নিষ্ঠুর বাস্তবতা
ইনফ্যাক্ট তুমি আমায় ঘৃণা করতে। আমাকে তোমার মোটেও ভালো লাগতোনা। আমাকে তুমি এক মুহূর্তও সহ্য করতে পারতেনা। আমি ছিলাম তোমার দু'চোখের বিষ।
কিন্তু যখন তুমি আমার ইন্টেলিজেন্স, স্মার্টনেস ও সেন্স অফ হিউমার দেখলে তখন তুমি আমার প্রতি দুর্বল হয়ে গেলে। কারণ তুমি ভাবলে স্মার্ট ও ইন্টেলিজেন্ট কারো সাথে ভাব জমালে তোমার স্ট্যাটাস কমবেনা, বরং আরও বাড়বে। ওয়াও! আই লাইক ইউর ডার্ক থট!
ক'দিন পর যখন আমার লাইফস্টাইল দেখলে তখন তো তুমি আমার উপর ফিদা হয়ে গেলে। কারণ তুমি আমার লাক্সারি লাইফস্টাইল দেখে ভাবলে আমার বাবার টাকার পাহাড় আছে। সো! টাকাওয়ালার ছেলের সঙ্গ পেলে তোমার ফিউচার ব্রাইট হওয়াটাই কনফার্ম। বাহ্! আই লাভ ইউর ডার্টি অ্যাম্বিশন!
আরো কিছুদিন পর যখন দেখলে একটা গ্র্যান্ড পার্টিতে আমি চীফ গেস্টের আসনে বসলাম, কোন একটা বড় সমাবেশে বক্তৃতা দিলাম, এদিকে আমার লেখা বইও তোমার ফ্রেন্ড সার্কেলের বুকশেলফে স্থান পেলো, তখন তো আমার উপর চোখ বন্ধ করে ক্রাশ খেলে। হ্যাঁ! যে দু'চোখে আমায় দেখতে পারতেনা সেই দু'চোখ বন্ধ করেই ক্রাশ খেলে। কারণ তুমি ভাবলে, আরে এ তো দেখছি একজন সেলেব্রিটি! তাকেই তো আমার চাই! আরে ওয়াহ্! আই স্যালুট ইউর স্বার্থপরতা!
তবে তুমি কি জানো আমার মাঝে তুমি যা দেখেছো এসবের কিছুই আমার নেই? মূলতঃ আমি নিঃস্ব, নিরীহ, ক্ষেত, সেকেলে, আনকাল্চার্ড, ব্যাকডেটেড একটা ছেলে! ইনফ্যাক্ট, আমি হলাম একটা প্যারাসাইট! যাকে শুদ্ধ বাংলায় বলা হয় 'পরগাছা'! তবে তুমি আমার মাঝে যা দেখেছো তা ছিলো শুধুই আমার অভিনয়। হ্যাঁ! আমি খুব ভালো একজন অভিনেতা। আমার অ্যাক্টিং লেভেল অস্কার পাওয়ার মত। তবে আমি অস্কার পাওয়ার জন্যে এই অভিনয় করিনা। বরং আমার অভিনয়টা হলো শখের অভিনয়! সুখের অভিনয়! যা শুধুই তোমার নামে উৎসর্গিত! কারণ, আমার এই অভিনয় দ্বারা তোমার মতো স্বার্থপর প্রাণীদের মুখোশ উন্মোচন করতে আমার খুবই ভাল্লাগে। যদিও আমি তোমার ফেস রিডিং বা থট রিডিং করেই বুঝি তুমি একটা স্বার্থপর, তবুও দিনের অালোতে তোমার স্বার্থপরতাকে রেড-হ্যান্ডেড ধরতে পারলে আমি অচেনা এক পূলক অনুভব করি!
আরে ইয়ার! অনেস্টলি বলো তো; একজন ভালো ও সাদামনের মানুষ হিসেবে কি আমার সাথে তুমি ভাব জমাতে পারোনা? স্ফটিকের মতো সচ্ছ হৃদয়বান মানুষ হিসেবে কি আমার সাথে তুমি বন্ধুত্ব করতে পারোনা? আরে নাহ। তোমার তো টাকাওয়ালা বন্ধু চাই। নেইম অ্যান্ড ফেইমওয়ালা ফ্রেন্ড চাই। স্মার্ট, হ্যান্ডসাম ও সেলেব্রিটি মার্কা মানুষ চাই। তার নামের আগে এই লকবগুলে থাকা চাই। সে সত্যিকার মানুষ হোক বা নাই হোক! ডাজ'ন্ট ম্যাটার!
আবার মনে করোনা এসব শুধু তোমাকেই বলছি। এই তুমি মানে শুধু তুমি নও। তোমার মতো হাজারটা তুমি। লক্ষ কোটি তুমি। আসলে সারা পৃথিবীটাই তোমার মতো তুমিতে ভরপুর।
তবে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আমি তোমার মত লোভী ও স্বার্থপর নই। আমি স্মার্টনেস অার ধনসম্পদ দেখে বন্ধুত্ব করিনা। আমি যশ-খ্যাতিওয়ালা মানুষের পেছনে ছুটিনা। আমি মানুষ খুঁজি। হ্যাঁ! মানুষ। যার নামের আগে-পিছে দু'চার হালি লকব না থাকলেও তার হৃদয়টি থাকে মনুষত্বে ভরপুর। আর তাইতো তোমার মতো স্বার্থপরদের জন্য আমার লাইফের প্রবেশদ্বারে 'নো অ্যান্ট্রি' সাইনবোর্ড টাঙিয়ে রেখেছি। এজন্যেই আজকাল তোমাদের মতো মানুষদের এত্ত ভিড়ের মাঝেও নিজেকে খুবই একা লাগে। জানিনা, আর কতদিন তোমাদের মাঝে জীবন্ত লাশ হয়ে থাকতে হবে।
কিন্তু যখন তুমি আমার ইন্টেলিজেন্স, স্মার্টনেস ও সেন্স অফ হিউমার দেখলে তখন তুমি আমার প্রতি দুর্বল হয়ে গেলে। কারণ তুমি ভাবলে স্মার্ট ও ইন্টেলিজেন্ট কারো সাথে ভাব জমালে তোমার স্ট্যাটাস কমবেনা, বরং আরও বাড়বে। ওয়াও! আই লাইক ইউর ডার্ক থট!
ক'দিন পর যখন আমার লাইফস্টাইল দেখলে তখন তো তুমি আমার উপর ফিদা হয়ে গেলে। কারণ তুমি আমার লাক্সারি লাইফস্টাইল দেখে ভাবলে আমার বাবার টাকার পাহাড় আছে। সো! টাকাওয়ালার ছেলের সঙ্গ পেলে তোমার ফিউচার ব্রাইট হওয়াটাই কনফার্ম। বাহ্! আই লাভ ইউর ডার্টি অ্যাম্বিশন!
আরো কিছুদিন পর যখন দেখলে একটা গ্র্যান্ড পার্টিতে আমি চীফ গেস্টের আসনে বসলাম, কোন একটা বড় সমাবেশে বক্তৃতা দিলাম, এদিকে আমার লেখা বইও তোমার ফ্রেন্ড সার্কেলের বুকশেলফে স্থান পেলো, তখন তো আমার উপর চোখ বন্ধ করে ক্রাশ খেলে। হ্যাঁ! যে দু'চোখে আমায় দেখতে পারতেনা সেই দু'চোখ বন্ধ করেই ক্রাশ খেলে। কারণ তুমি ভাবলে, আরে এ তো দেখছি একজন সেলেব্রিটি! তাকেই তো আমার চাই! আরে ওয়াহ্! আই স্যালুট ইউর স্বার্থপরতা!
তবে তুমি কি জানো আমার মাঝে তুমি যা দেখেছো এসবের কিছুই আমার নেই? মূলতঃ আমি নিঃস্ব, নিরীহ, ক্ষেত, সেকেলে, আনকাল্চার্ড, ব্যাকডেটেড একটা ছেলে! ইনফ্যাক্ট, আমি হলাম একটা প্যারাসাইট! যাকে শুদ্ধ বাংলায় বলা হয় 'পরগাছা'! তবে তুমি আমার মাঝে যা দেখেছো তা ছিলো শুধুই আমার অভিনয়। হ্যাঁ! আমি খুব ভালো একজন অভিনেতা। আমার অ্যাক্টিং লেভেল অস্কার পাওয়ার মত। তবে আমি অস্কার পাওয়ার জন্যে এই অভিনয় করিনা। বরং আমার অভিনয়টা হলো শখের অভিনয়! সুখের অভিনয়! যা শুধুই তোমার নামে উৎসর্গিত! কারণ, আমার এই অভিনয় দ্বারা তোমার মতো স্বার্থপর প্রাণীদের মুখোশ উন্মোচন করতে আমার খুবই ভাল্লাগে। যদিও আমি তোমার ফেস রিডিং বা থট রিডিং করেই বুঝি তুমি একটা স্বার্থপর, তবুও দিনের অালোতে তোমার স্বার্থপরতাকে রেড-হ্যান্ডেড ধরতে পারলে আমি অচেনা এক পূলক অনুভব করি!
আরে ইয়ার! অনেস্টলি বলো তো; একজন ভালো ও সাদামনের মানুষ হিসেবে কি আমার সাথে তুমি ভাব জমাতে পারোনা? স্ফটিকের মতো সচ্ছ হৃদয়বান মানুষ হিসেবে কি আমার সাথে তুমি বন্ধুত্ব করতে পারোনা? আরে নাহ। তোমার তো টাকাওয়ালা বন্ধু চাই। নেইম অ্যান্ড ফেইমওয়ালা ফ্রেন্ড চাই। স্মার্ট, হ্যান্ডসাম ও সেলেব্রিটি মার্কা মানুষ চাই। তার নামের আগে এই লকবগুলে থাকা চাই। সে সত্যিকার মানুষ হোক বা নাই হোক! ডাজ'ন্ট ম্যাটার!
আবার মনে করোনা এসব শুধু তোমাকেই বলছি। এই তুমি মানে শুধু তুমি নও। তোমার মতো হাজারটা তুমি। লক্ষ কোটি তুমি। আসলে সারা পৃথিবীটাই তোমার মতো তুমিতে ভরপুর।
তবে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আমি তোমার মত লোভী ও স্বার্থপর নই। আমি স্মার্টনেস অার ধনসম্পদ দেখে বন্ধুত্ব করিনা। আমি যশ-খ্যাতিওয়ালা মানুষের পেছনে ছুটিনা। আমি মানুষ খুঁজি। হ্যাঁ! মানুষ। যার নামের আগে-পিছে দু'চার হালি লকব না থাকলেও তার হৃদয়টি থাকে মনুষত্বে ভরপুর। আর তাইতো তোমার মতো স্বার্থপরদের জন্য আমার লাইফের প্রবেশদ্বারে 'নো অ্যান্ট্রি' সাইনবোর্ড টাঙিয়ে রেখেছি। এজন্যেই আজকাল তোমাদের মতো মানুষদের এত্ত ভিড়ের মাঝেও নিজেকে খুবই একা লাগে। জানিনা, আর কতদিন তোমাদের মাঝে জীবন্ত লাশ হয়ে থাকতে হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
গোলাম কিবরিয়া সৌখিন ২৪/০৬/২০২০বাস্তবতা সমীপে লিখেছেন।
-
ফয়জুল মহী ২৪/০৬/২০২০অত্যন্ত চমৎকার লেখনী
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ২৪/০৬/২০২০স্বার্থপরতা একটা ভয়ানক রোগ প্রিয়।