জ্যোৎস্না রাতের ভালোবাসা
শরতের শুভ্র আকাশে রুপালী জ্যোৎস্না দেখতে ছাদে গিয়ে দাঁড়িয়েছে তিথি। ঠিক একই সময়ে ছাদে এসেছে অর্ণব। প্রতিদিনই অফিস থেকে ফিরে কিছুক্ষণের জন্য অবশ্যই ছাদে যাওয়া চাই অর্ণবের। তিথি আসে মাঝে মধ্যে, বিশেষত জ্যোৎস্নার সময়। তবে তিথির সাথে প্রায় প্রতিদিনই দেখা হয় অর্ণবের। অর্ণব যখন অফিসে যায় তিথির তখন ভার্সিটিতে যাওয়ার সময় হয়। মাঝে মাঝে কথাও হয় দুইজনের। খুব একটা না।
প্রায় এক বছর আগে অর্ণবের চাকরী জীবনের শুরুতে যখন এখানে বাসা নেয় তখন থেকেই তিথিকে চিনে অর্ণব। তিথিরা এখানে ছিল আগে থেকেই।
ছাদে গিয়ে দাড়াতেই অর্ণব দেখতে পায় তিথিকে। সেও গিয়ে দাড়ায়। তিথি অর্ণবকে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করে, কেমন আছেন?
অর্ণব উত্তর দেয়, ভালো। তুমি?
ভালো। তিথির উত্তর।
বয়সে ছোট হওয়ায় তিথিকে তুমি করেই বলে অর্ণব। শুরুতে অবশ্য আপনি করেই সম্বোধন করত।
ছাদে হালকা ঝিরঝির বাতাস। তিথি চুপচাপ চাঁদের দিকে তাকিয়ে আর অর্ণব তাকিয়ে তিথির দিকে। এক বছর আগে প্রথমবার দেখার পরই তিথিকে ভালো লেগেছিল অর্ণবের। তাঁর প্রধান কারণ তিথি চঞ্চল স্বভাবের মেয়ে, অর্ণব অবশ্য চুপচাপ থাকতে পছন্দ করে। দিনে দিনে সে ভালো লাগাটাই আরও গভীর হয়েছে। কোন এক ফাঁকে হয়তো সেটা ভালোবাসায়ও রূপ নিয়েছে। কিন্তু কখনই বলা হয়নি তিথিকে।
কেন বলা হয়নি তা অর্ণব নিজেও জানে না। হয়তো প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় কিংবা প্রবল ব্যাক্তিত্ববোধ।
তিথি অর্ণবের দিকে তাকাতেই অর্ণব চাঁদের দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
-চাঁদ দেখছেন? তিথির প্রশ্ন
- হুম চাঁদ দেখার জন্যই এসেছিলাম। কিন্তু......
- কিন্তু কি?
- আকাশের চাঁদের চেয়েও সুন্দর কোন চাঁদ থাকতে পারে আমার জানা ছিল না।
-তাই?
- হুম, তাই।
- তো কোন চাঁদ ভালোবাসেন আপনি? তিথি প্রশ্ন করে।
- যে চাঁদ দিনে রাতে সব সময় দেখা যায়।
এভাবে আকার ইঙ্গিতে বিভিন্ন সময়ে নিজের কথাটা বোঝানোর চেষ্টা করেছে অর্ণব। তিথি বুঝেছে কিনা অর্ণব জানে না। আর তিথি বুঝেও বারবার না বুঝার ভান করেছে।
আজ তিথিকে অনেক বেশি আবেগাপ্লুত মনে হচ্ছে। অর্ণবও সিদ্ধান্ত নেয় আজ নিজের কথাটা বলে দেবে। নিজেকে প্রকাশ করার এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারে না।
-চাঁদ কি জানে আপনি তাকে ভালোবাসেন? প্রশ্ন করে তিথি।
- জানি না। হয়তো জানে, হয়তো জানে না।
- কখনো বলেছেন তাকে?
- নাহ।
- কেন?
- তাও জানি না। হয়তো ভয়, অথবা অন্য কিছু।
- এতো ভয় থাকলে হবে?
- যদি সে প্রত্যাখ্যান করে?
- নাও তো করতে পারে।
অর্ণব চুপচাপ কিছুক্ষণ চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকে। তিথিও চুপচাপ। কিছুটা সময় পেরিয়ে যায়।
অর্ণব সহসা বলে ওঠে, একটা কথা বলবো?
-কি? তিথির পাল্টা প্রশ্ন।
যদি হাত বাড়িয়ে দাও তাহলে তোমার হাতটা একটু ছুঁয়ে দেই?
তিথি কোন কথা না বলে চুপচাপ নিজের হাতটা বাড়িয়ে দেয়।
জ্যোৎস্না রাতের রুপালী আলোয় দুটি ছায়া মূর্তি গা ঘেঁষে দাড়ায়। চারদিক নির্জন। পৃথিবীতে তৈরি হয় নতুন একটি সম্পর্ক। সাক্ষী হয়ে থাকে আকাশের শুভ্র চাঁদ, রুপালী জ্যোৎস্না।
প্রায় এক বছর আগে অর্ণবের চাকরী জীবনের শুরুতে যখন এখানে বাসা নেয় তখন থেকেই তিথিকে চিনে অর্ণব। তিথিরা এখানে ছিল আগে থেকেই।
ছাদে গিয়ে দাড়াতেই অর্ণব দেখতে পায় তিথিকে। সেও গিয়ে দাড়ায়। তিথি অর্ণবকে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করে, কেমন আছেন?
অর্ণব উত্তর দেয়, ভালো। তুমি?
ভালো। তিথির উত্তর।
বয়সে ছোট হওয়ায় তিথিকে তুমি করেই বলে অর্ণব। শুরুতে অবশ্য আপনি করেই সম্বোধন করত।
ছাদে হালকা ঝিরঝির বাতাস। তিথি চুপচাপ চাঁদের দিকে তাকিয়ে আর অর্ণব তাকিয়ে তিথির দিকে। এক বছর আগে প্রথমবার দেখার পরই তিথিকে ভালো লেগেছিল অর্ণবের। তাঁর প্রধান কারণ তিথি চঞ্চল স্বভাবের মেয়ে, অর্ণব অবশ্য চুপচাপ থাকতে পছন্দ করে। দিনে দিনে সে ভালো লাগাটাই আরও গভীর হয়েছে। কোন এক ফাঁকে হয়তো সেটা ভালোবাসায়ও রূপ নিয়েছে। কিন্তু কখনই বলা হয়নি তিথিকে।
কেন বলা হয়নি তা অর্ণব নিজেও জানে না। হয়তো প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় কিংবা প্রবল ব্যাক্তিত্ববোধ।
তিথি অর্ণবের দিকে তাকাতেই অর্ণব চাঁদের দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
-চাঁদ দেখছেন? তিথির প্রশ্ন
- হুম চাঁদ দেখার জন্যই এসেছিলাম। কিন্তু......
- কিন্তু কি?
- আকাশের চাঁদের চেয়েও সুন্দর কোন চাঁদ থাকতে পারে আমার জানা ছিল না।
-তাই?
- হুম, তাই।
- তো কোন চাঁদ ভালোবাসেন আপনি? তিথি প্রশ্ন করে।
- যে চাঁদ দিনে রাতে সব সময় দেখা যায়।
এভাবে আকার ইঙ্গিতে বিভিন্ন সময়ে নিজের কথাটা বোঝানোর চেষ্টা করেছে অর্ণব। তিথি বুঝেছে কিনা অর্ণব জানে না। আর তিথি বুঝেও বারবার না বুঝার ভান করেছে।
আজ তিথিকে অনেক বেশি আবেগাপ্লুত মনে হচ্ছে। অর্ণবও সিদ্ধান্ত নেয় আজ নিজের কথাটা বলে দেবে। নিজেকে প্রকাশ করার এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারে না।
-চাঁদ কি জানে আপনি তাকে ভালোবাসেন? প্রশ্ন করে তিথি।
- জানি না। হয়তো জানে, হয়তো জানে না।
- কখনো বলেছেন তাকে?
- নাহ।
- কেন?
- তাও জানি না। হয়তো ভয়, অথবা অন্য কিছু।
- এতো ভয় থাকলে হবে?
- যদি সে প্রত্যাখ্যান করে?
- নাও তো করতে পারে।
অর্ণব চুপচাপ কিছুক্ষণ চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকে। তিথিও চুপচাপ। কিছুটা সময় পেরিয়ে যায়।
অর্ণব সহসা বলে ওঠে, একটা কথা বলবো?
-কি? তিথির পাল্টা প্রশ্ন।
যদি হাত বাড়িয়ে দাও তাহলে তোমার হাতটা একটু ছুঁয়ে দেই?
তিথি কোন কথা না বলে চুপচাপ নিজের হাতটা বাড়িয়ে দেয়।
জ্যোৎস্না রাতের রুপালী আলোয় দুটি ছায়া মূর্তি গা ঘেঁষে দাড়ায়। চারদিক নির্জন। পৃথিবীতে তৈরি হয় নতুন একটি সম্পর্ক। সাক্ষী হয়ে থাকে আকাশের শুভ্র চাঁদ, রুপালী জ্যোৎস্না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জমাতুল ইসলাম পরাগ ০৬/১১/২০১৪
-
রইসউদ্দিন গায়েন ০২/১১/২০১৪আপনার গল্পটি বেশ সুন্দর, ভাষাও বেশ পরিচ্ছন্ন। জ্যোৎস্না রাতের প্রেম,তাই একটা স্নিগ্ধতার প্রলেপ আছে। ধন্যবাদ এমন সুন্দর গল্পটি শোনানোর জন্য!
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০১/১১/২০১৪ভাই আবার তো প্রেমে পড়ে যাবো। রোমান্টিক লেখা ভালো লাগলো।
-
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ৩১/১০/২০১৪ভাল লাগল।
-
রেনেসাঁ সাহা ৩০/১০/২০১৪বেশ লেগেছে। ভালোই বলা যায়।
হাতটা এট্টু ধরতে দিবেন?