ত্রিভুজ প্রেম
আমি ও জীবন। একই দিনের একই ক্ষণে এক সাথেই দু'জনের জন্ম। এক সাথেই বেড়ে উঠা। এক সাথেই পথ চলা। এক সাথেই কথা বলা। কখনো আমি জীবনের সাথে কথা বলি তো কখনো সে আমার সাথে। কখনো আমি তাকে সঙ্গ দেই তো কখনো সে আমাকে। তবে সে-ই আমাকে বেশি সঙ্গ দেয়। সে-ই আমাকে হাসায়। আমি খুব বেশি হাসি। জীবনও হাসে।নিষ্পাপ হাসি। তার সেই হাসিটুকু আমার হৃদয় ছোঁয়ে যায়। আমি খুশিতে বাগবাগ হয়ে যাই। আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই।
.
আস্তে আস্তে জীবনের জন্যে হৃদয়ের গভীরে নিখাদ ভালবাসা সৃষ্টি হয়।ধীরে ধীরে আমি জীবনের প্রেমে পড়ে যাই। জীবনই আমার সব হয়ে উঠে। সকালে যেমন আমার জীবনকে প্রয়োজন ঠিক তেমনি বিকালেও জীবনের জন্যেই আমার সব আয়োজন। জাগ্রত অবস্থায় জীবনকে নিয়েই ভাবি আবার ঘুমের ঘোরে জীবনকেই স্বপ্নে দেখি। আমার শীতও কাটে জীবনের সাথে আবার গরমও কাটে জীবনেরই সাথে। একদিন
জীবনই হয়ে উঠে আমার"জীবন"।
.
কিন্তু যত দিন যায় জীবনের আচরনে ততই পরিবর্তন আসে। যত মাস যায় জীবন ততই আমাকে এড়িয়ে চলে। যত বছর যায় জীবন ততই আমাকে এভয়েড করে। এতদিন সে-ই আমার কাছে আসতো। কিন্তু এখন আমি যতই তার কাছে যাই, সে আমাকে পাত্তাই দেয়না। আমাকে সুখের বেলুনে উড়িয়ে শুধু উপরেই উঠিয়েছে, কিন্তু যখনই আমি হাত দিয়ে চাঁদের নাগাল পেয়ে যাবো ঠিক তখনই জীবন আমার সুখের বেলুনটা ফুটো করে দেয়। আমি তখন আছড়ে পড়ি মাটিতে। আমার হাড়গোড় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। আমার এই করুন অবস্থা দেখে জীবন হাসে। পবিত্র হাসি নয়, ক্রুর হাসি। নিষ্পাপ হাসি নয়, অবজ্ঞার হাসি। সেই হাসি হৃদয়কে ছোঁয়ে যায়না বরং হৃদয়কে ভেঙ্গে খান খান করে দেয়।
.
আজকাল তো আর জীবনের দেখাই মেলেনা। অনেক কষ্টে জীবনের প্রোফাইল বের করি। তার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করি। তার প্রোফাইল দেখে তো আমি অবাক! তার ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে তো আমি হতবাক! জীবন তো কিছুই নয়। সে তো একটা ছায়া। সে তো একটা মায়া। সে তো একটা ধোকা। তার তো অস্তিত্বই নেই। আমি এত নির্বোধ! এত নিকৃষ্ট! একটা অস্তিত্বহীন ছায়া, মায়া আর ধোকার সাথে এতদিন কাটালাম! নিজের প্রতি ঘৃণায় গা'টা রি রি করে উঠে।
.
ভগ্ন হৃদয় নিয়ে শুন্য দৃষ্টি মেলে যখন বারান্দায় বসে রইলাম তখনই আমার মনে হলো "মৃত্যুর" কথা। আমার আর জীবনের সাথেই তার জন্ম হয়েছিলো। অন্য পাড়ায়। অন্য মহল্লায়। আমাদের চলার পথেই তার বাড়ী। তাকে আমি জানি কিন্তু চিনিনা। তাকে আমি দেখিনি। কখনো তার সাথে সাক্ষাত হয়নি। জীবনের প্রেমে আমি এতটাই বিভোর ছিলাম যে, তার বাড়ীর পাশ দিয়ে আসা যাওয়ার সময় একটিবারের জন্যে উঁকিঝুকি মেরেও তাকে দেখার চেষ্টা করিনি। দেখার প্রয়োজনও অনুভব করিনি। আজ যখন জীবন আমার সঙ্গ ছেড়ে দিলো তখন মৃত্যুর কথা মনে হলো। এই প্রথম তাকে নিয়ে ভাবতে লাগলাম। যতই ভাবলাম ততই মৃত্যুর প্রতি আকর্ষিত হলাম। মৃত্যুর নামটি জীবনের মত আকর্ষণীয় না হলেও তার মধ্যে আমি একটা বাস্তবতা আর সততা খোঁজে পেলাম। কেন জানি আমার হৃদয় সাক্ষ্য দিচ্ছিলো যে, সে জীবনের মত ছায়া মায়া বা ধোকা হবেনা, হতে পারেনা।
.
তাকে নিয়ে যতই ভাবলাম ততই যেন অন্তরে একটা প্রশান্তি অনুভব করলাম। তাকে পেয়ে যেনো আমি উত্তাল তরঙ্গে বেঁচে থাকার খরকুঁটো হাতে পেলাম। বাঁচার তাগিদে আমি মৃত্যুকে প্রেমের প্রপোজ করলাম। তার সাথে মিতালী করতে চাইলাম। কিন্তু হলোনা। সে খুব অভিমানী। এতদিন তার খোঁজ খবর নেইনি বলে সে আমার প্রতি একটু ক্ষুব্ধ। তাই সে এক্ষুণি আমাকে ভালবাসতে নারাজ। হয়তো আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করাতে চাইছে। তবে আমি নিশ্চিত একদিন সে সবকিছু ভুলে গিয়ে আমাকে আপন করে নেবে। দু'হাত মেলে আমাকে সে তার কাছে টেনে নেবে। এটাই তার বৈশিষ্ট্য। এতদিনের অতি আপন সেই জীবন কে আজকাল অনেক দূরের মনে হয়। আর অনেক দূরের সেই মৃত্যুকেই অতি আপন মনে হয়। কখন যে সেই মৃত্যু আমাকে তার "অতি আপন" করে নেবে সেই প্রতীক্ষায় বেঁচে আছি।
.
আস্তে আস্তে জীবনের জন্যে হৃদয়ের গভীরে নিখাদ ভালবাসা সৃষ্টি হয়।ধীরে ধীরে আমি জীবনের প্রেমে পড়ে যাই। জীবনই আমার সব হয়ে উঠে। সকালে যেমন আমার জীবনকে প্রয়োজন ঠিক তেমনি বিকালেও জীবনের জন্যেই আমার সব আয়োজন। জাগ্রত অবস্থায় জীবনকে নিয়েই ভাবি আবার ঘুমের ঘোরে জীবনকেই স্বপ্নে দেখি। আমার শীতও কাটে জীবনের সাথে আবার গরমও কাটে জীবনেরই সাথে। একদিন
জীবনই হয়ে উঠে আমার"জীবন"।
.
কিন্তু যত দিন যায় জীবনের আচরনে ততই পরিবর্তন আসে। যত মাস যায় জীবন ততই আমাকে এড়িয়ে চলে। যত বছর যায় জীবন ততই আমাকে এভয়েড করে। এতদিন সে-ই আমার কাছে আসতো। কিন্তু এখন আমি যতই তার কাছে যাই, সে আমাকে পাত্তাই দেয়না। আমাকে সুখের বেলুনে উড়িয়ে শুধু উপরেই উঠিয়েছে, কিন্তু যখনই আমি হাত দিয়ে চাঁদের নাগাল পেয়ে যাবো ঠিক তখনই জীবন আমার সুখের বেলুনটা ফুটো করে দেয়। আমি তখন আছড়ে পড়ি মাটিতে। আমার হাড়গোড় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। আমার এই করুন অবস্থা দেখে জীবন হাসে। পবিত্র হাসি নয়, ক্রুর হাসি। নিষ্পাপ হাসি নয়, অবজ্ঞার হাসি। সেই হাসি হৃদয়কে ছোঁয়ে যায়না বরং হৃদয়কে ভেঙ্গে খান খান করে দেয়।
.
আজকাল তো আর জীবনের দেখাই মেলেনা। অনেক কষ্টে জীবনের প্রোফাইল বের করি। তার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করি। তার প্রোফাইল দেখে তো আমি অবাক! তার ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে তো আমি হতবাক! জীবন তো কিছুই নয়। সে তো একটা ছায়া। সে তো একটা মায়া। সে তো একটা ধোকা। তার তো অস্তিত্বই নেই। আমি এত নির্বোধ! এত নিকৃষ্ট! একটা অস্তিত্বহীন ছায়া, মায়া আর ধোকার সাথে এতদিন কাটালাম! নিজের প্রতি ঘৃণায় গা'টা রি রি করে উঠে।
.
ভগ্ন হৃদয় নিয়ে শুন্য দৃষ্টি মেলে যখন বারান্দায় বসে রইলাম তখনই আমার মনে হলো "মৃত্যুর" কথা। আমার আর জীবনের সাথেই তার জন্ম হয়েছিলো। অন্য পাড়ায়। অন্য মহল্লায়। আমাদের চলার পথেই তার বাড়ী। তাকে আমি জানি কিন্তু চিনিনা। তাকে আমি দেখিনি। কখনো তার সাথে সাক্ষাত হয়নি। জীবনের প্রেমে আমি এতটাই বিভোর ছিলাম যে, তার বাড়ীর পাশ দিয়ে আসা যাওয়ার সময় একটিবারের জন্যে উঁকিঝুকি মেরেও তাকে দেখার চেষ্টা করিনি। দেখার প্রয়োজনও অনুভব করিনি। আজ যখন জীবন আমার সঙ্গ ছেড়ে দিলো তখন মৃত্যুর কথা মনে হলো। এই প্রথম তাকে নিয়ে ভাবতে লাগলাম। যতই ভাবলাম ততই মৃত্যুর প্রতি আকর্ষিত হলাম। মৃত্যুর নামটি জীবনের মত আকর্ষণীয় না হলেও তার মধ্যে আমি একটা বাস্তবতা আর সততা খোঁজে পেলাম। কেন জানি আমার হৃদয় সাক্ষ্য দিচ্ছিলো যে, সে জীবনের মত ছায়া মায়া বা ধোকা হবেনা, হতে পারেনা।
.
তাকে নিয়ে যতই ভাবলাম ততই যেন অন্তরে একটা প্রশান্তি অনুভব করলাম। তাকে পেয়ে যেনো আমি উত্তাল তরঙ্গে বেঁচে থাকার খরকুঁটো হাতে পেলাম। বাঁচার তাগিদে আমি মৃত্যুকে প্রেমের প্রপোজ করলাম। তার সাথে মিতালী করতে চাইলাম। কিন্তু হলোনা। সে খুব অভিমানী। এতদিন তার খোঁজ খবর নেইনি বলে সে আমার প্রতি একটু ক্ষুব্ধ। তাই সে এক্ষুণি আমাকে ভালবাসতে নারাজ। হয়তো আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করাতে চাইছে। তবে আমি নিশ্চিত একদিন সে সবকিছু ভুলে গিয়ে আমাকে আপন করে নেবে। দু'হাত মেলে আমাকে সে তার কাছে টেনে নেবে। এটাই তার বৈশিষ্ট্য। এতদিনের অতি আপন সেই জীবন কে আজকাল অনেক দূরের মনে হয়। আর অনেক দূরের সেই মৃত্যুকেই অতি আপন মনে হয়। কখন যে সেই মৃত্যু আমাকে তার "অতি আপন" করে নেবে সেই প্রতীক্ষায় বেঁচে আছি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আবু সাইদ লিপু ০৮/০৮/২০১৭আহারে!
-
আমি সেই প্রতিবাদী নারী ০৪/০৮/২০১৭এততটুকু বয়সেই মৃত্যুর আলিঙ্গন কামনা!!!
-
আমি-তারেক ৩০/০৭/২০১৭valo concept...
-
শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ৩০/০৭/২০১৭খুব ভালো
-
সাঁঝের তারা ২৯/০৭/২০১৭খুব ভালো ...