্ঞান লাভ করে-এটি হলো দৃষ্টি দীক্ষা। তিতির পাখি পৃথিবীতে ডিম পাড়ে আর আকাশে শব্দ করতে করতে চক্কর দিতে থাকে। তার শব্দের ফলে ডিম ফুটে। এই রকম মহাত্মাদের কথা দ্বারা জীবাত্মার জ্ঞান লাভ হয়-এটি হলো শব্দ দীক্ষা। ময়ূরী তার ডিমের উপর বসে থাকে, তার স্পর্শে ডিম ফুটে। তেমনি উন্নত আত্মার স্পর্শেও জীবাত্মার জ্ঞান লাভ হয়- এ হলো স্পর্শ দীক্ষা। এজন্য কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি গুরুর প্রয়োজন নাই। ব্যক্তির মধ্যে পূর্ণতা থাকে না, পূর্ণতা থাকে পরমাত্মাতে। যদি গুরু না থাকলে তত্ত্বজ্ঞান না হয় তাহলে পৃথিবীতে প্রথম যিনি গুরু হয়েছিলেন তাঁর তত্ত্বজ্ঞান হলো কি করে? তাই কোন মানুষকে গুরু না করলেও জগদগুরু ভগবানের কৃপায় তত্ত্বজ্ঞান লাভ হতে পারে। মৌমাছি যেমন ফুলে ফুলে উড়ে মধু সংগ্রহ করে মৌচাক পূর্ণ করে, তেমনি যেখানে যে বিষয়ে ভাল কিছু পাওয়া যায় সেখান থেকে তা গ্রহণ করতে হবে। যাঁদের উপদেশে, পথ প্রদর্শনে আমাদের কল্যাণ হয়, বাস্তবে তাঁরা সবাই আমাদের গুরু। এজন্য দত্তাত্রেয় তাঁর চব্বিশজন গুরুর কথা বলেছিলেন। এমনভাবে গুরু করা উচিত যেন গুরুও বুঝতে না পারেন যে আমরা তাঁর শিষ্য। যেমন দ্রোণাচার্য একলব্যকে শিষ্যরূপে গ্রহণ করতে রাজী না হওয়ায় তিনি বনে গিয়ে দ্রোনাচার্যের মুর্তি তৈরি করে তাঁকেই গুরু করে ধনুর্বিদ্যার অভ্যাস শুরু করেন। তার ফলে তিনি অর্জুনের চেয়েও শ্রেষ্ঠ ধনুর্ধর হয়ে যান। অতএব কোন বিষয়ে জ্ঞান লাভ করা অনেকাংশে শিক্ষার্থীর উপর নির্ভরশীল। আমাদের যদি আন্তরিক আগ্রহ থাকে তাহলে ভাল গুরু, ভাল সাধূ-সন্ত, সৎ গ্রন্থ সবই পাওয়া যাবে। আমরা যদি সত্যি আগ্রহী ও বিনয়ী হই তাহলে সদগুরু নিজে এসে দেখা দেবেন। কারণ শিষ্যের গুরুকে যতটা প্রয়োজন তার চেয়েও গুরুর শিষ্যকে প্রয়োজন বেশি। তাছাড়া শিষ্য হয়ে গুরুকে বিপদে ফেলার কোন মানে হয় না। কেননা মহারাজ শ্রীকরপাত্রজী বলেছেন-গুরু হয়ে শিষ্যকে যদি উদ্ধার করতে না পারে তবে গুরু পরের জন্মে কুকুর হয়ে জন্ম গ্রহণ করে আর শিষ্য পোকা হয়ে জন্মে তার রক্ত শোষণ করে। আমারতো মনে হয় পোকা হওয়ার চেয়ে গুরু না ধরা অনেক ভাল। আবার যেহেতু শিষ্যের পাপের বোঝাও গুরুকে বইতে হয়, তাই কোন বিবেকবান নিশ্চয় সজ্ঞানে তার পাপের বোঝা অন্যের কাঁধে চাপাবেন না। বস্তুত যশ, খ্যাতি, প্রতিপত্তির মোহে অসচেতন, অর্ধসচেতন, ধর্মান্ধ, ধর্মোন্মাদ ব্যক্তিদের বিশ্বাসকে পূঁজি করে কিছু লোক নিজেদের এবং অন্যদের জন্য এই বিপদ নিজেদের অজান্তেই ডেকে আনছে। তারা পরলোক ও পরজন্মে আদৌ বিশ্বাস করে না। পরমাত্মার সাথে কোন সম্বন্ধ তাদের নেই। তাই শ্রীশরণানন্দজী বলেছেন- যে উপদেষ্টা ভগবদ বিশ্বাসের স্থানে নিজের ব্যক্তিত্বের প্রতি বিশ্বাস জাগান এবং ভগবদ সম্বন্ধের বদলে নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সম্বন্ধ যুক্ত করেন তিনি ঘোর অনর্থ করেন। যিনি সত্যিকারের সাধু সন্ত তাঁর গুরু হওয়ার কোন শখ থাকে না। যাদের গুরু হওয়ার শখ, তারাই প্রচার করে যে গুরু পাওয়া খুবই প্রয়োজন, গুরু ছাড়া মুক্তি হয় না ইত্যাদি। এ লেখা পড়ে কেউ হয়তো ভাববেন আমি গুরুনিন্দা বা গুরু না ধরার কথা বলছি। কিন্তু আমি মোটেই সে কথা বলছি না। আমি বলছি গুরু শুধু মহাশক্তির অধিকারী পরমেশ্বর পরমাত্মার পথ প্রদর্শনকারীই হবেন, শিষ্যের সেবা গ্রহণকারী, জাগতিক ভোগ বিলাসে মত্ত কোন ব্যক্তি হবেন না। নিজের প্রচার ও প্রসারে লিপ্ত কোন মানুষের সে যোগ্যতা থাকতে পারে না। পরমহংস যোগানন্দ এর যোগী কথামৃত গ্রন্থে আছে:- মহাত্মা গান্ধী বলেছেন- আমি গুরুবাদে বিশ্বাস করি। কিন্তু এ যুগে সাধারণ লোকদের কোনরকম গুরু ছাড়াই চলতে হবে, কারণ পূর্ণজ্ঞান আর পরিপূর্ণ পবিত্রতার সমাবেশ একত্রে দেখতে পাওয়া নিতান্তই দূর্লভ। মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীও তাঁর সত্যার্থ প্রকাশ গ্রন্থে কপট গুরু ও গুরুবাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ বক্তব্য রেখেছেন। স্বামী স্বরূপানন্দ তাঁর বহু লেখায় গুরুবাদের বিরুদ্ধে বলেছেন, তিনি নিজেও গুরু সাজার পক্ষপাতী ছিলেন না। এছাড়া বর্তমানে যাঁদের গুরু বানিয়ে কিছু লোক ব্যবসা করছে তাঁদের অনেকেই জীবদ্দশায় কোন শিষ্য তৈরী করেন নি। মহাযোগী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীতো পরিষ্কার বলেছেন- তোরা আমার চরণ ধরিস নে, আচরণ ধর। তবু যারা চরণ ধরে মুক্তি পেতে চাই তারা ফাঁকিবাজ। নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানোর পাঁয়তারা করছে। প্রয়োজন হলে পরামাত্মাকে জানার জন্য আমরা বিদ্যমান সৎ গ্রন্থ পাঠ করবো, প্রয়োজনীয় বিদ্যাশিক্ষা গ্রহণ করবো, জ্ঞানীদের পরামর্শ নেবো। তাঁদের উপযুক্ত শ্রদ্ধা,সম্মান ও বিনয় প্রদর্শন করবো। তবে নিজেকে তাঁদের কাছে সমর্পন করে মুক্ত হওয়ার আশা করবো না। যদি করি তবে তা উভয় পক্ষের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনবে। এ বিষয়ে যাঁদের অনুপ্রেরণা আমাকে পথ প্রদর্শন করেছে তাঁরা হলেন- ‘প্রকৃতি মানুষ ও ধর্ম’ গ্রন্থের রচয়িতা চিত্তশুদ্ধি কেন্দ্রের মহাপরিচালক অরুণ প্রকৃতিবাদী, ‘মুক্তি কি গুরু ছাড়া হবে না?’ গ্রন্থের লেখক স্বামী রামসুখদাস, ‘সত্যার্থ প্রকাশ’ গ্রন্থের লেখক মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী, ‘যোগী কথামৃত’ গ্রন্থের লেখক পরমহংস যোগানন্দ, সত্যমন্ত্রের ঋষি সাধু তারাচরণ, স্বামী স্বরূপানন্দ, শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী, শ্রীমৎ স্বামী পরমানন্দ মহারাজের সন্যাসিনী শিষ্যা প্রব্র্যাজিকা আনন্দ প্রাণা (প্রণতি মা) প্রমূখ। সবার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা, সম্মান ও বিনয় প্রদর্শন করে লেখা শেষ করছি। সেইসাথে প্রার্থনা করছি আমাদের পশুত্ব দূর হোক, মনুষ্যত্ব লাভ হোক।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সহিদুল হক ২৬/০৯/২০১৩খুব সুন্দর চিন্তাধারা।
-
Înšigniã Āvî ২৬/০৯/২০১৩দুর্দান্ত বিশ্লেষণ....
বলতেই হয়- হ্যাট্স অফ । -
ইব্রাহীম রাসেল ২৬/০৯/২০১৩---দারুণ লিখেছেন পুরো বিষয়টা--